ঢাকা,মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় কৃষির উন্নয়নে একটি হিমাগার স্থাপন এখন সময়ের দাবি -চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া :: খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি নীতিমালার আলোকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আনুষ্ঠানিকভাবে ধান-চাল সংগ্রহ অভিযান-২০১৯ শুরু করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চকরিয়ার নলবিলাস্থ চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামে আয়োজিত সুধীসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেছেন চকরিয়া উপজেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী।

চকরিয়া উপজেলার চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল দত্তের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চকরিয়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সফিউদ্দিন আহমদ, পেকুয়া উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক শামীম উদ্দিন। অনুষ্ঠানে খাদ্য বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিক, সরকারি নিবন্ধনভুক্ত চালকল মালিক, সাধারণ কৃষক, ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সকল সদস্য এবং আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্নস্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুনীল দত্ত বলেন, এবছর খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি নীতিমালার আলোকে চকরিয়া উপজেলায় সরকারি নিবন্ধনভুক্ত চালকলের মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে পাঁচশত ৫৬ মেট্রিক টন ধান ও নয়শত ৮২ মেট্রিক টন চাল সংগ্রহ করা হবে। একইভাবে পেকুয়া উপজেলায় দুইশত ১১ মেট্রিক ধান ও তিনশত ৬১ মেট্রিক চাল সংগ্রহ হবে। উদ্বোধনের পর থেকে আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বলেছেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ সরকার একটি কৃষিবান্ধব সরকার। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ যত সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন হয়েছে, তাদের মধ্যে শেখ হাসিনা সরকার শুধুই ব্যতিক্রম। সেইলক্ষ্যে বর্তমান সরকার দেশের কৃষক ও কৃষিখাতের অগ্রগতি উন্নয়নে পরিকল্পিতভাবে কাজ করছেন।

তিনি বলেন, বিএনপি জামায়াত জোট সরকারের আমলে সারের জন্য দেশের সাধারণ কৃষককে গুলি করে মারা হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার আমলে দেশের প্রতিটি জনপদে কৃষকের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে প্রণোদনার সার বীজ থেকে শুরু করে কৃষি ভুতর্কির টাকা। বর্তমানে কৃষকরা পাচ্ছেন পাওয়ার টিলারসহ বিনামুল্যে কৃষি উপকরণ। দশ টাকা দিয়ে ব্যাংক হিসার খোলার সুযোগ দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার। উৎপাদিত কৃষিপণ্য বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। পাশাপাশি সরকার কৃষকের কাছ থেকে বেশিদামে ধান চাল ক্রয় করছেন। আবার বিপুল টাকা ভুর্তকি দিয়ে জনগনের মাঝে কমদামে বিক্রি নিশ্চিত করছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী আরও বলেছেন, দেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে কৃষিখাতের অভাবনীয় উন্নতি সাধন হয়েছে। সরকারের অগ্রযাত্রার সঙ্গে আগামীর পথে এগিয়ে গেছেন চকরিয়ার কৃষককুল। আগামীতেও আমরা কৃষিখাতের ধারাবাহিক এই সাফল্য অব্যাহত রাখতে চাই। সেইজন্য চকরিয়ায় সবার সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় কাজ করতে চাই। তিনি বলেন, চকরিয়া উপজেলার সকলস্তরের কৃষকের আর্থিকক্ষতি লাগবে ও কৃষিখাতের অগ্রগতি উন্নয়নে চকরিয়ায় একটি হিমাগার স্থাপন এখন সময়ের দাবি। জনগুরুত্ব বিষয়টির আলোকে স্থানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলমের সার্বিক সহযোগিতায় এখানে একটি হিমাগার স্থাপনে সরকারি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কাজ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পাঠকের মতামত: