ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় পুঁজার মোমবাতির আগুনে চার ভাইয়ের বসতঘর পুড়ে ভস্মিভুত, ঘটনাস্থল পরিদর্শনে ইউএনও

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::   চকরিয়ায় সান্ধ্যকালীন পুঁজা দিতে গিয়ে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে চার ভাইয়ের বসতঘর ভস্মিভুত হয়ে গেছে। আগুনে চারটি পরিবারের অন্তত ৪০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের সুধাশু পাহাড়ের হিন্দু পাড়া এলাকায় ঘটেছে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে অগ্নিকা-ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মাসুদুর রহমান।

পরিদর্শনকালে ওইসময় প্রশাসনের পক্ষথেকে ক্ষতিগ্রস্থ চারটি পরিবারকে তাৎক্ষনিক দুই বান করে ৮ ব্যান ঢেউটিন ও নগদ ২৪ হাজার টাকা এবং ৮ বস্তা চাল ডাল তৈল বিতরণ করা হয়েছে।

এলাকাবাসি জানায়, উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নস্থ সুধাশু পাহাড়ের হিন্দু পাড়া এলাকার ডা: অরুন কান্তি দেসহ তার তিন ভাই এবং ছেলে ডা: অরুপ দে যৌথ পরিবার পৃথকভাবে বসবাস করে আসছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় একটি বসতঘরে সন্ধ্যাকালীন পুজা করতে মোমবাতি জ্বালানো হয়। ওইসময় পরিবারের সদস্যদের অসাবধানতায় পুজোর ঘরে জ্বালানো মোমবাতি থেকে অগ্নিকান্ডে সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তে আগুনের লেলিহান শিখা বাড়ির চারপাশে ছড়িয়ে পড়লে পাশের আরও তিনটি বসতঘর পুড়ে ভস্মিভুত হয়।

বরইতলী ইউপি চেয়ারম্যান জালাল আহমদ সিকদার বলেন, আগুন লাগার পরপর স্থানীয় লোকজন চেষ্টা করেও তারা আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হন। পরে চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে কাজ শুরু করে। তবে ততক্ষনে ওই চারটি বসতঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মধ্যে রয়েছে স্থানীয় ডা: অরুণ কান্তি দে, তার ভাই যদু কান্তি দে, অমর কৃষ্ণ দে ও ডা: অরুণ কান্তি দে’র বড় ছেলে ডা: অরুপ দে।

ক্ষতিগ্রস্থ গৃহকর্তা ডা: অরুপ দে বলেন, অগ্নিকান্ডে তাদের চারটি বসতঘরে নগদ টাকা, টিভি, ফ্যান, ফ্রিজ, ধানসহ আসবাবপত্র পুড়ে গিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূরুদ্দীন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি বুধবার রাতে শুনেছি। গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষথেকে ক্ষতিগ্রস্থ চারটি পরিবারকে চারটি পরিবারকে তাৎক্ষনিক দুইবান করে ৮ ব্যান ঢেউটিন ও নগদ ২৪ হাজার টাকা এবং ৮ বস্তা চাল ডাল তৈল দেয়া হয়েছে।##

পাঠকের মতামত: