ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জামিনে মুক্তি পেলো খরুলিয়ার সেই মা-মেয়ে

শাহেদ মিজান, কক্সবাজার ::
চারদিন কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছে ব্যাপক আলোচিত ভূমিদস্যু কর্তৃক দায়ের করা মিথ্যা মামলায় কারাগারে যাওয়া মা-মেয়ে। তারা হলেন- খরুলিয়ার সাজেদা খাতুন (৬০) ও তার মেয়ে সাজিয়া। রোববার (২১ এপ্রিল) রাতে কক্সবাজার কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা। পরিবার সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

গত ১৭ এপ্রিল বসতভিটা দখলের জন্য খরুলিয়ার ভূমিদস্যু সৌদি প্রবাসী শফিকুলের লোকজন সাজেদার বাড়িতে হামলা চালায়। তারা হামলা চালিয়ে উল্টো কোনো মামলা ছাড়াই সাজেদা খাতুন (৬০) ও তার মেয়ে সাজিয়াকে (২০) আটক করেছিল পুলিশ। পরে মিথ্যা হামলার মামলা দিয়ে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলামের ভাই আবদুর রহীম বাদি হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি মারামারির মিথ্যা মামলা দায়ের করেছিল।

গত ১৬ এপ্রিল রাতে ভূমিদস্যু শফিকুল ইসলামের নির্দেশে তার সহযোগী নুরুল ইসলামের নের্তৃত্বে রাতের অন্ধকারে আরেক দফা সাজেদার বসতভিটায় হামলা চালিয়েছিল ভূমিদস্যুরা। এসময় ভাংচুর চালিয়ে গাছপালা কেটে নিয়ে যায় তারা। দ্রুত বাড়ি ছেড়ে না গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়।

নির্যাতিত পরিবারের অসহায় মা-মেয়েকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর ঘটনা তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সর্বত্র ব্যাপক সমালোচনা হয়। এতে টনক নড়ে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের। পরে প্রকৃত ঘটনার উন্মোচনের জন্য মাঠে নামে পুলিশ। রোববার বিকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলাম ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি খাইরুজ্জামান ঘটনার তদন্তে যান। এসয়ম প্রকৃত ঘটনা জানতে পারেন। এই ঘটনায় আদালতের ১৪৪ ধারা নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই বিষয়টি আদালতে মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত দু’পক্ষে স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলাম। একই সাথে ওই নির্যাতিত পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এর অংশ হিসেবে টহল পুলিশ সার্বক্ষণিক ওই পরিবারের নিরাপত্তায় নিয়োজিত রয়েছেন। শবে বরাতের দিন গভীর রাতেও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলামসহ পুলিশের দল নির্যাতিত পরিবারটিকে পাহারা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আদিবুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ভূমিদস্যু পুলিশকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিল। তবে খুব স্বল্প সময় মধ্যে আমরা বিষয়টি টের পেয়ে যাই। সাথে সাথে প্রকৃত ঘটনা জানতে তদন্ত করেছি। তদন্তে জানতে পেরেছি ওই বসতভিটা নিয়ে আদালতের ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে। কিন্তু তা না মেনে শফিকুল ওই পরিবার উচ্ছেদ করতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাকে তা করতে দেয়া হবে না। পুলিশ তার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নিবে।’

পাঠকের মতামত: