ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ওয়ার্ল্ড ভিশনের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ

শফিক আজাদ, উখিয়া ::
রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবা কার্যক্রমে নিয়োজিত বেশ কয়েকটি এনজিও’র বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অনিয়মের মধ্যে রয়েছে ত্রাণের মাল আত্মসাৎ, প্রত্যাবাসনবিরোধী কর্মকাণ্ড, স্থানীয়দের বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতসহ নানান অপকর্ম। এ নিয়ে ওইসব এনজিও’র বিরুদ্ধে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। অভিযুক্ত এনজিওগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল’।

সরেজমিন রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে জানা গেছে, ‘ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল’-এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর (নিউট্রিশন) মোক্তারুল ইসলাম উখিয়ার ১২, ১৫, ১৮, ১৯ নং ক্যাম্পে কাজ করছেন। এই সংস্থাটি রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে নিয়োগে স্বেচ্ছাচারিতা, স্থানীয়দের বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুতসহ প্রত্যাবাসনবিরোধী নানান কর্মকাণ্ডে লিপ্ত রয়েছে। আরও জানা গেছে, রোহিঙ্গা শিশুদের জন্য শিশু কিট নামে ৮ হাজার ৪১ পিস মালামাল ২৬ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিতরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশনা থাকলেও ত্রাণ বিতরণের দায়িত্বে নিয়োজিত মোক্তারুল ইসলাম অন্য কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ৫ হাজার পিস শিশু কিট বিতরণ করে বাকিগুলো আত্মসাৎ করেন।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক অতূল জানান, নির্ধারিত তারিখে বিতরণের কথা থাকলেও বিভিন্ন কারণে সব মালামাল বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। তবে এটি পরবর্তীতে আবার বিতরণের প্রক্রিয়া চলছে।

১৯ নং ক্যাম্পের রোহিঙ্গা মোহাম্মদ রশিদ (৩৪) অভিযোগ করে জানান, ইতিপূর্বেও যেসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ হয়েছে এতেও অনিয়ম করেছেন প্রজেক্ট কো-অডিনেটর মোক্তারুল ইসলাম। তার কারণে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনালের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।

ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল থেকে চাকরিচ্যুত মো. পারভেজ জানান, প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর মোক্তারুল ইসলাম নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন অনিয়ম করলেও দেখার কেউ নেই। এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় তাকেসহ বেশ কয়েকজন স্থানীয়কে কর্মীকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করেছেন। তাদের স্থলে তার নিকটাত্মীয়দের (বহিরাগত) চাকরি দিয়েছেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। এ নিয়ে স্থানীয় ছেলেমেয়েদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

পাঠকের মতামত: