ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় ভার্চু স্কুলে হামলার ঘটনায় মামলা

স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া :  চকরিয়ার বদরখালীতে ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার রাতে চকরিয়া থানায় মামলাটি দায়ের করেন প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী মাস্টার নুরুন্নবী। এতে হামলার সঙ্গে জড়িত ১৮জনসহ অজ্ঞাত আরো ৫০ জনকে আসামী করা হয়েছে। তবে গত রবিবার বিকালের এই সশস্ত্র হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত কোন আসামি গ্রেফতার হয়নি।

চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, স্কুলে হামলার ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, হামলার সঙ্গে জড়িত আশরাফ আলী (৫২), নুরুল হুদা বদ (৪৫), জয়তুন্নাহার মানু (৩২), মো. ইসমাইল ৩০), নুরুন্নবী (৫৫), আবদুল মান্নান (৭০), মো. জাহাঙ্গীর (৩২), জিয়াসমিন (২৮), মো. আলমগীর (২৯), মিনা আক্তার (২৮), রফিক উদ্দীন মাঝি (৩২), ছৈয়দ নুর-১ (৪০), হাছিনা বেগম (৪৩), শহর আলী (৪৫), রেহেনা বেগম (৩৫), রুনা আক্তার (৩০), ছৈয়দ নুর-২ (৫০), মোজাফ্ফর আহামদ (৪৫) ও আবদুল মন্নানকে (২৩) আসামী করা হয়েছে।

রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি ও ভার্চু স্কুল সূত্রে জানা যায়, বদরখালীর ঠুটিয়াখালীপাড়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির আশ্রয়কেন্দ্র কাম স্কুল ভবন ও কেল্লার মাটি, ইট, জিনিসপত্র দীর্ঘদিন ধরে পাশর্^বর্তী পরিবারগুলো লুট ও যথেচ্ছ ব্যবহার করে আসছিল। সেখানে ২০১৬ সালে সোসাইটির সম্পত্তি বিভাগ ও সিইপি এবং সরকার, স্থানীয় রক্ষা কমিটি ও জনসাধারণের অনুমোদনে ২০১৭ সালে ভার্চু স্কুল অ্যান্ড কলেজ যাত্রা শুরু করে। এতে স্থাপনাটি ঘিরে পূর্ববর্তী অপরাধ ও অসামাজিক কাজ, যথেচ্ছ অবৈধ ব্যবহার, অনুপ্রবেশ ও চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আশঙ্কায় জড়িত কিছু অসৎ লোক ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠে। সকল আইনী প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে পুলিশ ফোর্সসহ স্কুল কর্তৃপক্ষ গত রবিবার ঘেরাও কাজ শুরু করে। দুপুরে পুলিশ সদস্যরা খাবারের বিরতীতে গেলে স্থানীয় ওই কিছু অসাধু লোকজন স্কুলে হামলা চালায়। এতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মচারি ও শ্রমিকসহ ১২ জন লোক আহত হন। লুট করা হয় লোহার খুঁটি, সিমেন্টসহ অন্তত আড়াই লাখ টাকার ঘেরাও সরঞ্জাম। এর আগে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আরো একবার রেড সিক্রেন্ট সোসাইটি ও স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ সদস্যদের চড়াও হয়ে হামলা চালায় স্বার্থান্বেষী কয়েকটি পরিবার।

মামলার বাদী মাস্টার নুরুন্নবী বলেন, স্কুল বা আশ্রয়কেন্দ্র রক্ষা করা তো সবারই দাবি হওয়ার কথা। কিন্তু অবৈধ স্বার্থন্বেষী ব্যবহারকারীরা দীর্ঘদিনের লুটপাটের পর শেষ পর্যন্ত রক্ষার কাজেও বাধা দিতে এমন ন্যাক্কারজনক হামলাটি চালায়। আমরা এই অপরাধের ন্যায় বিচার চাই।

পাঠকের মতামত: