ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

বলী খেলার নামে জুয়ার আসর বসাতে মরিয়া প্রভাবশালী মহল!

শাহিদ মোস্তফা শাহিদ,কক্সবাজার সদর ::
পহেলা বৈশাখ শেষ হতে না হতেই বৈশাখী মেলার আড়ালে বলীখেলার নামে জুয়ার আসর বসাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বৃহত্তর ঈদগাঁওয়ের চৌফলদন্ডী, পোকখালী, ঈদগাঁও, জালালাবাদ ইউনিয়নের ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী এবং স্থানীয় প্রভাবশালী মহল ও বেকার যুব সমাজ। তাদের জোর ও অভয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছে চিহ্নিত জুয়াড়ি চক্র। ইতিমধ্যে আয়োজককারীদের সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বলে জানা গেছে। পবিত্র মাহে রমজানের আগে বলীখেলার নামে জুয়ার আসর বসালে এলাকার ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের সাথে সংঘর্ষের আশংকাও রয়েছে বলে সূত্রটি দাবী করেন।
জানা যায়, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও বৈশাখী মেলার নাম দিয়ে বলীখেলার নামে জুয়ার আস্তানা গড়ে তুলে এলাকার কথিপয় বেকার যুবক।তাদেরকে সহযোগিতা করে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
জেলা, উপজেলা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যানদের অনুমতি নেওয়া পর্যন্ত যত অর্থ খরচ প্রয়োজন হয় সবগুলো সঙ্গবদ্ধ জুয়াড়ি চক্রের প্রধান জোগান দেয় বলে জানান এলাকার সচেতন লোকজন।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, বলীখেলার আড়ালে সবচেয়ে বেশি জুয়ার আসর বসে চৌফলদন্ডী এবং পোকখালী ইউনিয়নে। এসব জুয়ার আসরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে একাধিক বার এলাকার সাধারণ মানুষের সাথে আয়োজক কমিটির মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গুলা গুলি, সংঘর্ষও হয়েছিল। এবারও সংঘর্ষের মত ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করেন সাধারণ জনগণ। পোকখালী ইউনিয়নের ইছাখালী এলাকার যুবক সাজেদুল কবির চৌধুরী সাজু নামের এক ব্যক্তি বলেন, জেলা, উপজেলা প্রশাসন থেকে বলীখেলার নামে ঐতিহ্যবাহী একটি সংস্কৃতির অনুমতি এনে ৩/৪ দিন ধরে সুবিধা জনক স্থানে সামিয়ানা টানিয়ে প্রকাশ্য দিবালোকে জমজমাট জুয়ার আসর বসায় গুটি কয়েক বেকার যুবক। তাদের সহযোগিতা করে কথিপয় কিছু নেতা ও জনপ্রতিনিধি। বলী খেলা একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি কিন্তু এই সংস্কৃতির আড়ালে প্রকাশ্য দিবালোকে জমজমাট জুয়ার আসর গড়ে তোলা কোন সভ্য সমাজে হতে পারে না। মুলত তারা বলীখেলার অনুমতি পেলেও জুয়ার আসর বসাতে অনুমতি পায় না। উপজেলা ও স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দিব্যি চালিয়ে যায় জুয়া খেলা। তিনি আরো জানান, পবিত্র রমজান মাসের আগে বলীখেলার নামে জুয়ার আসর বসাতে অনুমতি যারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক। রফিকুল ইসলাম নামের চৌফলদন্ডীর অপর এক যুবক জানান, প্রতি বছর বলীখেলার আড়ালে জুয়ার আসর বসাতে গিয়ে একাধিক বার স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এমনকি জুয়ার আস্তানায় চাঁদা দাবী করতে গিয়েও ঘটেছে একাধিক ঘটনা। বর্তমান পেক্ষাপটে বেকারত্ব বাড়ায় জুয়া খেলায় অংশ নিতে বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি, ছিনতাই, চুরির মত ঘটনাও ঘটবে বলে আশংকা করেন তিনি।ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক হতে পারে পুরো ঈদগাঁওতে। অপরদিকে উঠতি বয়সী ছাত্রদের অভিভাবকরাও রয়েছে আতংকে। জুয়া খেলায় অংশ নিতে অর্থ না পেলে অপরাধ জগতে পা বাড়াতে পারে তরুণ বয়সের ছাত্ররা এমন তাই জানালেন এক অভিভাবক।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ঈদগাঁও পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, ঐতিহ্যহাসিক সংস্কৃতি হিসেবে বলী খেলা চলতে পারে। কিন্তু বলীখেলার আড়ালে কেউ জুয়ার আসর বসালে কঠোর ব্যবস্থা এবং গুড়িয়ে দেওয়া হবে আস্তানা।

পাঠকের মতামত: