কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়া চ্যানেলবর্তী উজানটিয়া, মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল ১৯ফেব্রে“য়ারী শুক্রবার বেড়িবাঁধ নির্মানের আনুষ্টানিকভাবে উদ্ধেধন করা হয়। উদ্বোধনকালে কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ ইলিয়াছ এম.পি প্রধান অতিথি হিসাবে অংশগ্রহন করেন। বেড়িবাঁধ সংষ্কার ও পূনঃনির্মান প্রকল্পের উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, শুধু চকরিয়া-পেকুয়া, কক্সবাজার নয় সারাদেশের উপকুলীয় অঞ্চলের মাটি ও মানূষকে ঝড়, জলোচ্ছাস তথা প্রাকৃতিক দূর্যোগ ঝুঁকিমুক্ত করতে আন্তরিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার ও বিরোধীদল। যার উদাহরন স্বরূপ গতবছরের বন্যায় পেকুয়া উপকুলের বিধ্বস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ রাজাখালী, মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ বেড়িবাঁধ আগামী বর্ষা আসার পূর্বেই দ্রুত সংষ্কার পূনঃনির্মানে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় পাউবো’র কক্সবাজার কর্তৃপক্ষ বরাবরে জরুরী ভিত্তিতে পর্যাপ্ত অর্থ ও প্রকল্প বরাদ্ধ দিয়েছেন। জানা যায়, গত বছরের কয়েকদফা বন্যা ও ঘূর্নিঝড় কোমনের প্রভাবে উপজেলার বঙ্গোপসাগর ও কুতুবদিয়া চ্যানেল সংলগ্ন ৩ ইউনিয়ন রাজাখালী, মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের বিস্তীর্ণ বেড়িবাঁধ বিলিন হয়ে পড়ে। এতে চরম ঝুঁকি ও দূর্ভোগের মুখোমুখী হয় পেকুয়া উপজেলার ৩ইউনিয়নের মাটি আর মানূষ এবং তাদের জানমাল। স্থানীয় প্রশাসনের বর্তমান জনপ্রতিনিধি ও ইউএনও মোঃ মারুফুর রশিদ খান বিষয়টি কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের সংসদ সদস্য কক্সবাজার জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ ইলিয়াছ এম.পি’র দৃষ্টি গোঁচর করে প্রতিকার কামনা করেন। পরে সংসদ সদস্য বিষয়টি সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও পানি সম্পদমন্ত্রী বরাবরে অবহিত করে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দাবী জানান। প্রধানমন্ত্রীর নির্দ্দেশে স্থানীয় সংসদ সদস্যকে সাথে নিয়ে পানি সম্পদ মন্ত্রী ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ও পাউবোর প্রতিনিধিদল সরেজমিন পরিদর্শন করে দ্রুত পরিপত্র তৈরী করে সরকার প্রধানকে অবহিত করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পেকুয়ার উপরোক্ত ৩ইউনিয়নের বিধস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ বর্ষা মৌসূমের আগেই সংষ্কার পূণঃনির্মান কাজ সম্পন্নে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্ধ দেন। উক্ত বরাদ্ধের আওতায় কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড রাজাখালী, মগনামা ও উজানটিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধের ডেমিজ পোল্ডার ৬৪/২ বি প্রকল্প কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। উক্ত প্রকল্প কাজ শুরুর নির্ধারিত সময় গতকাল এ প্রক্রিয়ার আনুষ্টানিক উদ্বোধনের আয়োজন সম্পন্ন হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাফায়েত আজিজ রাজু, পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ মারুফুর রশিদ খান, পাউবো’র কক্সবাজার এর নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ সবিবুর রহমান, পেকুয়া থানার ওসি জিয়া মোহাম্মদ মোস্তাফিজ ভুঁইয়া, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. হোসাইন, কক্সবাজার জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম, জেলা যুবলীগ নেতা আশরাফ উদ্দিন, পাউবো’র চকরিয়া-পেকুয়া-কুতুবদিয়ার শাখা কর্মকর্তা (এসও) মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন ও হুমায়ুন কবির, মগনামা ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল মোস্তফা চৌধুরী, মগনামা ইউপি’র সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইউনুচ চৌধুরী, পেকুয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এস.এম.মাহাবুব ছিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম.দিদারুল করিম, সাধারণ সম্পাদক অবঃ বিডিআর মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আওয়ামীলীগ নেতা আবু শামা শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদুল আলম, জাতীয় শ্রমিক লীগ পেকুয়া উপজেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ও দৈনিক হিমছড়ির প্রতিনিধি সাংবাদিক সাইফুল ইসলাম বাবুল, মগনামা ইউপি সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মোক্তার আহমদ।
#############
বরইতলীতে সন্ত্রাসীদের হামলায় ৫ জন আহত
পেকুয়া প্রতিনিধি :::
পেকুয়া উপজেলার পার্শ্ববর্তী বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাঁদা খাজানগর এলাকায় সন্ত্রাসীদের হামলায় এস,এস, সি পরীক্ষার্থীসহ ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতরা হল কবির আহমদের স্ত্রী জন্নাত আরা বেগম, শওকত আকবরের স্ত্রী মালেকা বেগম, রবি আলমের স্ত্রী সায়েরা বেগম, এসএসসি পরীক্ষার্থী রেনু আরা বেগম, মৃত আবদুর রহমানের পুত্র কবির আহমদ। আহতদের চকরিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গত ১৮ ফেব্রে“য়ারী বিকাল ৩ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত আবদুর রহমানের পুত্র কবির আহমদ গংদের সাথে একই এলাকার মৃত হাজী ফজলুর রহমানের পুত্র আবদুল মোনাফ গংদের বসতভিটা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। তারই জের ধরে ঘটনার দিন বিবাদীগন বাদীর বসতভিটা জবরদখল করতে চাইলে বিবাদীগন বাদীগনের উপর হামলা করে। হামলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৫ জনকে পিঠিয়ে আহত করে। এ সময় বিবাদীগন বাদীর বেড়া ভাংচুর করে। তাছাড়া বিবাদীগন লুটপাটসহ দেড় লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। এ ব্যাপারে চকরিয়া থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে জানা যায়।
###################
সাধারান লোকজনের প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পেকুয়ার এক নেতার আত্মগোপনে!
মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, পেকুয়া :::
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার সাত ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের নিরীহ ও সাধারন লোকজনের কাছ থেকে ব্যবসায়ীক কাজে হাওলাতসহ নানা কৌশলে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে এবার পালিয়েছে সেই বিতর্কিত জামায়াত নেতা ডা: আলী আকবর। এখন পাওনাদারেরা প্রতিনিয়তই আলী আকবরের বাড়ীতে হানা দিলেও তার নাগাল পাচ্ছেনা। ডা: আলী আকবর পেকুয়া সদর ইউনিয়ন জামায়াতের সাবেক আমীর ও স্থানীয় বাইম্যাখালী গ্রামের মো. শরীফের পুত্র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পেকুয়া বাজারে দীর্ঘদিন ধরে ফার্মেসী ব্যবসার আড়ালে সাধারান মানুষকে নানা প্রলোভনে ফেলে ওই জামায়াত নেতা টাকা ধার নিতেন। আর সাধারান মানুষের কাছ থেকে ধার বা হাওলাদ হিসেবে নেওয়ায় টাকায় আলী আকবর ক্রয় করতেন জমি! তিনি পেকুয়া বাজারস্থ জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত প্যান ইসলামিক হাসপাতালের একজন শেয়ার হোল্ডার ও পরিচালক।
বিশ্বস্থ্য সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় জামায়াত-শিবির নিয়ন্ত্রিত বিভিন্ন প্রতিষ্টানের পরিচালক ও কর্ণধার পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করতে জামায়াত নেতা আলী আকবর। পেকুয়ায় বিগত সময়ে জামায়াত-শিবিরের সবকটি নাশকতায় নেতৃত্ব দিতেন আলী আকবর। জামায়াত-শিবিরের নাশকতা ও সরকার বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য আলী আকবর বিভিন্ন জায়গা থেকে লাখ লাখ টাকা সংগ্রহ করে নিজে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গেছেন বলে লোকেমুখে ব্যাপক প্রচার রয়েছে।
পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাইম্যাখালী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা সেলিম উদ্দিন জানান, ভন্ড জামায়াত নেতা আলী আকবর তার কাছ থেকেও ধার হিসেবে প্রায় কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন। গত ৬/৭মাস ধরে আলী আকবর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে।
পেকুয়ার উজানটিয়ার আতর আলী পাড়া গ্রামের মৃত রহমত উল্লাহর পুত্র সাইফুল্লাহ খালেদ রাজন অভিযোগ করেছেন, তার কাছ থেকে প্রায় কয়েক লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন আলী আকবর।
পেকুয়া বাজারের চিকিৎসক ডা: হারুনর রশিদের কাছ থেকেও প্রায় ২৬ লাখ টাকা ধার নিয়েছিলেন জামায়াত নেতা আলী আকবর।
পেকুয়া মৌলভী পাড়া গ্রামের মাষ্টার আহমদ হোছাইনের পুত্র ও উজানটিয়া সুতাচূরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাষ্টার মোদাচ্ছের মুরাদ জানান, কথিত জামায়াত নেতা চোগলখোর আলী আকবর আমার কাছ থেকেও ৪লাখ টাকা ধার নিয়েছিল। কিন্তু দীর্ঘদিন হলেও টাকা পরিশোধ করেনি আলী আকবর।
এভাবে পেকুয়ার আরো প্রায় অর্ধ শতাধিক লোক, বিভিন্ন সমবায় সমিতি, এনজিওর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন জামায়াত নেতা কথিত ডাক্তার আলী আকবর। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, সাধারান লোকজন প্রতিনিয়তই আলী আকবরকে টাকার জন্য চাপ দিলে তিনি পাওনা দারদের আজ দিবে কাল দিবে বলে সময়ক্ষেপন করতে থাকেন। জানা গেছে, গত ৬/৭মাস পূর্বে পাওনাদারদের ভয়ে রাতের আঁধারে আলী আকবর এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। জানা যায়, ডা: আলী আকবর বর্তমানে চট্টগ্রামের চাক্তাই এলাকায় জামায়াত নিয়ন্ত্রিত একটি প্রতিষ্টানে চাকুরী করছেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন পাওনাদার ওই জামায়াত নেতা আলী আকবরের বিরুদ্ধে আদালত ও থানায় প্রতারনার মামলা দায়ের করেছেন। পাওনাদারদের কোটি টাকা কৌশলে আত্মসাত ও এসব মামলায় ঝামেলা এড়াতেই আলী আকবর এলাকা ছেড়ে চট্টগ্রামে পালিয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
পাঠকের মতামত: