ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ঝুঁকিপূর্ণ ৫০ বাঁকে প্রতিনিয়ত হচ্ছে দূর্ঘটনা

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্রগ্রাম ::

চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের শাহ্‌ আমানত কর্ণফুলী সেতু থেকে দোহাজারী শঙ্খ নদীর ব্রিজ পর্যন্ত ৪৫ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে ৫০ বাঁক যেন এক মরণফাঁদ। বান্দরবান টেকনাফ কক্সবাজারগামী পর্যটকদের যাতায়াতের জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। কিন্তু এ সড়কের প্রশ্বস্ততা বৃদ্ধি না পাওয়ায় কর্ণফুলী শাহ্‌ আমানত ব্রিজ থেকে দোহাজারী পর্যন্ত ৫০টি বাঁকের কোন সংস্কার হয়নি।
কক্সবাজার থেকে দোহাজারী সেতু পর্যন্ত ১১৫ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় আড়াই ঘন্টা। এর কারণ ২ লেনের সড়ক এবং বাঁক কম থাকা। অথচ দোহাজারী সেতু থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত বাঁকি ৪৫ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতে সময় লাগে প্রায় তিন ঘন্টা। এর মধ্যে পটিয়া বাস স্টেশন থেকে চট্টগ্রাম যেতে প্রচুর ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক ও সড়কের দুই পাশ ঘেষে রাস্তার উচুঁ নিচু স্থান থাকায় প্রতিনিয়ত ছোট বড় দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। দুর্ঘটনায় দিন দিন লাশের মিছিল বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, পটিয়ার মইজ্জাটেক পর্যন্ত মনসার টেক, বাদামতল, গৈড়লার টেক, আমজুর হাট টেক, পটিয়া পোস্ট অফিস মোড়, আদালত গেইট মোড়, থানার মোড়, ডাক বাংলার মোড়, কমল মুন্সির হাট মিলে ৩০টি পয়েন্টে এবং চন্দনাইশ উপজেলার ২০ পয়েন্টে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে। সড়ক বিভাগের তথ্য মতে পটিয়া মনসা থেকে দোহাজারী শঙ্খ ব্রিজ পর্যন্ত ২৬ কিলোমিটার সড়কে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। এ সড়কে অধিকাংশ ছোট বড় যানবাহন চলাচল করছে অদক্ষ চালকের দ্বারা। এদের মধ্যে ১৮ বছরের নিচে শিশু কিশোর রয়েছে। প্রায় সময় দুর্ঘটনার কারণে যাত্রীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি হচ্ছে। বর্তমানে শাহ্‌ আমানত সেতু থেকে ভেল্লা পাড়া ব্রিজ পর্যন্ত ৪ লেনের যে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে তার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। ভেল্লা পাড়া ক্রসিং থেকে বাকি অংশে দ্রুত কাজ শুরু করলে দুর্ঘটনার হার কমে আসবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায় গত দুই বছরে দক্ষিণ চট্টগ্রামে প্রায় ২ শতাধিক লোক নিহত হয়েছে, আহতের পরিমাণ প্রায় ৫’শ। এছাড়াও এ সড়কে ফিটনেস বিহীন যানবাহনের সংখ্যা বেশি হওয়ায় দুর্ঘটনা রোধ করা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক আরিফুর রহমান জানান অদক্ষ চালক ও ফিটনেস বিহীন যানবাহনের সংখ্যা কমে আসলে দুর্ঘটনার হার কমে আসবে।

পাঠকের মতামত: