ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

সাতকানিয়ায় ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে ১১ জনের মৃত্যু, আহত ৪২জন

তাজুল ইসলাম পলাশ, চট্টগ্রাম:

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় ইফতার সামগ্রী নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে অন্তত ৪২জন। তবে এখনো পর্যন্ত নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। সোমবার (১৪ মে) দুপুরে উপজেলার ললুয়া ইউনিয়নের গাছিয়াডাঙ্গা একটি মাদ্রাসা মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যেক্ষদর্শীরা ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, কেএসআরএম’র মালিক ওমর শাহাজাহানের পক্ষে সকাল ৮টা থেকে দুস্থ-গরিবদের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করছিল। কেএসআরএম (কবির স্টিল রি-রোলিং মিল) লিমিটেডের মালিকপক্ষ প্রতি বছর রোজার আগে স্থানীয় দুস্থতের মধ্যে ইফতারি তৈরির বিভিন্ন সামগ্রী বিতরণ করে। তারই এর ধারাবাহিকতায় সোমবার ইফতার সমাগ্রী বিতরণের ব্যবস্থা করে কেএসআরএম। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে হতদরিদ্র মানুষের সংখ্যা। একপর্যায়ে প্রচন্ড গরমে তাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। এসময় পদদলিত হয়ে ঘটনাস্থলে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত বেশ কয়েকজনকে সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

ইস্পাত তৈরির প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম’র পাবলিক রিলেশন অফিসার মো. রফিকুল আলম বলেন, প্রতিবছর আমরা রমজানের আগে ইফতার সামগ্রী বিতরন করি। এ বছরও আমরা ইফতার সামগ্রী বিতরন করছিলাম। আমরা প্রায় ১৫ হাজার মানুষের জন্য সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছি। তিনি বলেন, যেহেতু এতো মানুষের আয়োজন সেজন্য আমরা পুলিশ, আনসারসহ এলাকার অনেক লোকজন যাতে সুন্দর শৃঙ্খলার মধ্যে শেষ হয় সে ব্যবস্থা করেছি। শৃঙ্খলার কোন ঘাটতি ছিলনা বলে তিনি জানান।

সাতকানিয়া থানার (ওসি) রফিকুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। তিনি বলেন, এখনো পর্যন্ত ৯ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া গেছে। আহত অনেকের মাঝে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্খাজনক বলে তিনি জানান।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের এএসপি এমরান ভূঁইয়া জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশসহ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পৌঁঁছেছেন। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় দুইজনকে হাসপাতালে ক্যাজুয়াল্টিতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

নলুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাসলিমা আকতার জানান, প্রতিবছর ললুয়া ইউনিয়নে একটি মসজিদের মাঠে কেএসআরএম জাকাত ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করে। মাঠে ১০ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতা থাকলেও আজ জমায়েত হয়েছিল ২০-৩০ হাজার। অতিরিক্ত ভিড় ও গরম হওয়ায় হিট স্ট্রোকে ৯ জন মারা যান। আরও কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে একই  রকম ঘটনায় পদদলিত হয়ে ৭ জন নিহত হয়েছিল।

পাঠকের মতামত: