ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় গ্যাসের চুলায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীর

পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় গ্যাসের চুলায় প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রীর। সিলিন্ডার থেকে গ্যাস লিক আউট হয়। এ সময় হঠাৎ আগুন ধরে যায়। এ সময় মারাত্মক অগ্নিদদ্ধ হন একই পরিবারের তিনজন। স্বামী-স্ত্রী ও একমাত্র সন্তান ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র। স্থানীয়রা এ ৩ জনকে উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে অবনতি হওয়ায় এদের চমেক হাসপাতালে প্রেরন করে। চমেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তরিত করে। প্রায় ৫ দিন চিকিৎসার পর একই দিনে স্বামী ও স্ত্রী ২ জনেই মৃত্যুর কুলে ঢলে পড়ে। নিহতরা হলেন পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের পানপাড়া গ্রামের হোসাইন(৩৫)ও তার স্ত্রী দিলোয়ারা বেগম(৩২)। ২২ মে দুপুর ১২ টার দিকে চমেক হাসপাতালে দিনমজুর হোসাইনের মৃত্যু হয়। একই দিন বিকেল ৪টার দিকে নিয়তির কাছে হার মানলেন তার স্ত্রী দিলোয়ারা বেগমেরও। তিনিও ওই হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে মৃত্যুবরন করে। অপরদিকে একমাত্র ছেলে উজানটিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেনীর ছাত্র ওয়াহিদ নয়ন(১১)এর অবস্থাও সংকটময়। তার জীবন প্রদীপ মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে। চিকিৎসক জানায়, আগুনে শরীরের ৬০% ঝলসে যায়। ওয়াহিদ নয়ন চমেকের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন। তবে অচেতন অবস্থায় তার জীবন নিভূ নিভূ অবস্থা। যে কোন মুহুর্তে ওই ছাত্রও পৃথিবীর আলো বাতাস মায়া মমতা ত্যাগ করে নিভে যেতে পারে জীবন প্রদীপ। এ দিকে দিনমজুর হোসাইন ও তার স্ত্রী দিলোয়ারা বেগমের মৃত্যু হয়েছে। এ সংবাদ এলাকায় জানাজানি হলে মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। সর্বত্রে শোক ও নিস্তব্দতা বিরাজ করে। মানুষ চোখের জল ধরে রাখতে পারে নি। একটি হতদরিদ্র পরিবারের এ নির্মম ট্র্যাজেড়ি মানুষকে শোকে স্তব্দ করে দেয়। নিয়তির কাছে প্রার্থনা করছেন যেন নিষ্পাপ ওয়াহিদ নয়নের আরোগ্য দেয় মহান কর্তা।

@@@@@@@@@@@@@@
পেকুয়ায় বসতবাড়িতে চুরি, আটক-১
পেকুয়া প্রতিনিধি:
পেকুয়ায় বসতবাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়েছে। এ সময় বসতবাড়ির লোকজন চোরকে ধৃত করে। এ সময় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নিকট সোপর্দ করে। ইউপি কার্যালয় থেকে তাকে পেকুয়া থানা পুলিশে সোপর্দ করে। ২১ মে গভীর রাতে উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের সুতাচোরা ঠান্ডারপাড়া হাজী নুরুচ্ছফার বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়। আটককৃত ব্যক্তির নাম শাহজাহান(৩২)। তিনি সদর ইউনিয়নের মগকাটা এলাকার মৃত ইসমাইলের পুত্র। পেকুয়া থানা পুলিশ আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে। এ ব্যাপারে পুলিশ সুত্র জানায়, আটককৃত ব্যক্তি দুর্ধর্ষ চোর। বিভিন্ন চুরি চামারি ও অপরাধ কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ওই দিন গভীর রাতে হাজী নুরুচ্ছফার বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়। বসতবাড়ির ছাদের ফটক দিয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে। এ সময় স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা, সুটকেস ভর্তি কাপড় চোপড় ও মুল্যবান দ্রব্যাদি নিয়ে সটকে পড়ছিল। রমজানে সেহেরী খেতে তারা ঘুম থেকে জেগে যায়। এ সময় চুরির দৃশ্য দেখতে পান তারা। মুহুর্তের মধ্যে এ সব মালামাল নিয়ে দু’জন দ্রুত সটকে পড়ে। তবে আটককৃত শাহজাহানকে হাতে নাতে ধরে ফেলে। এ সময় হাজী নুরুচ্ছফাকে প্রাননাশ চেষ্টা চালায়। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে তাকে ধরে ফেলে তারা। ইউপি চেয়ারম্যান এম, শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, সে দুরন্ত চোর। এলাকায় অনেক বাড়িঘর চুরি হয়েছে। এ সব চুরির সাথে শাহজাহানসহ তার চোর সিন্ডিকেট জড়িত। আমি সুপারিশ আকারে পুলিশে সোপর্দ করি।

পাঠকের মতামত: