ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজে ব্যাপক অনিয়ম: বরাদ্দ লুটের আশংকা!

পেকুয়া প্রতিনিধি ::  কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজে ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। নয়ছয় করে প্রকল্প বাস্তবায়ণ করে বরাদ্দের সিংহভাগ লুটের আশংকা করছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে কক্সবাজারে পেকুয়া উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট কাজ বাস্তবায়নের জন্য গত ১২/ ০৯/২০১৮ইংরেজী তারিখে ৭৭.২৩৬মে:টন গম বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় রাজাখালী ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং ওয়ার্ড়ের ইউপি সদস্য বিএনপি নেতা অলি আহমদকে ওই মাটি ভরাট কাজ বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প সভাপতি করা হয়। এবং ওই কাজ ২০১৮ইংরেজী তারিখের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা ছিল। কিন্তু প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে ওই প্রকল্পের মাটি ভরাটের কাজ গত এক সপ্তাহ পূর্বে শুরু করে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাজাখালী ইউনিয়নের ভোলা খালের চরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট করা হচ্ছে। কাবিখা প্রকল্পের নীতিমালা অনুসরণ না করে স্ক্রেভেটার দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাটি ভরাট করা হচ্ছে। ৭৭ মে:টন গমের বর্তমান বাজার মূল্য ১৭ লাখ ৩২ হাজার পাঁচশত টাকা। স্ক্রেভেটার দিয়ে ৫/৬ লাখ টাকার মাটি ভরাট করে বরাদ্দের সিংহভাগ লুটের জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কমিটি।

স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, প্রকল্প কমিটির সভাপতি ইউপি সদস্য অলি আহমদ প্রকল্পের কাজে নয়ছয় করে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের বরাদ্দ লুটপাটের অপচেষ্টা শুরু করেছে।

অভিযোগের ব্যাপারে জানতে ইউপি সদস্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তাকে প্রকল্প সভাপতি করা হয়েছে। স্ক্রেভেটার দিয়ে তিনি মাটি কাটার কথা স্বীকার করেছেন। এর বাইরে তিনি আর কথা বলতে রাজি হননি।

পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ জানান, তিনি ওই প্রকল্প ভিজিট করবেন। অনিয়ম হলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

পাঠকের মতামত: