ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সাঈদী কক্সবাজারে শ্রমিক-জনতার ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

কক্সবাজার ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: ১০৮৫) বারবার নির্বাচিত সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী বিপুল ভোটে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় কক্সবাজারে সর্বস্তরের শ্রমিক-জনতার পক্ষথেকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গতকাল রোববার (১২ মে) বিকালে কক্সবাজার শহরের একটি অভিজাত রেস্তোরায় কক্সবাজার ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: ১০৮৫) আয়োজনে ইফতার ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে সংগঠনের বিভিন্নস্থরের নেতাকর্মীরা সংগঠনের সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদীকে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা। সভাশেষে দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত শ্রমিক-জনতা সবাই ইফতার আয়োজনে অংশনেন।

কক্সবাজার ট্রাক মিনিট্রাক পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি: নং ১০৮৫) সভাপতি চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদীর সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার ট্টাক, মিনিট্টাক, পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আবদুর সবুর, সহ-সভাপতি নুরুল আমিন পুতু, অর্থসম্পাদক নাছির উদ্দিন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবদুল মান্নান, সিনিয়র সদস্য চকরিয়া উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি শওকত হোসেন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা পরিমল বড়–য়া, সংগঠনের সদস্য সামসুল আলম চেয়ারম্যান, বালুখালী শাখা কমিটির সভাপতি আবছার মেম্বার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মেম্বার, পেকুয়া উপজেলা কমিটির সভাপতি ফোরকান উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ, সদস্য বেলাল উদ্দিন, উপজেলা চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারি সাজ্জাদ হোসেন, পাভেল আজম প্রমুখ।

ইফতার মাহফিলে কক্সবাজার ট্রাক-মিনিট্রাক-পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের আওতাধীন টেকনাফ, মোছনী, হৃীলা, উখিয়া, কোটবাজার, শামলাপুর, রামু, লিংকরোড, রশিদ নগর, চৌফলদন্ডী, নাপিতখালী, খুটাখালী, ডুলাহাজারা, ফাসিয়াখালী, চকরিয়া ও পেকুয়া শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে সংগঠনের সর্বস্তরের শ্রমিকজনতা অংশগ্রহণ করেন।

কক্সবাজারে সর্বস্তরের শ্রমিক-জনতার শুভেচ্ছার জবাবে চকরিয়া উপজেলার নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী বলেছেন, আমি রাজনীতি আর খেলাধুলার পাশাপাশি সবসময় শ্রমজীবি মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। যেখানে শ্রমিক জনতা বঞ্চনার শিকার হয়েছে সেখানে প্রতিবাদ করেছি। অনেকসময় প্রশাসন ছাড়াও প্রভাবশালী মহল সেই কারনে আমার প্রতি নাখোশ হয়েছেন। তবু আমি শ্রমিকদের পাশ থেকে চলে যায়নি। সেই প্রতিদান আমাকে শ্রমিক ভাই-বন্ধুগন চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দিয়েছেন। সর্বস্তরের জনগনের পাশাপাশি আমার শ্রমিক ভাইয়েরা নিজেদের পক্ষথেকে আমার জন্য ভোট করেছেন। আমি তাদের এই ঋণ শোধ করতে পারবো না।

তিনি বলেন, সারাদেশের মতো কক্সবাজার জেলা ও চকরিয়া উপজেলার প্রতিটি মোকামে আজ শ্রমজীবি মানুষ অবহেলার শিকার। তাঁরা কায়িম শ্রম বিকিয়ে দিলেও বিনিময়ে কাঙিত মুজুরি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এই বঞ্চনা আগামীতে যাতে না ঘটে সেইজন্য সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। মে দিবসের শপথ হোক শ্রমজীবি মেহনতি জনগনের বৈষম্যহীণ শান্তির চকরিয়া তথা কক্সবাজার গড়তে শ্রমিক জনতা সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। ##

পাঠকের মতামত: