ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মাতারবাড়ীতে সন্ত্রাসীদের গুলি বর্ষণঃ স্টেইজ, তোরণ ও অফিস ভাংচুর

সালাম কাকলী (মাতারবাড়ি) মহেশখালী ::

কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ীতে সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ী গুলি বর্ষণ করে তোরণ, ষ্টেইজ ও চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিসের আসবাবপত্র ভেঙ্গে তচনচ করে দিয়েছে। এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও আচাড় মেরে ভেঙ্গে দিয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ ৩১ অক্টোবর দুপুর ১২টায়।

প্রত্যক্ষ দর্শী ও এলাকাবাসীরা জানান, গত ১৫ই আগস্ট মাতারবাড়ী ইউনিয়নের হংসমিয়াজীর পাড়ার ফরিদুল আলমের পুত্র জিয়াবুলকে বাংলাবাজারের দক্ষিণে দিন দুপুরে সন্ত্রাসীরা কুঁপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জন প্রিয় নেতা ও অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহকে রহস্যজনকভাবে ১নং আসামীকরে নিহতরে স্ত্রী নয়ন বাদী হয়ে ২০ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলায় চেয়ারম্যান ৩৭ দিন কারাভোগের পর গত ২৯ অক্টোবর জেল থেকে মুক্তি পান। উক্ত চেয়ারম্যানকে মাতারবাড়ীবাসী বরণ করে নিতে আজ ৩১ অক্টোবর, মাতারবাড়ী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শুভাঙ্খাকীরা ব্যাপক আয়োজন করেন। তারই ধারাবাহিকতায় আয়োজকরা রাজঘাট ব্রীজ থেকে মগডেইল বাজার পর্যন্ত ১০টির অধিক তোরণ এবং মগডেইলবাজারে একটি সংবর্ধনা স্টেইজ নির্মাণ করেন।

এ অবস্থাই দুপুর ১২ টায় ৫/৬ জন সন্ত্রাসী আকষ্মিকভাবে মগডেইলবাজারে এলোপাতাড়ী ফাঁকা গুলি বর্ষণ করলে উপস্থিত লোকজন দিক-বিদিক পালিয়ে যায়। এই সময় হুড়াহুড়িতে ১০/১২ জন নারী পুরুষ আহত হয়। লোকজন পালিয়ে যাওয়ার পর সন্ত্রাসীরা নির্মিত স্টেইজ, তোরণ ও চেয়াম্যানের ব্যক্তিগত অফিসের সকল আসবাবপত্র ভেঙ্গে তচনচ করে দেয়। এমনকি অফিসে টাঙ্গনো বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবিও তাদের ভাংচুর থেকে রক্ষা পায়নি। পরবর্তীতে সংবাদ পেয়ে মাতারবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের আইসি সংগীয় পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।

পরে মহেশখালী থানার তদন্ত ওসি শফিকুর রহমান চৌধুরী আরো সংগীয় পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এনিয়ে পুরো মাতারবাড়ীতে চলছে চরম উত্তেজনা। উল্লেখ্য গত ১ জুন হংসমিয়াজীর পাড়ার এক মাদক ব্যবসায়ীকে পরিষদে ডেকে আনার অপরাধে মালেক চৌকিদারের বাড়ীতে সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়ে মালেক চৌকিদারের বাড়ী-ঘর ভেঙ্গে চুর মার করে দেয়। এই ঘটনায় বাদী হয়ে অভিযুক্তদের মালেক চৌকিদার মামলা করতে গেলে রহস্যজনক কারণে তৎকালিন ওসি মামলাটি এজাহারিক হিসেবে গন্য না করায় সন্ত্রাসীরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে। পরবর্তীতে একই কায়দায় সন্ত্রাসীরা আজ ৩১ অক্টোবর এ ঘটনাটি করতে সাহস পেয়েছে বলে জানিয়েছে সচেতন মহল।

এলাকাবাসীর অভিযোগ করে বলেন, মহেশখালী উপজেলা ভিত্তিক ক্ষমতাশীন দলের কয়েকজন নেতার ইশারায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা না নেওয়ায় মাতারবাড়ীর আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি ঘটেছে। ঘংঘটিত ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে মামলা না নিলে মাতারবাড়ীতে আরো বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হওয়ার আশংকা করেছেন এলাকার সুশীল সমাজ।

পাঠকের মতামত: