ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে বিএনপির ৪১ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা

পেকুয়া অফিস :
পেকুয়ায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়েছে। ওই মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদীদল বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় ৪১ জন নেতা-কর্মীকে আসামী করা হয়েছে।

আজ ১৫ অক্টোবর পেকুয়া থানায় এ মামলা রুজু হয়েছে। যার নং-০৯/১৮। পেকুয়া থানার এস,আই ইয়াকুবুল ইসলাম ভূঁইয়া বাদী হয়ে পুলিশ এ মামলা রুজু করেন। মামলায় ১৬ জনকে এজাহার নামীয় আসামী করে। এ ছাড়া ২০/২৫ জন অজ্ঞাতসহ দায়েরকৃত মামলায় ৪১ জনকে আসামী করে। উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সদর ইউপির চেয়ারম্যান এম, বাহাদুর শাহকে এ মামলায় প্রধান আসামী করে। এ ছাড়া বিএনপি ও এর ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওই মামলায় আসামী করা হয়েছে। আসাদ রুবেল নামে ১ জনকে পেকুয়া থানা পুলিশ আটক করে। আটককৃত ব্যক্তি পেকুয়া সদর ইউনিয়নের শেখেরকিল্লাঘোনার শাহ আলমের ছেলে। পুলিশ তাকে অভিযান চালিয়ে আটক করে। এ মামলাটি ১৯৭৪ সনের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩)১৬ ধারায় রুজু হয়েছে।

মামলায় বাদী এজাহারে উল্লেখ করেছেন ১৪ অক্টোবর পুলিশ সড়কে টহল জোরদার করছিলেন। বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সংগঠনের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মামলা প্রত্যাহার ও সাজা থেকে অব্যাহতির দাবীতে পেকুয়ার রাজপথকে উত্তপ্ত করার প্রচেষ্টা করছিল বিএনপি।

সম্প্রতি নাশকতা ও সহিংসতাসহ পেকুয়ায় সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডকে বেগবান করার চেষ্টা চলছিল। সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদের বিচার কার্যক্রম চলছে প্রতিবেশী দেশ ভারতে। তার মুক্তির দাবীকে ঘিরে বিএনপি সহিংসতা ও নাশকতার পরিকল্পনা করছিল। এর সুত্র ধরে ১৪ অক্টোবর রাতে পেকুয়া বাজার বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আসামীরা জড়ো হয়ে গাড়ী ভাংচুরসহ সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছিল। এ সময় পুলিশ দ্রুত ওই স্থানে পৌছে। এ সময় আসামীরা স্বশস্ত্র ছিল। তারা লাঠিসোটা ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে আতংক ও ভীতি ছড়ায়।

পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামীরা দ্রুত সটকে পড়ে। মামলায় অপর আসামীরা হলেন-যুবদল পেকুয়ার সভাপতি জেড,এম মোসলেম উদ্দিন, সম্পাদক কামরান জাদীদ মুকুট, বিএনপির সদর পশ্চিমজোন সভাপতি শাহনেওয়াজ আজাদ, পূর্বজোন বিএনপির সভাপতি মাহাবুবুল করিম, উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ইউসুফ রুবেল(২৮), যুবদল নেতা সাজ্জাদ হোসাইন, আরিফুল ইসলাম বিটু, ছাত্রদল সভাপতি সোহেল আজিম, যুবদল নেতা রাশেদুল ইসলাম, যুবদল নেতা সাজ্জাদ, এমডি শওকত হোসাইন, উপজেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

এ ছাড়া ২০/২৫ জনকে অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে। এ দিকে দায়েরকৃত মামলায় প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে বিএনপি পেকুয়া উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে। তাৎক্ষনিক এক প্রতিক্রিয়ায় উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক ইকবাল হোসাইন জানায়, এ মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসামুলক হয়েছে।

বিএনপির যে সব নেতা-কর্মী এ মামলায় আসামী হয়েছেন তারা নির্দোষ ও নিরাপরাধ। মামলাটি গায়েবী মামলা হিসেবে আমরা বিএনপি তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় ব্যক্ত করেছি। বিএনপি অফিসের সামনে পুলিশ অবস্থান সুসংহত করেছে। সেখানে কোন ধরনের রাজনৈতিক কর্মসুচী পেকুয়ায় হয়নি। বিরোধী শক্তিকে রাজনৈতিকভাবে দমাতে এ কাল্পনিক মামলা রুজু হয়েছে। আমরা এ মামলায় চরম হতাশা ব্যক্তসহ এ মামলা প্রত্যাহার দাবী করছি।

পাঠকের মতামত: