ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় প্রকাশ্যে চলছে অবৈধ সিএনজি গ্যাস ব্যবসা দুর্ঘটনার আশঙ্কায় স্থানীয়রা

নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার ::

কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহরের ২নং ওয়ার্ডের সড়ক ও জনপথ বিভাগের উত্তর পার্শ্বে মেসার্স খাজা ট্রেডিং এল.পি.জি ফিলিং ষ্টেশন, সি.এন.জি সাপ্লাইয়ার্স প্রকাশ্যে চলছে সিএনজি গ্যাসের অনুমোদনহীন অবৈধ ব্যবসা। খোলা আকাশের নিচে গ্যাস বিক্রি করায় সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব, অন্যদিকে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চকরিয়া পৌর শহরে খোলা ট্রাক দাঁড় করিয়ে সিএনজি চালিত বিভিন্ন গাড়িতে গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে। আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট বিভিন্ন সময় অভিযান চালিয়ে জরিমানা আদায়ের পর এসব অবৈধ গ্যাস ব্যবসা বেশ কয়েকবার বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বর্তমানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় পৌর এলাকার গুরুত্বপূর্ণ জনবহুল এলাকায় দিব্যি অবৈধ গ্যাস ব্যবসা চলছে।

ট্রাকে করে গ্যাস ব্যবসা করতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের কোনো অনুমতিপত্র নেই বিক্রেতাদের। এমনকি পরিবেশের ছাড়পত্র বা ফায়ার সার্ভিসের নিরাপত্তা ছাড়পত্রও নেই। এরপরও অতি লাভের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ এ ব্যবসা চালানো হচ্ছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রশাসন ও সর্বসাধারণের দৃষ্টি আড়াল করতে গ্যাসের সিলিন্ডারভর্তি ট্রাক দিনের পুরো সময় ত্রিপল মোড়ানো থাকে। এতে ট্রাকের ভেতর কী আছে, তা সহজে অনুমান করা যায় না। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে লোক চক্ষুর আড়ালে চলছে অবৈধ গ্যাস ব্যবসা।

চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, সিএনজি স্টেশন করার আগে ফায়ার সার্ভিস ও বিস্ফোরক লাইসেন্স নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু ট্রাকে গ্যাস বিক্রেতার এসব কিছুই নেই। ট্রাক ভর্তি সিলিন্ডার থেকে যেভাবে গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে, তা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এতে যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ধরনের অবৈধ এবং ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস বিক্রিতে কোনো লাইসেন্স দেয়া হবে না বলে তিনি জানান।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূরদ্দীন মু. শিবলী নোমান বলেন, পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে গ্যাস বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছিল। অনেককে জরিমানাও করা হয়েছে। এরপরও কেউ গ্যাস বিক্রি করলেও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: