ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধ: যাত্রীদের দুর্ভোগ

চকরিয়া প্রতিনিধি :
সম্প্রতি হানিফ এন্টারপ্রাইজ পরিবহনের মালিক মো.হানিফের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। হানিফের ফাঁসির রায় কার্যকরের দাবিতে শনিবার দুপুরের দিকে চট্টগ্রামের বাকলিয়াস্থ তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু এলাকা ও বিকেলে গরীব উল্লাহশাহ মাজার এলাকায় হানিফ কাউন্টারের সামনে অবস্থান নেয় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মী। তারা সেখানে স্লোগান দিয়ে কাউন্টার হামলা ও ভাঙচুর করে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া না হলে রবিবার গাড়ি চলাচল বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন পরিবহন মালিক-শ্রমিক নেতারা।

এ ঘটনার পর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কেও গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা। রবিবার (১৪অক্টোবর) সকাল থেকে চকরিয়া পৌরশহরের শহীদ আবদুল হামিদ পৌর বাসটার্মিনাল থেকে দূরপাল্লা যানচলাচল বন্ধ থাকায় এতে যাত্রীদের অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।বাসটার্মিনাল থেকে কোন ধরণের বাস ছাড়েনি বাস মালিক-শ্রমিকরা।গাড়ী বন্ধ থাকায় যাতায়াতে বিপাকে পড়েছে জেলার আট উপজেলার লক্ষ লক্ষ জনগোষ্ঠী ও যাত্রীরা। এতেই বড় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কক্সবাজারে আসা আগত হাজার হাজার পর্যটকদের।

পরিবহন শ্রমিকরা জানান, শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগ নামধারী কিছু যুবক চট্টগ্রামের তৃতীয় কর্ণফুলী সেতু ও নগরীর দামপাড়া গরীবউল্লাহ শাহ মাজার এলাকায় হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কোন প্রদক্ষেপ না নেয়ায় বাকলিয়া থানার ওসির বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন পরিবহন শ্রমিক-মালিকরা।

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি বোরহান উদ্দিন বলেন, হানিফ পরিবহনের কাউন্টারে ছাত্রলীগের কোনো কর্মসূচি ছিল না। যারা হামলা চালিয়েছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। কেউ স্বপ্রণোদিত হয়ে ভাঙচুর চালালে তার দায় ছাত্রলীগ নিবে না।
আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামাল আজাদ বলেন, চট্টগ্রামের পরিবহন ব্যবসায়ীরা কিছু গাড়ি একত্রিত করে হানিফ পরিবহন নামে চালায়। হানিফ পরিবহন ও হানিফ এন্টারপ্রাইজ গাড়ীর মধ্যে একটু ভিন্নতা রয়েছে। ফাঁসির দন্ড পাওয়া হানিফ এন্টারপ্রাইজের মালিকের গাড়িগুলো ঢাকা থেকে নাইটে এসে নাইটে চলে যায়। ইচ্ছেকৃতভাবে হানিফ সুপার ও হানিফ পরিবহন কাউন্টারে হামলা চালানো হয়েছে। ভাংচুর করে যারা কাউন্টার বন্ধ করেছে তারা নিজেরাই তো গাড়ী চলাচল বন্ধ করে দেয়।

আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা বলেন, দুপর ১টার দিকে কিছু যুবক শ্রেণীর ছেলে এসে নতুন ব্রিজে হানিফ সুপার ও হানিফ পরিবহন কাউন্টারে এসে অতর্কিত ভাবে ভাঙচুর চালায়। তারা টিকিট বিক্রি বন্ধ করে দেয়। পরে দামপাড়াতেও হামলা চালিয়েছে। যে কারণে আমরা চট্টগ্রাম-কক্সবাজারসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের সব রুটে গাড়ি চলাচল বন্ধ রেখেছি।

এ ঘটনায় বাকলিয়া থানার ওসিকে তাৎক্ষণিক জানালেও উনি কোনোধরনের সহযোগিতা করেননি। উল্টো আমাদের মালিক ঐক্য পরিষদের আহবায়ক আবুুল কালাম আজাদের সাথে ওসি অশালীন আচরণ করেছেন। ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা না নেয়া পর্যন্ত দক্ষিণ চট্টগ্রামে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: