ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি ইলিয়াছ ও সাংবাদিক ছোটনের ভুল বুঝাবুঝির অবসান

নিজ বাসভবনে বৈঠকে সাংবাদিক ও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে  সাংবাদিক ছোটনসহ হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপি

বার্তা পরিবেশক ::

চকরিয়া-পেকুয়া (কক্সবাজার-১) আসনের সংসদ সদস্য কক্সবাজার জেলা জাতীয় পাটির (এরশাদ) সভাপতি হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ এর সঙ্গে দৈনিক কালেরকন্ঠ ও আজাদী পত্রিকার চকরিয়া প্রতিনিধি চকরিয়া প্রেসক্লাবের কার্যকরি সভাপতি সাংবাদিক ছোটন কান্তি নাথের মধ্যে একটি ফোনালাপ সংক্রান্ত বিষয়ে সৃষ্ট বিরোধ অবশেষে শান্তিপুর্ণভাবে অবসান হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার (৬ নভেম্বর) বিকালে চকরিয়া পৌরসভার কাহারিয়াঘোনাস্থ এমপির বাসভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সনাতন সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, পুজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া উপজেলা ও চকরিয়া পৌরসভা কমিটির নেতৃবৃন্দ এবং চকরিয়া উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষ অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য দু:খ প্রকাশ করেছেন। ওইসময় হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপি সকলের উপস্থিতিতে সাংবাদিক ছোটন কান্তি নাথকে জড়িয়ে ধরে শান্তনা দেন এবং বিষয়টি নিয়ে কোন ধরণের ভুল না বুঝতে সনাতন ধর্মের সবাইকে অনুরোধ করেছেন।

বৈঠকে হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ এমপি বলেন, মানুষের মধ্যে বিভিন্ন কারনে ভুল বুঝাবুঝিতে হতে পারে। এটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সম্ভব। আমি ব্যক্তিগতভাবে শান্তিতে বিশ^াসী। কারো সঙ্গে ইচ্ছাকৃতভাবে কোনদিন বিরোধে জড়াইনি। সাংবাদিক ছোটন আমার ছোট ভাইয়ের মতো। তাকে যেমন আদর ¯েœহ করার অধিকার আমার আছে, তেমনি ক্ষেত্র-বিশেষে উপদেশ দেওয়ার অধিকারও আছে। তা নিয়ে কোনমতেই ভুল বুঝার অবকাশ নেই।

হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেছেন, ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে মহাজোট থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হই। সেই থেকে বিগত পাঁচবছর ধরে আমি অত্যন্ত দক্ষতা, সততার সঙ্গে উন্নয়ন কর্মকা- চালিয়ে নির্বাচনী এলাকার অভূতপূর্ব উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছি। দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে আমি চকরিয়া-পেকুয়া উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির, ধর্মীয় উপসনালয়, সড়ক, বেড়িবাধ থেকে শুরু করে সকল সেক্টরে উন্নয়নে সাধ্যমতো কাজ করেছি।

তিনি বলেন, আমি জাতীয় পার্টির একজন এমপি হওয়া সত্ত্বেও পাঁচবছর ধরে বর্তমান সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় যাবতীয় সরকারি কর্মসূচী ও উন্নয়ন বাস্তবায়নে নিরলশভাবে কাজ করেছি।

পরিশেষে আমি সাংবাদিক ছোটনের ফোনালাপের সুত্রধরে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার জেরে ফেসবুক ও গণমাধ্যম ছড়িয়ে পড়া বিষয়াদি নিয়ে প্রিয় চকরিয়া, পেকুয়া ও কক্সবাজারের সম্মানীত সাংবাদিক সমাজ, চকরিয়া-পেকুয়াবাসী এবং সনাতন (সংখ্যালঘু) সম্প্রদায়ের সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি এম.জাহেদ চৌধুরী, সাবেক সভাপতি প্রবীণ সাংবাদিক এমআর মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মিজবাউল হক, কক্সবাজার জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সহ-সভাপতি সুদাম দাশ, চকরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ, সাধারণ সম্পাদক বাবলা দেবনাথ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ চকরিয়া উপজেলার সভাপতি রতন বরণ দাশ, সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মুকুল কান্তি দাশ, চকরিয়া পৌরসভা কমিটির সভাপতি নারায়ন কান্তি দাশ, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সুধাংশু বিমল সুশীল, উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক তপন কান্তি সুশীল, সদস্য সজল কান্তি শীল, চকরিয়া পৌরসভা যুবলীগের সদস্য মিল্টন কিশোর দাশ, জিসান নাথ, পেকুয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুমন বিশ^াস, সাধারণ সম্পাদক সুকুমার দেবনাথ প্রমুখ।

চকরিয়া উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি তপন কান্তি দাশ বলেন, চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য হাজি মোহাম্মদ ইলিয়াছ এর সঙ্গে সাংবাদিক ছোটন কান্তি নাথের মধ্যে সম্প্রতি সময়ে একটি বিষয় নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে যাতে আমাদের মধ্যে সম্প্রীতির মেলবন্ধন বিঘিœত না ঘটে সেইজন্য আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিই।

এরই প্রেক্ষিতে হাজি ইলিয়াছ এমপির বাসভবনে বৈঠকে চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার সনাতন সম্প্রদায়ের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ, পুজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ এবং চকরিয়া উপজেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের মধ্যে বিষয়টি শান্তিপুর্ণভাবে অবসান হয়েছে।

পাঠকের মতামত: