আতিকুর রহমান মানিক :: কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেস্ক শাখায় চলছে তুঘলকি সব কাজ-কারবার। দূর্নীতিবাজ কয়েকজন কর্মচারীর খেয়াল -খুশী ও অনৈতিক ঘুষ বাণিজ্যের ফলে এখানে প্রতিনিয়ত আর্থিক-মানসিক হয়রানি এবং দুর্ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থী জনগন।
জেলা প্রশাসক কাযালয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ এই ফ্রন্টডেস্ক শাখা। জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও ভূৃমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তাসহ ডি সি অফিসের আওতাধীন বিভিন্ন শাখা-বিভাগের যে কোন আবেদন-দরখাস্ত ও অভিযোগ ফ্রন্টডেস্কেই জমা দিতে হয়। তাই সমগ্র জেলা থেকে প্রতিদিন কয়েকশত আবেদন- দরখাস্ত ও অভিযোগ জমা পড়ে এই ফ্রন্ট ডেস্কে।
এর উপর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল লাইন প্রকল্প, মেরিন ড্রাইভ সড়ক নির্মান প্রকল্প, মহেশখালী উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন মাতার বাড়ী কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প ও এলএনজি টার্মিনালসহ আরো বিভিন্ন প্রকল্পে অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরন প্রদান প্রক্রিয়া শুরু হলে গত কয়েক বছর থেকে প্রতিদিন শত শত ক্ষতিপূরণ আবেদন জমা হচ্ছে ফ্রন্ট ডেস্ক শাখায়। আর এ সুযোগে প্রতিটি আবেদন জমা নিতে ২০০ থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছে ফ্রন্ট ডেস্কে কর্মরত কর্মচারী মিজানের নেতৃত্বাধীন অসাধু সিন্ডিকেট। অথচ এখানে টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই।
ভুক্তভোগীরা জানান, টাকা না দিলে কোন আবেদন জমা নেয়া হয়না, বরং দূর্ব্যবহার করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। সদর উপজেলার ঈদগাঁও থেকে আগত মুসলিম উদ্দীন জানান, রেল লাইন প্রকল্পের আওতায় অধিগ্রহণকৃত জমির ক্ষতিপূরন আবেদন জমা দিতে গেলে এক হাজার টাকা দাবী করে উক্ত মিজান। টাকা দিতে না চাইলে মিজানসহ আরো কয়েকজন কর্মচারী খারাপ আচরন করে। পরে দর কষাকষি করে ৫০০ টাকা দিতে হয়।
অপর ভূক্তভোগী আরিফ জানান, ভূমি অধিগ্রহন কমকর্তা বরাবর লিখিত একটি অভিযোগ জমা দিতে ফ্রন্ট ডেস্কে গেলে ৫০০ টাকা দাবী করে। টাকা না দিলে চরম দুর্ব্যবহার করে ও পরে আসতে বলে বিদায় করে দেয়। সদর উপজেলার ঈদগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক কাফি আনোয়ার জানান, কয়েকদিন আগে জেলা প্রশাসক বরাবরে সাধারন একটি দরখাস্ত জমা দিতে গেলে ১০০ টাকা আদায় করে উক্ত মিজান। অপর ভুক্তভোগী হাসান বলেন, ফ্রন্ট ডেস্কে টাকা ছাড়া কোন আবেদন জমা নেয়া হয়না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অপর সেবাপ্রার্থী জানান, কয়েকদিন আগে ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা বরাবরে একটি আবেদন জমা দিতে গেলে ৫০০ টাকা দাবী করে ফ্রন্টডেস্কে কর্মরত মিজান। কিসের টাকা জানতে চাইলে কয়েকজন মারমুখী ভঙ্গিতে তেড়ে আসে ও আবেদনের দরখাস্তটি বাইরে ফেলে দেয়। মহেশখালী থেকে আগত আনছার জানান, জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত একটি আবেদন জমা দিতে গেলে ১ হাজার টাকা দাবী করে। টাকা দিতে রশিদ চাইলে “এসব এখানে জমা নেয়া হয়না” বলে সাফ জানিয়ে দেয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নীচতলায় সিঁড়ির পার্শ্বে অবস্হিত ফ্রন্ট ডেস্ক অফিসের কর্মচারীদের হাতে এভাবেই হয়রানি হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। আর এসব নিয়ন্ত্রন করছে ফ্রন্টডেস্কে কর্মরত জনৈক মিজান। তার নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট এভাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ২০/ ৩০ হাজার টাকা অবৈধভাবে হাতিয়ে নিচ্ছে। গত কয়েকবছর ধরে চলে আসছে এ অনৈতিক টাকা আদায় ও হয়রানি। উপরোক্ত ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে উদ্ধত ভঙ্গিতে “তোমার থেকে টাকা নিয়েছি কিনা” বলে এ প্রতিবেদককে পাল্টা প্রশ্ন করে অভিযুক্ত মিজান।
জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের ফোনে সংযোগ না পাওয়ায় উপরোক্ত ব্যাপারে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
- চকরিয়াতে দুই স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নামসর্বস্ব অবৈধ হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের নজরদারী নাই
- লামা বনবিভাগের মানিকপুর রিজার্ভে পাহাড়কাটার ধুম: নিরব প্রশাসন
- চকরিয়ায় বাড়ির পাশে ট্রেন দেখতে গিয়ে কাটাপড়ে কিশোরী মাদারাসা ছাত্রীর মৃত্যু
- চকরিয়ায় ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে দলছুট বন্যহাতির আক্রমণে কৃষক নিহত
- চিরিংগা হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মাহবুবুল হকের চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে শ্রমিকদের মানববন
- চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ জেলের মরদেহ ১৯ ঘন্টা পর উদ্ধার
- চকরিয়ায় সাড়ে ৫ কেজি গাঁজাসহ পেশাদার মাদক কারবারি গ্রেফতার
- পুলিশের কাছ থেকে হাতকড়াসহ পালাল আসামি
- রামুতে ৬টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান
- চকরিয়া ৩৪ বছরের চলাচলের রাস্তা দখলমুক্ত করলেন ইউএনও, খুশি এলাকাবাসী
- চকরিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মুহূর্তে পুড়ে ছাই ৫ বসতঘর, ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন
পাঠকের মতামত: