ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

লামা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: সম্পদে এগিয়ে সেতারা, শিক্ষায় মোস্তফা জামাল, দারিদ্রতায় আলমগীর

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ::

আসন্ন পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লামায় চেয়ারম্যান ৩ প্রার্থীর মধ্যে সম্পদের দিকে এগিয়ে আছে সেতারা আহামদ ও পিছিয়ে রয়েছে মো. আলমগীর। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগের প্রার্থী মো. মোস্তফা জামাল এইচ.এস.সি পাশ, জাতীয়পার্টির প্রার্থী সেতারা আহামদ মাধ্যমিক ও মো. আলমগীর স্ব-শিক্ষিত এবং পেশায় মো. মোস্তফা জামাল কৃষি/ব্যবসা, সেতারা আহামদ গৃহিনী ও মো. আলমগীর কৃষি বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন।

প্রার্থীদের মধ্যে অর্থ সম্পদের দিক দিয়ে অন্যদের তুলনায় সেতারা আহামদ বেশ এগিয়ে আছেন। তবে কোন প্রার্থীই কোথাও নেই কোন দায়দেনা বা ঋণ। জাতীয়পার্টির প্রার্থীর বিরুদ্ধে লামা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪৪৭, ৩৭৯ দন্ডবিধির অভিযোগে ১টি মামলা চলমান রয়েছে। অপরদিকে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের হলফনামা থেকে জানা গেছে, আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মোস্তফা জামাল এর অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এছাড়াও তার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী রয়েছে টিভি ১টি, ফ্যান ৪টি, ফ্রিজ ১টি, মোবাইল সেট ৩টি যার মূল্য ৮৫ হাজার টাকা। আসবাবপত্রের মধ্যে আছে সোফাসেট ১টি, আলমারি ২টি, খাট ২টি, চেয়ার ৬টি, আলনা ২টি যার মূল্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। স্ত্রীর নামে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও নির্ভরশীলদের নামে ৭০ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রীর ২০ ভরি স্বর্ণ অলংকার রয়েছে যার মূল্য দেখিয়েছেন ৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ০.৫০ শতাংশ জমি, সেমি পাকা ১টি দোকানের কথা উল্লেখ করেন। তার কৃষিখাত, বাড়ি-দোকান ভাড়া ও ব্যবসা হতে বার্ষিক আয় ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা।

জাতীয়পার্টি মনোনীত প্রার্থী সেতারা আহামদ এর নগদ টাকা, ব্যাংক জমা, সঞ্চয় আমানত, স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র সহ অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ৩১ লাখ ৩৭ হাজার ২৪০ টাকা। এরমধ্যে ৩০ ভরি স্বর্ণের মূল্য ৯০ হাজার টাকা বলে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও তার স্বামীর নামে ৮ লাখ ৫০ হাজার ৭৫ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে। প্রার্থীর নিজ নামে স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৭.২০ একর কৃষিজমির যার মূল্য ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। তার স্বামীর নামে ৩০ একর কৃষি ও অকৃষি জমি রয়েছে যার মূল্য ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ৪ গন্ডা প্লট মূল্য ৫৮ হাজার ৭০৯ টাকা, চট্টগ্রামের সিডিএতে প্লট মূল্য ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা ও জামালখানে ১,০৫০ বর্গফুটের বাড়ি মূল্য ৩২ লাখ টাকা। নির্ভরশীলদের নামে ৪ কাঠা জমি মূল্য ১২ লাখ ৮৮ হাজার ৭৫০ টাকা, দালান ৭৫ লাখ টাকা, ১৪.৫ প্লট মূল্য ৬ লাখ, ৫ কাঠা জমি ২ লাখ ১ হাজার টাকা, ৮.০০ একর জমি ৩ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ রয়েছে। এছাড়া প্রার্থীর যৌথ মালিকানায় ০.৮০ জমির মধ্যে ০.৪০ একর জমির মালিক। তার কৃষিখাত, বাড়ি-দোকান ভাড়া ও গরু খামার হতে বার্ষিক আয় ৭ লাখ ১৭ হাজার ৫০০ টাকা। প্রার্থীর উপর নির্ভরশীলদের বাৎসরিক আয় ৯ লাখ ৪২ হাজার ২০০ টাকা।

এদিক থেকে অনেক পিছিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলমগীর। তিনি হলফনামায় তার কোন অস্থাবর সম্পদ নেই বলে উল্লেখ করেন। স্ত্রীর নামে ও নির্ভরশীলদের নামেও কোন অস্থাবর সম্পদ নেই। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ০.২০ শতাংশ জমির কথা উল্লেখ করেন তিনি। তার কৃষিখাত ও ব্যবসা হতে বার্ষিক আয় ২ লাখ টাকা।

পাঠকের মতামত: