ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চট্রগ্রামের বরিশাল কলোনিতে রাতভর অভিযান: গ্রেপ্তার ‘ভাবী’র অধীনে মাদক বিক্রি করে ৪০ নারী ৩০ শিশু

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি ::

নগরীর সদরঘাট থানার মাদকের আখড়া হিসেবে পরিচিত বরিশাল কলোনিতে অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী পারুল বেগমসহ (৪৩) দুই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) দক্ষিণ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এসএম মোস্তাইন হোসাইনের নেতৃত্বে সদরঘাট থানা পুলিশ এ অভিযান পরিচালনা করে।

অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া অপর নারীর নাম জহুরা বেগম (৫৬)। তিনি পারুল বেগমের সহযোগী। এ সময় উদ্ধার করা হয় নালার ভেতরে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ৬৫০ বোতল ফেনসিডিল। অভিযানে সিএমপির দক্ষিণ বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আবদুর রউফ, সহকারী কমিশনার জাহাঙ্গীর আলম, সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নেজাম উদ্দিনসহ অর্ধশতাধিক পুলিশ অংশ নেন। রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোররাত ৩টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে।

পুলিশ জানান, লক্ষ্মীপুর জেলার সদর থানার চর রুহুতি এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের স্ত্রী পারুল বেগম গত ১২ বছর ধরে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। গ্রেপ্তার জহুরা বেগম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার মানিক মিয়ার বাড়ির আবুল হোসেনের স্ত্রী। পারুল বেগম সরাসরি ভারত থেকে এসব ফেনসিডিল নিয়ে আসেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন।

পারুল বেগম সম্পর্কে পুলিশ জানায়, বরিশাল কলোনিতে মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে যার পরিচয় ‘ভাবি’ হিসেবে। আবার মাদক বেচাকেনার দায়িত্বে থাকা নারীদের কাছে তার পরিচয় ‘আপা’। পারুল বেগম নগরীর অন্যতম মাদকস্পট বরিশাল কলোনির মাদক ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক। তার অধীনে মাদক বেচাকেনার করে প্রায় ৪০ জন নারী এবং ৩০ জন ১২-১৪ বছর বয়সী শিশু। গরিব নারী ও শিশুদের টার্গেট করে অর্থের লোভ দেখিয়ে দলে ভেড়ায় পারুল বেগম। এদের দিয়ে মাদক বিক্রি ও পাচারের কাজ চালিয়ে যায় বরিশাল কলোনির মাদক ব্যবসার অন্যতম নিয়ন্ত্রক ভাবি পারুল বেগম।

ওসি মো. নেজাম উদ্দিন বলেন, বরিশাল কলোনির আরেক মাদক ব্যবসায়ী মো. লোকমানের ভাড়া ঘরে বসবাস করা পারুল বেগম মাদকবিরোধী অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দেয়। বৃহস্পতিবার রাতে আগে মজুদ করা ফেনসিডিল সরানোর জন্য আসলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালায়

পাঠকের মতামত: