ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়া মহাসড়ক যেন মরণফাঁদ: মৃত্যুপূরী বাঁকে নেই দিক নির্দেশক সাইনবোর্ড!

মোঃ নিজাম উদ্দিন, চকরিয়া:

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া এখন ঝুঁকিপূর্ণ জনপথে পরিনত হয়েছে। উপজেলার বরইতলীতে চব্বিশ ঘন্টা ব্যবধানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ যাত্রী নিহতের ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে।

এদিকে চকরিয়ার মহাসড়কে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকে নেই কোন দিক নির্দেশক সাইনবোর্ড। মালুমঘাট রিংভং দরগাহর গেট সংলগ্ন বাঁকটি এখন মৃত্যুপূরীতে পরিনত হয়েছে। এখানে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা আর লাশ হয়ে ঘরে ফিরছে কেউনা কেউ।

এ স্থানে স্বপরিবারে ৭ জন নিহত হয় গত ২০১২ সালের বাস ও হায়েস মুখোমুখী সংঘর্ষে। গতবছর ১৯ আগষ্ট একই বাঁকে স্থানীয় রিংভং রহমানিয়া মাদ্রাসা সুপার মুহি উদ্দিন গাড়ির ধাক্কায় নিহত হয়। সর্বশেষ গত ২৯ আগষ্ট জেলা পরিষদ প্যানেল চেয়ারম্যানের গাড়ি ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে দুই ছাত্রলীগ নেতা নিহত হয় ওই একই স্থানে।

দুঃখজনক হলেও সত্য, এ মৃত্যুপূরী বাঁকে নেই কোন উল্লেখযোগ্য দিক নির্দেশক সাইনবোর্ড। বাঁকটির এক পাশে ছোট্ট চিহ্নযুক্ত সাইনবোর্ড থাকলেও তা চোখে পড়ার মতো নয়। এছাড়াও পর্যটন নগরী কক্সবাজারে দুর-দুরান্ত থেকে আসছে পর্যটকবাহী যানবাহন। এসব যানবাহনের জন্য বিপজ্জনক বাঁকে দীক নির্দেশক সাইনবোর্ড গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

মহাসড়কের এ বাঁকে বৃহদাকার বিপজ্জনক চিহ্নযুক্ত সাইনবোর্ড থাকলে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমে আসবে বলে মনে করেন যানবাহন চালকরা। এমতাবস্থায় চকরিয়ার রিংভং দরগাহর গেইট সংলগ্ন মহাসড়ক বাঁকের উভয় পাশে রাতে দৃশ্যমান বৃহদাকার “বিপজ্জনক বাঁক” সাইনবোর্ড নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন সচেতন মহল।

এব্যপারে সড়ক ও জনপদ বিভাগের চকরিয়া শাখার উপ প্রকৌশলী আবু এহেসান মোঃ আজিজুল মোস্তফা বলেন- ‘বিষয়টি আমাদের নজরে আসছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে চকরিয়ার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁকটির উভয় পাশে দৃশ্যমান সাইনবোর্ড দেওয়া হবে।’

পাঠকের মতামত: