ঢাকা,মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

মাতামুহুরী সেতু সংস্কারের নামে ২কোটি ৩০ লাখ টাকা লুটপাট, ৩০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হচ্ছে ৪টি সেতু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ৩০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪টি সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নিয়েছে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। ইতিমধ্যে চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ওই সেতুটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেয়া ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা নামমাত্র কাজ দেখিয়ে ভাগবাটোয়ারা করেছে চকরিয়ার সড়ক বিভাগের দায়িত্বরত দূর্ণীতিবাজ কর্মকর্তা ও কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারী প্রতিষ্টান।সেতুর চাঁদের উপর যে ষ্ট্রিলের পাটাতন বসানো হয়েছিল তার উপর কারপের্টি গুলো উঠে গিয়ে পুনরায় হানা খন্দকে পরিনত হয়েছে। প্রতিনিয়ত গাড়ি চলাচল করছে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ সুত্রে জানাযায়, ৩০৮ কোটি টাকা ব্যয়ে যে ৪টি সেতু নির্মাণের ট্রেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। তৎমধ্যে রয়েছে, চকরিয়ার মাতামুহুরী, চট্টগ্রামের পটিয়ার ইন্দ্রপুল, চন্দনাইশের বরগুনি ও দোহাজারির সাঙ্গু সেতু ও রযেছে। এসব সেতু নির্মাণ কাজে অর্থায়ন করছে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা)।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ চকরিয়া উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী কার্যালয়ের সহকারি প্রকৗশলী আবু এহেছান মোহাম্মদ আজিজুল মোস্তফা বলেন, ‘ক্রস বর্ডার ইমপ্রুুভমেন্ট নেটওয়ার্ক’ এর আওতায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে ছয় লেনের চারটি সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হবে। তবে অন্য তিনটি সেতুর কাজের অগ্রগতির তথ্য আমার কাছে না থাকলেও মাতামুহুরী সেতুর ছয় লেনের নির্মাণকাজ দৃশ্যমান হবে সহসাই। অবশ্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় জটিলতা দেখা না দিলে আগামী ডিসেম্বর মাসেই এই সেতুর নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কাজ শুরু হয়ে যাবে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে মাতামুহুরী সেতুর ওপর দিয়ে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন হাজারো যানবাহন চলাচল করছে। মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির নিচে প্রথমে বালির বস্তার ঠেস এবং ওপরে পাটাতন বসিয়ে জোড়াতালির মাধ্যমে যানবাহন চলাচল সচল রাখা হয়। এর পরও মাঝখানে সেতুটি ফের ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়লে আবারো জোড়াতালির কাজ শুরু করে সওজ। এজন্য ব্যয় হয় ২ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।

৪ সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ডেপুটি প্রজেক্ট ম্যানেজার সৈয়দা তানজিমা সুলতানা জানান, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চারটি সেতু নির্মাণের জন্য গেল মার্চে দরপত্র খোলার পর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া চলে। এরপর সেতুগুলো নির্মাণে ঠিকাদার নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়। ইতোমধ্যে চারটি সেতুর মাটি পরীক্ষা, স্থান নির্বাচন ও ডিজাইন চূড়ান্ত করা হয়। সেতুগুলো নির্মাণে জাইকার অর্থায়নের বিষয়টিও পুরোপুরি নিশ্চিত হয়ে ইতোপূর্বে ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থও ছাড় করা হয়।

স্থানীয় জনগন অভিযোগ করেছেন, চকরিয়া সড়ক বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবু এহেছান মোহাম্মদ আজিজুল মোস্তফা তার বাড়ি চকরিয়ায় হওয়ায় দূর্নীতিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যার কারণে তার অধিনে যে সব উন্নয়ন কাজ চলছে চকরিয়া, পেকুয়া ও কুতুবদিয়ায় সে সব উন্নয়ন কাজে ঠিকাদারদের নির্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ও দূর্নীতিবাজ প্রকৌশলী। সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রীর কাছে ওই দূর্নীতিবাজ উপ সহকারী প্রকৌশলীকে অনতি বিলম্বে চকরিয়া থেকে প্রত্যহার করে নেয়ার দাবী জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।

পাঠকের মতামত: