ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

নির্যাতনের মাত্রা কমেনি বরং বেড়েছে- নারী দিবসে বক্তারা

lamaমোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ

‘অধিকার মর্যাদায় নারী-পুরুষ সমানে সমান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৯মার্চ লামায় পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০১৬। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার জেলার বাড়তি দায়িত্ব থাকায় ৮ মার্চ পরিবর্তে ৯ মার্চ লামায় দিবসটি পালন করা হয়।
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে র‌্যালী ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। র‌্যালী ও আলোচনা সভায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, মহিলা সমিতির কর্মকর্তা ও সদস্য এবং নানান এনজিও কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খালেদ মাহমুদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাবান তহুরা, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মাহাবুবুর রহমান, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সুষ্মিতা খীসা, একতা মহিলা সমিতি’র সভানেত্রী খালেদা বেগম সহ প্রমূখ।
নারী দিবসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশের ৮৭ শতাংশ বিবাহিত নারী নিজ গৃহেই নির্যাতনের শিকার। ৬৫ শতাংশ স্বামীর মাধ্যমে শারীরিক নির্যাতন, ৩৬ শতাংশ যৌন নির্যাতন, ৮২ শতাংশ মানসিক এবং ৫৩ শতাংশ স্বামীর মাধ্যমে অর্থনৈতিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘ভায়োলেন্স অ্যাগেইনস্ট উইমেন সার্ভে ২০১১’ এক জরিপে জানা যায় নির্যাতন মাত্রা কমে যায়নি বরং বেড়েছে। জাতিসংঘ দিবসটি উদযাপন শুরু করে ১৯৭৫ সাল থেকে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপিত হয় বিশ্বের প্রায় সব দেশেই।
১৮৫৭ সালে মজুরি বৈষম্য, কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করা, কাজের অমানবিক পরিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে নিউইয়র্কের রাস্তায় নেমেছিলেন সুতা কারখানার নারী শ্রমিকেরা। সেই মিছিলে সরকার বাহিনীর চালায় দমন-পীড়ন। ১৯১৪ সাল থেকে বেশ কয়েকটি দেশে ৮ মার্চ পালিত হতে লাগল। বাংলাদেশেও ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার লাভের আগ থেকেই এই দিবসটি পালিত হতে শুরু করে। ১৯৭৫ সালে ৮ মার্চকে নারী দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। দিবসটি পালনের জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্রকে আহ্বান জানায় জাতিসংঘ। এরপর থেকে সারা পৃথিবী জুড়েই দিবসটি পালিত হচ্ছে।

পাঠকের মতামত: