ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

মাতামুহুরীর চোরাবালিতে এবার কিশোরের সলিল সমাধি, ৯ ঘন্টায়ও উদ্ধার হয়নি লাশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে শ্যালো মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের কারণে সৃষ্ট গভীর গর্তের চোরাবালিতে এবার এক কিশোরের সলিল সমাধি ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার দুপুর একটার দিকে চোরাবালিতে তলিয়ে যাওয়ার পর অনেক খোঁজ করেও ওই কিশোরের জীবিত বা মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া যায়নি রাত দশটা পর্যন্ত। এতে ধারণা করা হচ্ছে তার সলিল সমাধি ঘটেছে।

সলিল সমাধি হওয়া কিশোরের নাম আবদুল মজিদ (১৬)। সে উপজেলার কাকারা ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা আমতলীর-হাজিয়ান এলাকার দুদু মিয়ার ছেলে।

এদিকে স্থানীয় লোকজন জাল ফেলে ও ফাঁয়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেই দুপুর থেকে গতরাত দশটা পর্যন্ত নদীতে তল্লাশী চালায় নিখোঁজ কিশোরের সন্ধানে। কিন্তু কোন হদিস না পাওয়ায় তারা উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেয়। তবে রাতেই চট্টগ্রাম থেকে ডুবুরি দল চকরিয়ায় এসে পৌঁছাবে। এর পর আজ শনিবার সকালে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধারের জন্য ডুবুরি দল নামবে মাতামুহুরী নদীতে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফাঁয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স চকরিয়ার স্টেশন কর্মকর্তা মো. সাইফুল হাসান। সাথে রয়েছেন চকরিয়া থানা পুলিশেরও একটি দল।তবে নিখোজ তরুনের উদ্ধার অভিযান এখন রাত ১১টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রয়েছে ।

স্থানীয়দের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কাকারা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শওকত ওসমান জানান, দীর্ঘদিন ধরে তার ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী এলাকায় মাতামুহুরী নদীতে শ্যালোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন পাশ্ববর্তী ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. শফি। এ কারণে নদীর ওইপয়েন্টে গভীর চোরবালির সৃষ্টি হয়েছে। সেই চোরাবালিতে তলিয়ে যায় কিশোর আবদুল মজিদ।

প্রসঙ্গত মাতামুহুরী নদীর চকরিয়া অংশে বর্তমানে অন্তত ৩০টি পয়েন্টে শক্তিশালী ড্রেজার ও শ্যালোমেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একদল প্রভাবশালী। এতে এসব পয়েন্টে মানবসৃষ্ট চোরাবালি তৈরি হচ্ছে। এ কারণে নদীতে ¯œান করা বিপদসংকুল হয়ে পড়েছে। এনিয়ে গত একবছরে বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ ২০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে চোরাবালিতে তলিয়ে গিয়ে। কিন্তু কোন অবস্থাতেই বন্ধ হচ্ছেনা অবৈধভাবে বালু উত্তোলন।  থানার ওসি হাবিবুর রহমান বলেছেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই। আপনার কাছ থেকেই শুনলাম।

পাঠকের মতামত: