ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ, এখনো অরক্ষিত উপকূল

নিউজ ডেস্ক ::

ভয়াল ২৯ এপ্রিল আজ। ১৯৯১ সালের এই দিনে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ও ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক প্রাণহানি হয়। তছনছ হয়ে যায় উপকূল। নানা কর্মসূচিতে দিবসটি পালন করছে বিভিন্ন সংগঠন। বিস্তারিত প্রতিনিধিদের পাঠানো খবরে :

চকরিয়া-পেকুয়া : উপকূলীয় বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সাবেক সভাপতি আবদুল হান্নান (৮০) এখনো সেদিনের কথা মনে করে আঁতকে উঠেন। বলেন, ‘এখানে-ওখানে শুধুই লাশ আর লাশ। একদিকে মানুষের লাশ, অপরদিকে গবাদিপশু।’

এদিকে উপকূলের বেশির ভাগ বেড়িবাঁধ এখনো অরক্ষিত। উপকূলবাসী রয়েছেন শঙ্কায়।

সন্দ্বীপ (চট্টগ্রাম) : দ্বীপবাসী এখনো অরক্ষিত। দ্বীপের চারদিকে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হয়নি। নেই প্রয়োজনীয় আশ্রয়কেন্দ্রও। বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্মিত প্রায় ৬৫টি স্কুল কাম ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের মধ্যে অধিকাংশের দরজা-জানালা ভাঙা। বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন উড়িরচরে কোনো বেড়িবাঁধ নির্মিত হয়নি। ৭/৮টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের বেশির ভাগই জরাজীর্ণ।

সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : ২৬ কিলোমটাির বেড়িবাঁধের মধ্যে সোনাইছড়ি, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বাড়বকুণ্ড, মুরাদপুর, সৈয়দপুর, বারৈয়াঢালা এলাকায় ৬-৭ কিলোমিটার ভেঙে গেছে। উপকূলীয় বনের আয়তন ১০ হাজার একর হলেও সেখানে অর্ধেকেরও সবুজ বেষ্টনী অবশিষ্ট নেই। উপজেলার ৫ লক্ষাধিক মানুষের বিপরীতে সাইক্লোন শেল্টার কাম স্কুল রয়েছে মাত্র ৫৯টি। তবে সৈয়দপুরের বগাচতর ও মহালঙ্গায় আরো দুটি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: