ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসুচিতে  ইউএনও: প্রয়োজনে কৃষকের বাড়িতে গিয়ে সরাসরি ধান-চাল ক্রয় করতে হবে

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::   খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি নীতিমালার আলোকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান-২০১৯ শুরু হয়েছে। এবছর চকরিয়া উপজেলায় সরকারি নিবন্ধনভুক্ত চালকলের মাধ্যমে সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পাঁচশত ৫৬ মেট্রিক টন ধান ও নয়শত ৮২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে। একইভাবে পেকুয়া উপজেলায় দুইশত ১১ মেট্রিক ধান ও তিনশত ৬১ মেট্রিক চাল সংগ্রহ হবে। ১৬ মে সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। উদ্বোধনের পর থেকে আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

গতকাল বুধবার সকালে চকরিয়ার নলবিলাস্থ চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামে উপস্থিত থেকে সংগ্রহ কার্যক্রম তদারকি করেছেন চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। এরপর ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে কৃষকের বাড়িতে যান ইউএনও’র নেতৃত্বে চকরিয়া উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ। ওইসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসাইন, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সফিউদ্দিন আহমদ, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো.মহিউদ্দিন, চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিক, সরকারি নিবন্ধনভুক্ত চালকল মালিক, সাধারণ কৃষক, ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।

সংগ্রহ অভিযান তদারকি শেষে ইউএনও নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, শুরু হওয়া ধান চাল সংগ্রহ অভিযান স্বচ্ছতার মাধ্যমে সম্পন্ন করতে প্রশাসনের পক্ষথেকে সবধরণের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে। প্রয়োজনে সরকারি নীতিমালার আলোকে কৃষকের বাড়িতে গিয়ে সরাসরি ধান সংগ্রহ করা হবে। তিনি বলেন, চাইলে আগ্রহী প্রকৃত কৃষকগণ শর্তসাপেক্ষে সরাসরি চালকল মালিকদের মাধ্যমে স্ব স্ব ইউনিয়ন থেকে খাদ্য গুদামে উপস্থিত হয়ে ধান বিক্রি করতে পারবে। তবে ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা ও তদারকি থাকবে। ধান সংগ্রহের কাজে ইউনিয়ন থেকে খাদ্য গুদাম পর্যন্ত যাতায়ত খরচ উপজেলা প্রশাসন বহন করবে।

চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল দত্ত বলেন, এবছর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি নীতিমালার আলোকে চকরিয়া উপজেলায় সরকারি নিবন্ধনভুক্ত চালকলের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে পাঁচশত ৫৬ মেট্রিক টন ধান ও নয়শত ৮২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে। একইভাবে পেকুয়া উপজেলায় দুইশত ১১ মেট্রিক ধান ও তিনশত ৬১ মেট্রিক চাল সংগ্রহ হবে। উদ্বোধনের পর থেকে আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ##

পাঠকের মতামত: