ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় একই পরিবারের ৪টি গরু চুরি (পকুয়া সংবাদ)

imagesপেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় একই পরিবারের ৪টি গবাদি পশু চুরি হয়েছে। গত ১২মার্চ শনিবার গভীর রাতে উপজেলার বারবাকিয়া ইউনিয়নের কুতুবপাড়া এলাকায় চুরির এ ঘটনাটি ঘটে। জানাযায় ওইদিন সংঘবদ্ধ চুরের দল গভীর রাতে বারবাকিয়ার কুতুবপাড়া এলাকার মৃত মাহমত শরীফের ছেলে মুহিব উল্লাহর বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা গোয়াল ঘরের দরজার তালা ভেঙ্গে ৪টি গাভী চুরি করে নিয়ে যায়। চুরি হওয়া গাভীগুলোর মুল্য আনুমানিক দু’লক্ষাধিক টাকা। পবাদিপশুর মালিক মুহিব উল্লাহ জানায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দুর্বৃত্তরা আমার পালিত গরুগুলো চুরি করে নিয়ে যায়। তিনটি লাল ও একটি কালো রংয়ের গাভী। গরুর মালিক কোন সুহৃদ ব্যক্তি গরুগুলোর খোঁজ পেলে নি¤œ ০১৮৭৯-২৯৭৭৪২ নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। সন্ধ্যান দাতাদের তিনি উপযুক্ত পুরুস্কৃত করবেন বলে জানিয়েছেন।

###############

পেকুয়ায় চেয়ারম্যান ও সদস্য পদে ২৩ জনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়া উপজেলার ৭ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে ৫জন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও ১৮ জন সদস্য পদপ্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল রবিবার রির্টানিং অফিস সুত্রে জানা যায়, পেকুয়া সদর ইউনিয়নে যুবলীগের উপজেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, উজানটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি তোফাজ্জল করিম, বারবাকিয়া ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাকিল সিকদার, শিলখালী ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদু রশিদ ও শামশুল আলম মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। এ দিকে শিলখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডে ছৈয়দুল আলম, টইটং ইউনিয়নে ১ নং ওয়ার্ডে আবদু রহিম, ২ নং ওয়ার্ডে আলমগীর, বদিউল আলম, নুর মোহাম্মদ, ৭ নং ওয়ার্ডে বেলাল উদ্দিন, ৯ নং ওয়ার্ডে নুরুল আবছার, বারবাকিয়া ইউনিয়নে সংরক্ষিত (৭,৮,৯)নং ওয়ার্ডে জন্নাতুন তাহমিনা, ৮ নং ওয়ার্ডে বেলাল উদ্দিন, উজানটিয়া ইউনিয়নে ৩ নং ওয়ার্ডে শরিয়ত উল্লাহ, ৫ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ রাশেদ, ৯ নং ওয়ার্ডে নুরুল হুদা আক্তার, মগনামা ইউনিয়নে ২ নং ওয়ার্ডে নুরুল আবছার, ৩ নং ওয়ার্ডে নুরুল ইসলাম, ৬ নং ওয়ার্ডে ওয়াহিদুল ইসলাম, ৯ নং ওয়ার্ডে নুরুল হুদা, পেকুয়া সদর ইউনিয়নে ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনে ফেরদৌস জাহান ফরিদা, ১ নং ওয়ার্ডে আমিনুর রহমান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছে।

 ###############

পেকুয়ায় ভাসুরপুত্র পিটিয়ে আহত করেছে চাচীকে!

পেকুয়া প্রতিনিধি :::

পেকুয়ায় মাত্র একশত টাকার জন্য ভাসুরপুত্ররা বেদড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে আপন বৃদ্ধ চাচীকে। স্থানীয়রা তাকে মুর্মুষ অবস্থায় উদ্ধার করে পেকুয়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। গত শুক্রবার রাত ৮টায় উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের ফুলতলা সেনায়েতআলী পাড়ায় এ ঘটনাটি ঘটে। আহত মহিলার নাম রশিদা বেগম (৫০)। সে ওই এলাকার মোস্তাক আহমদের স্ত্রী বলে জানা গেছে। তার শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্বক ফুলা জখম রয়েছে। আহত রশিদা বেগম জানায় ছেলে হেলাল উদ্দিন আমার ভাসুর ছেলে হান্নানের কাছ থেকে একশত টাকা ধার নেয়। অপরদিকে আমি তার মার কাছ থেকে নব্বই টাকা পাওনা আছি। ওই দিন পাশে একটি মসজিদের বার্ষিক সভা চলছিল। রাতে হান্নান আমার কাছে ওই টাকা ফেরত চাই। আমি তার মার কাছে টাকা পাওনা আছি বললে সে তেলে বেগুনে জ্বলে উঠে। এ সময় আমাকে কথ্য ভাষায় গালিগালিজ শুরু করে হান্নান। এক পর্যায়ে হান্নান, তার ভাই আজু, ফোরকান ও ভাসুর তাদের পিতা নুরুল আলম মিলে আমাকে লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।

###############

পেকুয়ায় ঋনদান সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন কালু

পেকুয়া প্রতিনিধি ::::

পেকুয়ায় কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি. (ঋনদান সমিতির) ব্যবস্থাপনা কমিটির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছেন আলহাজ্ব মো.আলম প্রকাশ কালু। ঋনদান সমিতির প্রতিষ্টাতা সদস্য তিনি। পেকুয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লি.অর্থলগ্নি ও বানিজ্যিক প্রতিষ্টান হিসেবে আজ দেশের সর্বত্রে এর খ্যাতি ও সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে। ঋন বিতরন, আমানত ও সঞ্চয় গঠনে ওই সমিতি ব্যাপক প্রসারিত হয়েছে। এর সদস্য সংখ্যা বর্তমানে প্রায় ৬হাজার ৪শত ২জন। আগামি ১৯মার্চ অনুষ্টিত হবে ঋনদান সমিতির নির্বাচন। কয়েকজন উদ্যেক্তা দারিদ্র জনগোষ্টির আর্থ কর্মসংস্থান ও ভাগ্য উন্নয়নের জন্য বিগত ২৮বছর আগে পেকুয়ায় ঋনদান সমিতি গঠিত হয়েছে। এক সময় সমন্তবাদি প্রথা ও অর্থ ব্যবস্থায় দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্টির অর্থের প্রবাহ থেকে পিছিয়ে ছিল। সবকিছু নিয়ন্ত্রক ছিলেন অর্থবিত্তরা। ১৯৮৮সালের পহেলা জুন পেকুয়ায় ক্ষুদ্র ঋন বিতরন ও সঞ্চয়ী সংগ্রহের জন্য সে সময় মাত্র ১৩জন উদ্যেক্তা ওই সমিতি প্রতিষ্টা করেন। প্রতিষ্টাতা সদস্য হিসেবে মো.আলম কালু এ সমিতির ২নং ক্রমিকের সদস্য। আজ এর অগ্রযাত্রা সুদুর প্রসারি। কালবের নিয়ন্ত্রনাধিন পেকুয়ায় এ সমিতির স্থাবর-অস্থাবর মুলধন প্রায় বিশ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। অর্থলগ্নি এ প্রতিষ্টান অনেক নামি দামি ব্যাংক ও বানিজ্যিক প্রতিষ্টানকে পেছনে ফেলে অনেকদুর এগিয়ে গেছে। সমবায় প্রতিষ্টান হিসেবে এটি বাংলাদেশ ও বর্হিবিশ্বে সুনাম সৃষ্টি করেছেন। এশিয়া মহাদেশে ঋনদান সমিতি দ্বিতীয় অবস্থানে। এদিকে ওই সমিতির ব্যবস্থাপনা পর্ষদে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে চেয়ার মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আলহাজ্ব মো.আলম কালু। তিনি সদর ইউনিয়নের মিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তার পরিবার এ অঞ্চলে নিপীড়িত মানুষের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। তার পিতা মরহুম আলহাজ্ব ছালেহ আহমদ প্রকাশ মধুমাঝি একজন জনদরদি ও অন্যায়ের প্রতিবাদি ছিলেন। সে সময় সমন্তবাদ প্রথার বিরুদ্ধে শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষে বলিষ্ট কন্ঠস্বর ছিলেন মধুমাঝি। কখনো নীতি ও আদর্শকে বিচ্ছিত হননি। ঋনদান সমিতির প্রথম নির্বাচনে মো.আলম প্রকাশ কালু সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর পৃথক মেয়াদে তিনি আরো দু’বার সভাপতি ছিলেন। তার সময় ওই সমিতির ব্যাপক পরিবর্তন ও অগ্রগতি সাধিত হয়। ক্ষুদ্র ঋন ব্যবস্থা দ্রুত ছড়িয়ে দেয়া হয় গ্রহীতাদের মাঝে। কালু একজন সাদা সিদে ও নির্লোভ ব্যক্তিত্ব। এ সমিতির অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে দীর্ঘ সময় থেকে তিনি যৌবন ও গুরুত্বপর্ন সময় অতিবাহিত করেছেন। নেতৃত্ব থেকে কিংবা নেতৃত্ব’র বাহিরে থেকেও সমিতির কল্যানে সব সময় নিজকে অর্ন্তনিহীত করেছেন। কালের পরিক্রমায় আজ তারুন্য ও প্রবীন সমাজ ব্যবস্থায় শেষ বয়সে এসেও তিনি প্রানের ও হৃদয়ের এ প্রতিষ্টানকে ঢেলে সাজানোর স্বপ্ন দেখেন। ভোট আসলে আর বসে থাকেনা এ প্রবীন সমবায় সংগঠক। অত্যন্ত মন ও প্রানের উচ্ছাস নিয়ে ছুঁটছেন মানুষের ধারে ধারে। এব্যাপারে ওই সমিতির ভোটররা জানান কালু একজন স্বার্বজনীন মানুষ। আসলে এ সমিতি অনেকটা রাজনৈতিক প্রতিষ্টানে পরিনত হয়েছে। যার যা ইচ্ছে তাই চলছে এ বানিজ্যিক প্রতিষ্টান। আমরা এর আমুল পরিবর্তন প্রত্যাশা করছি। কালু তার নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে এ সমিতির সবকিছু দেখেন। নেতৃত্বে আমরা তারমত সংগঠককে চাই। আমরা চেয়ার মার্কার বিজয় চাই। কালু নবীন-প্রবীন সকলের কাছে প্রিয় প্রার্থী। এ সমিতিকে দুর্নীতি ও রাজনৈতিকমুক্ত দেখতে চাই। ভোটাররা জানায় কালু অন্য প্রার্থীদের চেয়ে অনেকদুর এগিয়ে। নির্বাচনে তিনি অবশ্যই চমক দেখাবেন। এ ব্যাপারে সভাপতি প্রার্থী মো.আলম প্রকাশ কালু জানিয়েছেন

পাঠকের মতামত: