ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

স্লুইচগেইট খোলা, বেড়িবাঁধ ভাঙা: কিছুই করার নেই পাউবো’র!

শাহেদ মিজান, কক্সবাজার ::  ধেয়ে আসছে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। গত ৪৭ বছরের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে বড় ঘূর্ণিঝড়; যা বাংলাদেশের আয়তনের চেয়ে বড়। এতে বাতাসের সাথে জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কাই বেশি থাকছে। জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা বেশি থাকায় কক্সবাজার জেলার কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া ও টেকনাফসহ নিচু এলাকা বেশ জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে রয়েছে। এই ঝুঁকিকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে এসব এলাকার বেড়িবাঁধ ও স্লইচগেইটগুলো। সবমিলে প্রায় ৪০০টি স্লুইচগেইট খোলা অবস্থায় রয়েছে। একই সাথে অধিকাংশই এলাকার বিভিন্ন অংশে ভাঙা রয়েছে বেড়িবাঁধ।

আজ বৃহস্পতিবার (২ মে) কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলার প্রস্তুতি সভায় অংশ নেয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রতিনিধি খোদ এই তথ্য জানান। আশ্চর্য্যনজনক তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ আঘাত হানার এই ভীতিকর মুহূর্তেও স্লুইচগেইটগুলো খোলাই থাকবে! এর মধ্যে ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামততো অলীক কল্পনা!

সূত্র মতে, জেলার উপকূলীয় এলাকার বেড়িবাঁধে প্রায় ৪০০ স্লুইট গেইট রয়েছে। লবণ ঘের ও চিংড়ি ঘেরে পানি ঢুকানোর কারণে এসব স্লুইচগেইট খোলা রাখা হয়েছে। একইভাবে বেড়িবাঁধ কেটেও পানি ঢুকানো হচ্ছে। প্রস্ততি সভায় এই প্রসঙ্গটি তুলেন এড. সিরাজুল মোস্তফা। তখন সভায় উপস্থিত কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রতিনিধির কাছে এই প্রসঙ্গে জানতে চান ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আবছার। এর জবাবে ওই কর্মকর্তা সাফ জানিয়ে দেন- স্লুইচগেইট খোলা ও বেড়িবাঁধ ভাঙা থাকলেও এই মুহূর্তে পানি উন্নয়ন বোর্ডের করার কিছুই নেই! কারণ হিসেবে তিনি জানান- স্বল্প সময়ের মধ্যে তা সম্ভব নয়! ধেয়ে আসা জলোচ্ছ্বাসের এই বিষয়টি অত্যন্ত ভীতিকর হলেও তা নিয়ে তেমন গুরুত্ব দেননি ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক।

স্থানীয় পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্বাভাবিকের চেয়ে এক মিটার পানি বাড়লেই খোলা স্লইচগেইট ও ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে জলোচ্ছ্বাসের পানি অনায়সেই লোকালয় তলিয়ে যাবে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছেন- স্বাভাবিকের চেয়ে ৫/৬ মিটার পানি বাড়তে পারে।

পাঠকের মতামত: