ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪

উখিয়ায় ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, সর্বত্রে নিন্দার ঝড়

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥

উখিয়ায় থানার চিহ্নিত দালাল শিশু বড়–য়া এবার ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে। থানায় দালালী ও কতিপয় পুলিশের সাথে সংখ্যতার কারণে এলাকার অসহায় ও নিরপরাধ মানুষকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা এখন তার নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত ২০ জুন (বুধবার) হামলা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে জাতীয় দৈনিক ভোরের কাগজ, সকালের কক্সবাজার প্রতিনিধি ও সিএসবি ২৪ ডটকমের নির্বাহী সম্পাদক গফুর মিয়া চৌধুরী প্রধান আসামী করে সিএসবি ২৪ ডটকম এর সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক আমাদের সময় ও হিমছড়ির উখিয়া প্রতিনিধি পলাশ বড়–য়া এবং সিএসবি ২৪ ডটকমের বার্তা সম্পাদক অঞ্জন বড়–য়া (চট্টগ্রামে অবস্থানরত) নামে দ্রুত বিচার আইনে একটি ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা দায়ের করে। কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট তামান্না ফারাহ মামলাটি আমলে নিয়ে উখিয়া থানার ওসিকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

জানা যায়, ২৪ মে (বৃহস্পতিবার) উখিয়ার পূর্বরতœা গ্রামে ক্রিকেট খেলায় মৃত বুচারাম বড়–য়া মহাজনের ছেলে মিকু বড়–য়ার সাথে রিপন বড়–য়ার সামান্য ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বড় ভাই শিশু বড়–য়ার ইশারায় ২৬ মে গভীর রাতে বিনা তদন্তে পুলিশ পাঠিয়ে এতিম উখিয়া কলেজ ছাত্র রিপন বড়–য়াকে আটক করায়।

এ ঘটনায় “এতিম ও অসহায় কলেজ ছাত্র রিপনকে আটক করেছে পুলিশ” এবং তৎপরবর্তীতে উক্ত রিপন জামিনে মুক্ত হয়ে রিকল জমা দিয়ে ফেরার পথে থানা রোডে হামলার শিকার শীর্ষক সংবাদটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিএসবি ২৪ ডটকম সহ একাধিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের জের ধরে উখিয়া থানা রোডের কম্পিউটার অপারেটর, চিহ্নিত দালাল ও মামলাবাজ শিশু বড়ুয়া ৩ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করে।

এদিকে ৩ সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলায় দায়ের করায় সর্বত্রে নিন্দার ঝড় উঠেছে। একই সাথে ৩ সাংবাদিকের নামে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রত্যাহারসহ দালাল শিশু বড়–য়ার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সুশীল সমাজ।

উল্লেখ্য ইতিপূর্বে মৃত বুচারাম বড়–য়ার ছেলে শিশু বড়–য়া উখিয়া ভূমি অফিসে দালালী করাকালীন জালিয়াপালংয়ের মো: তৈয়ব, আবুল হোছাইন আবু, ছাবের আহমদ কন্ট্রাক্টর, রফিক উদ্দিনসহ অনেক মানুষকে হয়রানি করে। অবশেষে ক্ষুদ্ধ জনতার বিক্ষোভে ভুমি অফিস ছাড়তে বাধ্য হয়।

পরবর্তীতে কম্পিউটারে কাজ করার নামে থানার সামনে বসে নতুন ভাবে দালালী শুরু করে। যার ফলে পূর্বরতœা গ্রামের পিন্টু বড়ুয়ার মেয়ে সুমা বড়ুয়া (১৮) এর বিয়ে অনুষ্ঠানে পুলিশ পাঠিয়ে পন্ড করার চেষ্টা করে। লক্ষী বড়ুয়ার বাড়িতে প্রবাসী রুপন বড়ুয়া দাওয়াত খেতে গেলে মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ দিয়ে আটক করে তাকে পরদিন সকালে দুবাই যাওয়ার পথ গতিরোধ করার চেষ্টা করে । এ ঘটনায় প্রতিবাদ করলে এলাকার ৭/৮জনে আসামী করে মিথ্যা মামলাও করে সে। এছাড়াও খোকন বড়ুয়ার বাড়িতেও মিথ্যা তথ্য দিয়ে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করে। এছাড়াও মাদকাসক্ত, এবং এলাকায় “বিরবিজ্যা ফাডা” খ্যাত এই শিশু বড়–য়ার বিরুদ্ধে তদন্ত করলে ব্যাপক তথ্য পাওয়া যাবে যা আইনপরিপন্থী।

 

পাঠকের মতামত: