ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

উখিয়ায় নিরাপত্তার দাবীতে ফুসেঁ উঠেছে ব্যবসায়ীরা, এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ

ফারুক আহমদ, উখিয়া :: 

উখিয়া সদর ষ্টেশনে ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে ও পেশী শক্তি প্রদর্শন করে নিরহ ব্যবসায়ীদেরকে মারধর এবং জোর পৃর্বক ভাবে দোকান জরব দখলের অপচেষ্টার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকা উপ্তপ্ত হয়ে উঠেছে। দু’পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান সহ টান টান অবস্থা বিরাজ করছে। প্রশাসন নিয়ন্ত্রন আনতে ব্যর্থ হলে যে কোন সময় পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

সোমবার (২৯ অক্টোবর) বিক্ষোব্দ শতাধিক ব্যবসায়ীরা ঘটনার প্রতিবাদে ও ব্যবসার নিরাপত্তার দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নিকারু জ্জামান চৌধুরীর নিকট স্মারক লিপি পেশ করেছেন।

উখিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি একরামুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, উখিয়া ফরেষ্ট রোডে ২৭টি দোকান জবর দখলের অপচেষ্টা ও ব্যবসায়ীদেরকে ভয়ভীতি, হুমকি এবং অবৈধ ভাবে উচ্ছেদের পায়তারার ঘটনা দুঃখ জনক। এ ধরনের অনাকাংখিত ঘটনায় ব্যবসায়ীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভোগচ্ছে দোকানদারগণ।

স্থানীয় মেম্বার সরওয়াল কামাল পাশা বলেন, প্রভাবশালী মহল কর্র্তৃক দোকান পাট উচ্ছেদ, ও মালামাল লুটপাটের হুমকি-ধমকি দেওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এধরনের অন্যায় ও জরব দস্তি মূলক ঘটনা সংগঠিত হলে আইন শূংখলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশংকা রয়েছে। তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন ও ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য প্রশাসনের নিকট দাবী জানান।

এদিকে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত স্মরক লিপিতে উল্লেখ করেছেন দোকানের বৈধ মালিক হতে নিয়ম অনুযায়ী ভাড়া নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা বানিজ্য পরিচালনা করে আসছে। ব্যবসায়ী ফারুক(৩০) রাজিব সেন (২৮) ও মো: ইলিয়াছ (৩২) জানান, উপজেলা সদরের ফরেষ্ট রোডে মুদির দোকান, ফার্মেসী, পার্সের দোকান, ইলেক্টনিক, মোবাইল সার্ভেসিং, বিকাশ এজেন্ট সহ বিভিন্ন প্রকারের ২৭টি দোকান রয়েছে। আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা পুজিঁ দিয়ে ব্যবসা করে কোন রকম পরিবার পরিজন নিয়ে জিবিকা র্নিবাহ করে আসছি।

ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন(২৮) ও ছৈয়দ নুর (৩৩) অভিযোগ করে বলেন, গত ২৬ অক্টোবর থেকে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদেরকে দোকান ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছে। অন্যতায় মালামাল লুটপাট করা হবে। বর্তমানে আমরা নিরাপত্তাহীনাতায় ভোগতেছি।

জানা গেছে, ঘটনার প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ী ইব্রাহীম ও নুরুল ইসলামকে মারধরের চেষ্টা করে। বলতে গেলে উক্ত ঘটনায় উখিয়া সদর ষ্টেশনে ব্যবসায়ী মহলের চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এদিকে ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা জোরদার এবং জবর দখলে হুমকি প্রদর্শনকারীদেরকে আইনের আওতায় আনার দাবীতে ষ্টেশনের সর্বস্থরের ব্যবসায়ীরা উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জকে লিখিত স্মরক লিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন উখিয়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি একরামুল হক, অধ্যাপক সিরাজুল হক স্থানীয় মেম্বার সরওয়াল কামাল পাশা, মেম্বার মীর শাহেদুল ইসলাম রোমান, অধ্যাপক মাসুদ আমিন ভূইয়া, মো: আলী সিকদার, সালাহ উদ্দিন সিকদার প্রমুখ।

##################

উখিয়ার সমুদ্র উপকূলীয় মাদারবনিয়া হচ্ছে আতংকের জনপদ

ফারুক আহমদ, উখিয়া ::

উখিয়ার সমুদ্র উপকূলীয় মাদারবনিয়া গ্রামে অস্ত্রধারী ডাকাত ও চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হয়ে জিম্মি হয়ে পড়েছে স্থানীয় সাধারণ বাসিন্দারা। ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, মাদকের আস্তনা গড়ে তুলা ও নিরহ জনগণকে হুমকি- ধমকি এবং আধিপত্য বিস্তার সহ নানা অপরাধে জড়িত ওই বাহিনীর সদস্যরা। কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো জীবন নাশের হুমকি মুখে পড়তে হয় এমন ভয়ে পুরো গ্রামবাসি আতংকে জীবন-যাপন করছে। এব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী দাবি করেন সচেতন নাগরিগ সমাজ।

উপজেলার জালিয়া পালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের মাদারবনিয়া গ্রাম হচ্ছে এক আতংকের জনপদ। থানা পুলিশের তলিকাভূক্ত মোস্ট ওয়েন্টেড ডাকাত দলের সদস্য, অস্ত্রধারী চিহ্নিত অনেকেই উক্ত গ্রামের পাহাড়ে অস্তনা গড়ে তুলে অপরাধমুলক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছিল। নতুন বিদ্যুৎ লাইন সম্প্রসারন কাজে নিয়োজিত লোকদের নিকট হতে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করার ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগে প্রকাশ, ওই গ্রামের মৃত মোহাম্মদ ছৈয়দের পুত্র মোস্তাক আহমদ একজন কুখ্যাত ডাকাত দলের সর্দার। হোয়াইক্যং- শাপলাপুর সড়কে ঢালায় ডাকাতি কালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে মোস্তাক অস্ত্র সহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক ডাকাতি ও অস্ত্র মামলা রয়েছে। এছাড়াও মৃত নুরু নবীর ছেলে মোহাম্মদ কাশেম ডাকাত বাহিনীর অন্যতম সদস্য। পুলিশের ভয়ে পাহাড়ে আস্তানা গড়ে তুললেও রাতের বেলায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, অস্ত্রধারী ডাকাত বাহিনীর মূলহোতা ও সহয়োগী হচ্ছে আবুল কাশেম। তার কাজ হচ্ছে পুলিশের খাতায় মোস্ট ওয়েন্টড অস্ত্রধারী ডাকাত বাহিনীকে নানা ধরণের সহযোগিতা করা।

অভিযোগে আরও জানা যায়, মোস্তাক বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে আবুল কাশেম পুরো মাদারবনিয়া এলাকা এখন নিয়ন্ত্রন করছেন। বিশেষ করে অস্ত্রধারী ডাকাত সদস্যদের ভয় দেখিয়ে তিনি ইয়াবার চালান সহ মাদক ব্যবসায় লিপ্ত হয়। এমনকি মদ, গাজাঁরও আস্তানা গড়ে তুলেছে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলে প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছে না। ইয়াবা পাচারের দু’পক্ষের আধিপত্য বিস্তার করতে গিয়ে প্রকাশ্যে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া দেওয়ার ঘটনা দেখে স্থানীয় জনগন এখনো ভীতিতে রয়েছে। এছাড়াও কাশেমের নেতৃত্বে চোয়াংখালীর নিরহ রশিদ আহমদ ও নুরুল ইসলামের দখলীয় পি.এফ জমি জবর দখল সহ পল্লী বিদ্যুতের লাইন সম্প্রসারনের কাজে বাধা প্রদান করছে বলে গ্রাম বাসিরা জানান।দায়িত্বশীল সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করলেও সু-কৌশলে আবুল কাশেম বেঁেচ যায়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই জানান, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন মোস্তাক ও কাশেম বাহিনীর হুমকি-ধমকির মুখে পুরো গ্রামের বাসিন্দারা ভয়ে শংকিত জীবন-যাপন করছে। আইন শূংখলা বাহিনীর তাদের গতি বিধি কঠোর নজর ধারী ও আস্তানায় অভিযান পরিচালনা করলে বিপুল পরিমান ইয়াবা সহ অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার সম্ভব হবে।

 

পাঠকের মতামত: