ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

চকরিয়ায় বন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করায় মুক্তিযোদ্ধাকে মোটরসাইকেল চাপায় হত্যা চেষ্টা

 এম.জাহেদ চৌধুরী, চকরিয়া ::

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ৬৫ বছর বয়সি মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউসুফকে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। এই অভিযোগে হারবাং ফরেষ্ট বিট কর্মকর্তা রউফুল ইসলামকে আসামী করে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই মুক্তিযোদ্ধা। ১৮ নভেম্বর বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার হারবাং গ্রামীণ ব্যাংক এলাকায় মোটরসাইকেল চাপায় হত্যা চেষ্টার অভিযোগ এনে ১৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগটি দায়ের করা হয়।

ছেলে মোহাম্মদ মিরান বলেন, হারবাং বিটের ফরেষ্টার রউফুল ইসলাম আমার বোন ইয়াসমিন আক্তারের কাছে ১৩ ও ১৪ এপ্রিল এবং ৫ নভেম্বর তিন দফায় চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে মামলার জড়ানোর হুমকিসহ বসতঘর ভেঙ্গে দিয়ে উচ্ছেদ করার হুমকি দিলে ফরেষ্টারকে প্রথম দফায় ১০ হাজার টাকা চাঁদা দেয়। দ্বিতীয়বার আরো ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। কিন্তু ওই টাকা না পেয়ে তৃতীয়বার ৮০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে, না দিলে ঘর উচ্ছেদ করে মামলার আসামী করার হুমকি দেয়। ফলে, আমার মোহাম্মদ ইউসুফ বাদি হয়ে গত ১৩ নভেম্বর বিট কর্মকর্তা রউফুল ইসলামসহ তিনজনকে আসামী করে আদালতে নালিশী মামলা দায়ের করেন।

পরে ১৯ নভেম্বর দায়ের করা অভিযোগে বাদি দাবি করেন,ওই মামলা দায়েরের খবর জেনে বিট কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে ১৮ নভেম্বর বিকালে মদ্যপ অবস্থায় মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে অভিযোগকারী মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফকে হত্যা চেষ্টা চালায়।

বাদির পক্ষে দুটি অভিযোগ দায়েরকারী আইনজীবি লুৎফুল কবির বলেন, বাদির মৌখিক বক্তব্যের আলোকে বিট কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে একটি নালিশী মামলা ও অপর একটি প্রতিকার চেয়ে আবেদন করা হয়েছে আদালতে। বিজ্ঞ বিচারক দুটি অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আদালতের ইন্সপেক্টরকে নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযোগের ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা রউফুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, আমার বাড়িও চকরিয়ার হারবাং জমিদার পাড়ায়। আমি মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফসহ তার পরিবারের লোকজনকে চিনতামনা। তাদের সাথে কোন শত্রুতাও নেই। তবুও উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আদালতে দায়ের করা দুটি অভিযোগের বক্তব্য শতভাগ মিথ্যা। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যেকোন শাস্তি আমি মেনে নেবো। তিনি আরো দাবি করেন মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফের সন্তানরা বনবিভাগের পিএফ ভুমিতে স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করার চেষ্টা করলে বাধা দেয়ায় বিটের বন প্রহরী নাসিরুল আলমের সাখে সামান্য কথাকাটাকাটি হয়েছিলো।

সিএসআই মঞ্জরুল কাদের মজুমদার বলেন, বিট কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করে আদালতে দায়ের করা অভিযোগ তদন্ত করার জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে শুনেছি। নথি হাতে এলে সরজমিন তদন্ত করে সঠিক তদন্ত প্রতিবেদন আদালত দাখিল করবো।

পাঠকের মতামত: