ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

জাফর আলমকে মন্ত্রিসভায় দেখতে চান চকরিয়া-পেকুয়াবাসী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

বিএনপির দুর্গ তছনছ করে দিয়ে ১৯৭৩ পরবর্তী ৪৫ বছর পর একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথা নৌকার বিজয় হওয়ায় জাফর আলমকে মন্ত্রিসভায় দেখতে চান চকরিয়া-পেকুয়ার মানুষ। কেননা দীর্ঘসময় পর্যন্ত এখানে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো এমপি না থাকায় উন্নয়নের দিক দিয়ে বৃহত্তর চকরিয়া একেবারেই অবহেলিত।

চকরিয়ার উন্নয়নসচেতন মানুষ বলছেন, ইতিপূর্বে বিএনপি থেকে এই আসনে নির্বাচিত এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদকে যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী করায় তার নিজ উপজেলা পেকুয়াকে উন্নয়নে অনেকদূর এগিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু চকরিয়ার সিংহভাগ ভোট নিয়ে তিনি এমপি নির্বাচিত হলেও উন্নয়নের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য দেখিয়েছিলেন। তাই চকরিয়াবাসীর সঙ্গে করা সেই বৈষম্যের জবাব দিতে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জাফর আলমকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি উঠেছে এখানকার মানুষের পক্ষ থেকে।

এই প্রসঙ্গে চকরিয়া পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ারুল হাকিম দুলাল চকরিয়া নিউজকে বলেন, এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাফর আলমের সঙ্গে বিএনপি প্রার্থী হাসিনা আহমেদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলেও ভোটের মাঠে মূলত লড়াইটা হয়েছে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনের সঙ্গে। কারণ ভারতের শিলং থেকে প্রতিনিয়ত সবকিছুই দেখভাল করেছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিনই। সেই সালাহউদ্দিনের দুর্গ তছনছ করে দিয়ে যেহেতু আমাদের জাফর ভাই নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন, সেহেতু উন্নয়নের স্বার্থে তাকে মন্ত্রিসভায় স্থান দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। নানাবিধ সমস্যায় জর্জরিত এই অঞ্চলকে রক্ষায় জাফর আলমকে মন্ত্রিসভায় স্থান দিতে চকরিয়া ও পেকুয়াবাসীর পক্ষ থেকে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।

এদিকে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলমকে মন্ত্রী পরিষদে ঠাই পেতে গুঞ্জন উঠেছে। ৪৫বছর পর এই আসন থেকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে আওয়ামীলীগের প্রার্থী জয়লাভ করায় এ দাবী আরও বেশি জোরালো হয়ে উঠে। বিএনপির ঘাটি বলে খ্যাত এই আসনে আওয়ামীলীগ থেকে কোনো এমপি না থাকায় উন্নয়ন কর্মকান্ড একেবারেই অবহেলিত চকরিয়া উপজেলা। বিগত ২০০১ সালে চারদলীয় ঐক্যজোট ক্ষমতায় আসার পর যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। ওইসময় তিনি প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর উন্নয়নের ক্ষেত্রে চরম বৈষম্য শিকার হন চকরিয়াবাসী। তাই চকরিয়াবাসীর সঙ্গে করা সেই বৈষম্যের জবাব দিতে বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জাফর আলমকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করার জোর দাবি উঠেছে এখানকার মানুষের পক্ষ থেকে। জাফর আলম প্রথমে চকরিয়া পৌরসভার মেয়র, পরে চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বুধবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে গণভবনে সাক্ষাত করেন নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য জাফর আলম। এসময় নব নির্বাচিত এমপি জাফর আলম আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে নৌকা প্রতীকের স্মারক হিসেবে ফুলের নৌকা উপহার দেন।

কক্সবাজার-১ আসনের আওয়ামীলীগ প্রার্থী জাফর আলম নৌকা প্রতীক নিয়ে ১৩৯টি কেন্দ্রে দুই লাখ ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ২ লাখ ৭৩ হাজার ৮৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হাসিনা আহমেদ ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৫৬ হাজার ৬০১ ভোট।

পাঠকের মতামত: