ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের অধিকাংশ নতুন মুখ

সৈয়দুল কাদের  ::   কক্সবাজারের আট উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে যুবকের সংখ্যাই বেশী। যাদের অধিকাংশই নতুন মুখ। এসব নতুন নেতৃত্ব রাজনীতির জন্য ইতিবাচক দিক বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কক্সবাজারের ৮টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নতুন মুখের ছড়াছড়ি। যাদের অধিকাংশই যুবক। চকরিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চেয়ারম্যান। এ দু’জন ছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশীর মধ্যে রয়েছেন মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবলু চেয়ারম্যান, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাবেক কাউন্সিলর ফজলুল করিম সাঈদী, জেলা পরিষদের প্যানেল মেয়র জাহেদুল ইসলাম লিটু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা নুরে হাবিব তসলিম ও জামাল উদ্দিন জয়নাল। এরা সবাই তরুণ নেতৃত্ব।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কুতুবদিয়া উপজেলায় প্রবীণদের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আলম সিকদার, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা শফিউল আলম কুতুবী ও জেলা পরিষদ সদস্য মাস্টার আহমদ উল্লাহ। এই ৪ জন ছাড়াও দলের মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা আওয়ামী লীগে সমবায় বিষয়ক সম্পাদক খোরশেদ আলম কুতুবী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর ও কাইয়ুম চৌধুরী। এরা ৩ জনই বয়সে তরুণ।
মহেশখালী উপজেলায় প্রবীণদের মধ্যে মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ হোসেন ইব্রাহীম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার পাশা চৌধুরী। এছাড়া আরো যারা মনোনয়ন প্রত্যশা করছেন তারা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ শরীফ বাদশা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহসান উল্লাহ বাচ্চু, কুতুবজুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন খোকন, কালারমারছড়ার চেয়ারম্যান তারেক বিন ওসমান শরীফ, ধলঘাটার চেয়ারম্যান কামরুল হাসান, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সাজেদুল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক প্রভাষক এহচানুল করিম, উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরী, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আশহাদ উল্লাহ সায়েম ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাফর আলম। এরাও সবাই তরুণ নেতৃত্ব।
পেকুয়া উপজেলায় প্রবীণদের মধ্যে রয়েছেন মোহাম্মদ হোছাইন বিএ ও এড. কামাল হোসেন। এছাড়া দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুহেনা মোস্তফা কামাল, এস এম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাংবাদিক জহিরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম, জেলা পরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, শীলখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ওয়ারেসী ও তোফাজ্জল হোছাইন। এরা সবাই বয়সে তরুণ।
কক্সবাজার সদর উপজেলায় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম সিকদার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু তালেব, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল করিম মাদু, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক কায়সারুল হক জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইমরুল হাসান রাসেদ চেয়ারম্যান, ওমর ফারুক আহমদ। এরা সবাই তরুণ।
রামু উপজেলায় সাবেক চেয়ারম্যান সোহেল সরওয়ার কাজল ছাড়াও যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন তারা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজুল আলম, খুনিয়া পালং ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মাবুদ, ফতেকারকুল ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম, জোয়ারিয়ানালা ইউপি চেয়ারম্যান কামাল শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স ও জেলা আওয়ামী লীগ নেত্রী মুশরাত জাহান মুন্নী।
উখিয়া উপজেলায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা জাফর আলম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী, আবুল মনসুর চৌধুরী ও তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা সাংবাদিক ইমরুল কায়েস চৌধুরী।
টেকনাফ উপজেলায় সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শফিক মিয়া, বর্তমান চেয়ারম্যান জাফর আলম ছাড়াও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুচ বাঙ্গালী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল বশর, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম ও সাধারণ নুর হোসেন মনোনয়ন প্রত্যাশী।
বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শফিউল আলম বলেন, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের তালিকায় যেভাবে নতুন মুখ উঠে এসেছে তা অত্যন্ত ইতিবাচক দিক। এমন মনোনয়ন প্রত্যাশীদের কারণে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে দলে। মনোনয়ন প্রত্যাশী সবাইকে উৎসাহ দেওয়া প্রয়োজন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও এমন পরিস্থিতি ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন তরুণ নেতৃত্বের উপর আস্থা রাখছেন তখনই রাজনীতির মাঠে আরো সক্রিয় হচ্ছে তরুণরা।
কক্সবাজার সোসাইটির সভাপতি কমরেড গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও নতুন কিছু নেতৃত্ব সামনে এসেছে। তরুণরাই এগিয়ে নেবে দেশ। আমরা এমনই প্রত্যাশা করি। যারা প্রবীণ তাদের নতুনদের রাজনীতিতে জায়গা করে দেওয়া উচিত।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলের প্রার্থী মনোনয়নের জন্য সুপারিশ করা হবে। যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী তারা সবাই দলের জন্য ত্যাগ স্বীকার করেছেন।

পাঠকের মতামত: