ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় হত্যা মামলার আসামি পুলিশে ধরিয়ে দেয়ায় এলাকাবাসিকে মামলায় জড়ানোর হুমকি

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::   চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে তিনটি হত্যাসহ ৭টি মামলার পলাতক আসামি কালাবদাকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে ধরিয়ে দেয়ায় এবার বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসিকে মামলার জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আস্কারায় একটি মহল মামলার ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখানোর কারনে এলাকার লোকজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি জনগনের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

স্থানীয় এলাকাবাসি জানিয়েছেন, কোনাখালী ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের পুরুত্যাখালী এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে কালা বদা প্রকাশ কবির আহমদ একজন পেশাদার সন্ত্রাসী। এলাকায় বিভিন্ন ধরণের চাঁদাবাজি, অস্ত্র বেচাকেনা, জমি দখল-বেদখলের সঙ্গে জড়িত। তার অপকর্মের কারনে ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণ অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের আস্কারায় বিএনপির রাজনীতি করলেও কালাবদা বর্তমানে আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে এলাকায় বীরদর্পে নানা ধরণের অপরাধকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন।

এলাকাবাসি অভিযোগ করেছেন, কালাবদার তাঁর বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা, একটি হত্যাচেষ্ঠা, একটি ধর্ষন ও একটি ডাকাতি মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তারমধ্যে ১৯৯৪ সালে আবদুল আহমকে গুলি করে হত্যা, ২০০৭ সালে রাবার ড্যামে জব্বর মুল্লুককে হত্যা ও ২০১০ সালে কুপিয়ে ওসমান গণিকে হত্যার ঘটনায় তিনটি মামলার অন্যতম আসামি কালাবদা।এছাড়াও পুরুত্যাখালী এলাকার জসিম উদ্দিন নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্ঠা, কৃষ্ণপুরে একটি ডাকাতি ও নারীকে ধর্ষণ চেষ্ঠার ঘটনায় আরো তিনটি মামলার আসামি কালাবদা।

স্থানীয় লোকজন জানায়, তিনটি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি কালাবদা দীর্ঘদিন ধরে পুলিশের গ্রেফতার এড়িয়ে এলাকায় দিব্যি চালিয়ে আসছেন অপরাধ কর্মকা-। বর্তমানে এলাকার কেউ নতুন বাড়ি করতে গেলে তাকে নিয়মিত চাঁদা দিতে হচ্ছে। এমনকি কেউ বিদেশ থেকে এলাকায় আসলে তাকেও চাঁদা দিতে হচ্ছে। এছাড়াও কেউ বাড়ির গাছ বিক্রি করতে চাইলে কিংবা ও মালামাল বিক্রি করতে গেলে কালাবদাকে চাহিদা মতো চাঁদা দিতে হচ্ছে। এ অবস্থার কারনে এলাকার লোকজন চরম অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে সর্বশেষ বৃস্পতিবার পুরুত্যাখালীর মাদরাসার সামনে তাকে আটকের পর জনগন গণধোলাই দেন। এরপর মাতামুহুরী তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের একটিদল ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.হাবিবুর রহমান বলেন, জনগন অতিষ্ঠ হয়ে কোনাখালীতে কালাবদা নামের একজনকে গণধোলাই দিয়েছেন। খবর পেয়ে মাতামুহুরী পুলিশের একটিদল তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

ওসি বলেন, কালাবদার বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তবে আমরা তাঁর বিরুদ্ধে দুইটি মামলায় আদালতের পরোয়ারা পেরেছি। তাকে গুরুতর অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। ##

পাঠকের মতামত: