ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ার ডুলাহাজারায় বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে আ.লীগের হামলা, শতাধিক আহত ও ৭ গাড়ি ভাংচুর

আমাকে হত্যা করতেই এই হামলা : হাসিনা আহমদ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

কক্সবাজারের বৃহত্তর উপজেলা চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে আওয়ামী লীগের একদল সন্ত্রাসি। ওই সময় হামলাকারিরা হাসিনা আহমদকে ব্যবহৃত গাড়িসহ ৩টি গাড়ি, ৪টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও ২টি মোটর সাইকেল ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থক আহত হয়েছেন। তবে সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদকে এলাকাবাসি

নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছেন।

ঘটনার পর কক্সবাজার জেলা বিএনপি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এডভোকেট হাসিনা আহমদ দাবি করেছেন, তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালানো হয়েছে। স্থানীয় লোকজন ও মহিলারা তাঁকে উদ্ধার না করলে যে কোন ঘটনা ঘটতে পারতো।

তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার ও চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে এই ঘটনার লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

শনিবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী ব্রীজের কাছে এই হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটে। ডুলাহাজারা ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সাইফুল মেম্বারের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার-০১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী এডভোকেট হাসিনা আহমদ বলেন, ‘ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায়ও এই আসনে গণসংযোগে যাওয়ার পথে আমি হাসিনা আহমদকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাফর আলমের কর্মী ও সমর্থকরা। চকরিয়া উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী ব্রীজের কাছে এই হামলা চালানো হয়। অস্ত্রধারি ওই সন্ত্রাসিরা আমার গাড়িসহ আমার সাথে আরও দুইটি গাড়ি এবং ৪টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। একই সাথে আমার কর্মীদের দুইটি মোটর সাইকেলও ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় শতাধিক নেতা-কর্মী ও সাধারণ ভোটার আহত হয়েছেন।’

তাঁর মতে, ‘হামলাকারিরা আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গাড়িতে আক্রমন করলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আমি প্রাণে রক্ষা পাই।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৩ ডিসেম্বরও চকরিয়া উপজেলার পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জাফর আলমের নেতৃত্বে হাসিনা আহমদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দারসহ অন্তত ৫ জন নেতা-কর্মী আহত হন।

হাসিনা আহমদ জানান, ওই ঘটনার অভিযোগ নিয়ে চকরিয়া থানায় গেলে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জাফর আলমের নেতৃত্বে থানা কম্পাউন্ডের বাইরে তাঁর নেতা-কর্মীদের উপর আরেকদফা হামলা চালানো হয়। ওই সময় তিনিও থানা কম্পাউন্ডে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। প্রায় দুই ঘন্টা পর পুলিশের সহায়তায় তিনি বাড়ি ফিরে যান।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানান, শনিবার বেলা ১১টার দিকে হাসিনা আহমদ কর্মী-সমর্থক নিয়ে ডুলাহাজারা ইউনিয়নের কাটাখালী এলাকার আসার পথে ব্রীজের কাছে তাঁর গাড়িতে হামলা চালায় সশস্ত্র সন্ত্রাসিরা। স্থানীয় সাবেক ইউপি মেম্বার সাইফুলের নেতৃত্বে ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসি হামলা চালায়। তারা এলোপাতাড়ি ভাংচুর ও নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। এসময় শতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।

হাসিনা আহমদ দাবি করেন, চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় হামলা, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ভোটারদের হুমকিও দিচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নেতা-কর্মীরা।

তিনি জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এভাবে যদি হামলা, ভাংচুর ও নেতা-কর্মীদের ভয়ভীতি ও মারধর করলে নির্বাচনী মাঠে প্রচারণা চালানো সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় নির্বাচনের সুষ্টু পরিবেশ তৈরি ও লেভেল প্লেইং ফিল্ড তৈরির স্বার্থে অবিলম্বে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং হামলাকারিদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।

পাঠকের মতামত: