মাহাবুবুর রহমান :: কক্সবাজার কারাগারে ৩৮’শত বন্দির মধ্যে ২৫’শই মাদক মামলার আসামী।একেতো ধারন ক্ষমতার ৭ গুন বেশি বন্দি তার উপর এতে বেশি মাদক মামলার বন্দিদের নিয়ে লেজেগুবরে অবস্থার মধ্যে আছে কারা কর্তৃপক্ষ। এদিকে আইনজীবিদের মতে সম্প্রতি মাদক মামলায় জামিনের সংখ্যা খুবই কম তার উপর প্রতিদিনই বাড়ছে আসামী এতে আমরাও অনেকটা বিপাকে। তবে ইদানিং মাদক মামলা গুলো খুব দ্রুত নিস্পত্তির জন্য প্রসিকিউসনের পক্ষ থেকে এবং আদালতের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক চেস্টা চলছে এবং বেশির ভাগ মামলা দ্রুত নিস্পত্তি হচ্ছে বলে জানান আইনজীবিরা। তবে সচেতন মহলের দাবী জেলা ব্যাপী মাদকের ভয়াবহতা সিমাহীন ভাবে বেড়েছে তা দ্রুত নিয়ন্ত্রনে আনতে না পারলে আমাদের জন্য করুন পরিনতি অপেক্ষা করছে।
কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার বজলুর রশিদ জানান,কক্সবাজার জেলা কারাগারের ধারন ক্ষমতা ৫৩০ জন,কিন্তু বর্তমানে বন্দির সংখ্যা প্রায় ৩৮০০। এর মধ্যে ২০০ জন নারী বন্দি। আবার এর মধ্যে ৬৫% মাদক মামলার আসামী হয়ে বন্দি আছে,অনেকে সাজা প্রাপ্ত আসামী সে হিসাবে প্রায় ২৫০০ জন বন্দিই মাদক মামলার।তিনি বলেন,কক্সবাজারে মরণনেশা ইয়াবা সহ মাদকের বিস্তার বেশি হওয়াতে মাদক মামলার আসামীও বেশি। ইতি মধ্যে ৬ষ্ট বারের মত নতুন আসা কয়েক দিনের পায়ুপথ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে যা অন্য কোন কারাগারে চিন্তাই করা যায় না। তিনি বলেন,কারাগারের ভেতরে বাইরে মাদকের ছায়াও যাতে পড়তে না পারে সে জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজার জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক এড. মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন,মাদকের ভয়াবহতা এত বেশি বেড়ে গেছে যা কল্পনার বাইরে। প্রতিটি ঘরে ঘরে এখন ইয়াবা ব্যবসায়ি নাহয় পাচারকারী নাহলে সেবনকারী,জানিনা আমাদের আগামী প্রজন্ম কোথায় গিয়ে দাড়াবে ? আর বর্তমানে শুধু কারাগারে নয় কোর্ট প্রাঙ্গনেও মাদকের মামলার সংখ্যা বেশি। বিশেষ করে কিছু গরীব মানুষ আছে যা অল্প কিছু টাকার জন্য ক্যারিয়ার বয় হিসাবে মাদক পরিবহণ করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছে,আবার অনেক সময় দেখা গেছে মহিলাও এসব
কাজে জড়িয়ে পড়ছে। তবে ইদানিং মাদক মামলা গুলো খুব দ্রুত নিস্পত্তি হচ্ছে এবং বেশির ভাগ মামলার সাজা হচ্ছে এতে কিছুটা হলে মাদক পাচারকারীরা ভয়ে থাকবে।
রামুর একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও জেলার শিক্ষক নেতা হোসাইনুল ইসলাম মাতবর বলেন,আগে বিভিন্ন কাজে কর্মে কক্সবাজারের বাইরে গেলে অন্য জেলার মানুষজন আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাইতো। গায়ে পড়ে ভাল সম্পর্ক রাখার চেস্টা করতো। কিন্তু এখন বিভিন্ন অনুষ্টানে গেলে দেখি অন্য জেলার লোকজন আমাদের এড়িয়ে চলে,এবং কক্সবাজারের পরিচয় দিলে সবাই হাসাহাসি করে এতে লজ্জায় মুখ ঢাকার জায়গা পাইনা। জানিনা এই বদনাম কতদিনে ঘুছবে। আমার মতে সরকার চাইলে পারে না এমন কোন কাজ নেই। সম্প্রতি আমরা দেখেছি সুন্দরবনের জলদস্যূদের সরকার আত্বসমর্পন করিয়েছে। তাহলে বাংলাদেশের এত আইনশৃংখলা বাহিনি কেন এই মাদক আনা নেওয়া বন্ধ করতে পারবে না ? আমার মতে সরকার যদি আন্তরিক হয় কয়েক দিনের মধ্যে মাদক বন্ধ করা সম্ভব। আর যেভাবে এলাকায় মাদক সেবিদের সংখ্যা বাড়ছে এটা রীতিমত আতংক জনক। এছাড়া অনেক মাদক ব্যবসায়ি রাতারাতি কোটি পতি হয়ে গেছে এখন তাদের দেখে অনেক তরুনরা উৎসাহিত হচ্ছে তারাও অল্প সময়ে কোন পূজি ছাড়া বেশি টাকায় আশায় অন্ধকার পথে পা বাড়াচ্ছে।
এদিকে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালাতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটার এড. জিয়া উদ্দিন আহামদ বলেন,বর্তমানে মাদকের মামলা গুলো খুব দ্রুত স্বাক্ষী শেষ করে নিস্পত্তি করা হচ্ছে এতে বিজ্ঞ আদালত বেশ আগ্রহী। আর কোন ইয়াবা মামলার জামিন হচ্ছে না বরং অপরাধ প্রমানিত হলে সাজা দেওয়া হচ্ছে আমি মনে করি এতে মাদক কারবারিদের মনে কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে। এব্ং ইতি মধ্যে প্রভাব পড়েছে এমন খবরও আমাদের কাছে আছে,অনেকে অন্ধকার পথ থেকে চলে আসছে বলে জানা গেছে।
এদিকে টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন,আমি টেকনাফে যোগদান করার পর থেকে মাদক এবং মাদক ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করেছি। ইতি মধ্যে অনেক মাদক ব্যবসায়ির অবৈধ উপায়ে অর্জিত টাকা দিয়ে নির্মিত ঘর ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত অভিযানের কারনে বেশির ভাগ ইয়াবা ব্যবসায়ি এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে এবং তালিকা ভুক্ত সব ইয়াবা ব্যবসায়িদের বিরুদ্ধে আমার অভিযান চলমান থাকবে।
কক্সবাজার মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক সোমেন মন্ডল বলেন,সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে,ইতি মধ্যে অভিযানে সফলতাও আপনারা দেখতে পাচ্ছেন তবে একটি বিষয় এখন নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে সেটা হচ্ছে বিমানযোগে ইয়াবা পাচার নিয়ে। বিমানযাত্রীদের মধ্যে এতবেশি ইয়াবা ধরা পড়ছে যা আগে কখনো ঘটেনি। এতে করে বিমানবন্দরেই আমাদের নিয়মিত ফোর্স রাখতে হচ্ছে।
প্রকাশ:
২০১৮-১১-২৩ ১৪:৫৬:২৩
আপডেট:২০১৮-১১-২৩ ১৪:৫৬:২৩
- চকরিয়ায় বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
- ইসলামের বৃহৎ স্বার্থে চকরিয়া জামায়াতে ইসলামীর সাথে একটেবিলে বসতে চায়
- চকরিয়ায় চিংড়িঘের দখল নিয়ে দু-গ্রুপে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ ১, অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসী আটক
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- চকরিয়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি মেম্বারসহ আহত ৪
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- চকরিয়ায় বাস চাপায় বৃদ্ধ নিহত
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণরর মামলার অন্যতম আসামি ফারুককে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- চকরিয়ায় সংঘবদ্ধ কিশোরী ধর্ষণকাণ্ডে ৭ জন গ্রেফতার, ৩ জন জেলহাজতে
- জমজম হাসপাতালে ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় নবজাতকের মৃত্যু ডাক্তারের বক্তব্য
- চকরিয়ায় পৌরশহরের তিনটি আবাসিক হোটেল ও চারটি রেস্টুরেন্টে অভিযান
- খুটাখালীতে শতাধিক পরিবারে শীতবস্ত্র বিতরণ
- সঙ্গী হাতির আক্রমণে কৃষক নিহত চকরিয়ায়
- শীতের কম্বল দিতে বেড়িয়ে পড়েন চকরিয়ার মানবিক ইউএনও আতিকুর রহমান
- পেকুয়ায় রব্বত আলী পাড়া সড়কে গাড়ি চলে না ২০ বছর!
- নাইক্ষ্যংছড়িতে হতদরিদ্রদের মাঝে বিজিবির শীতবস্ত্র বিতরণ
- কক্সবাজার সিটি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আকতার চৌধুরী
- চকরিয়ায় রেল স্টেশন মাস্টারকে ছুরিকাঘাত করেছে দুবৃর্ত্তরা
- কিশলয় শিক্ষা নিকেতন স্কুলে বিলুপ্ত কমিটির স্বাক্ষর নিয়ে বিল ভাউচার করার অভিযোগ
পাঠকের মতামত: