ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

কক্সবাজার-টেকনাফ ৭৯ কিলোমিটার সড়ক মারাত্মক ঝুঁকিতে

উখিয়া প্রতিনিধি ::

শহীদ এটিএম জাফর আলম আরকান সড়কটি বর্তমানে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত অতিরিক্ত যানবাহন চলাচলের কারনে মারাত্মক ঝুঁকি বেড়েছে। কিন্তু দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও বাড়ছেনা উক্ত সড়কের উন্নয়ন কাজ ও সম্প্রসারণের কাজ। উল্লেখিত সড়কটি স্বাধীনতার পর নির্মিত হলেও এই সংকীর্ণ সড়কটি বিভিন্ন সময়ে সংস্কার হয়েছে। কিন্তু মোটেও সম্প্রসারনের কাজ হয়নি। এক যুগ পুর্বে বাংলাদেশ-মিয়ানমার বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদন হয়। টেকনাফ নির্মিত হয় বাণিজ্যিক বন্দর। পাশাপাশি সেন্টমার্টিন আকর্ষণীয় টুরিজম স্থানের ব্যাপক অবকাঠামো নির্মিত হওয়ার পর থেকে কক্সবাজার টেকনাফ সড়ক যান বাহন চলাচল বাড়তে থাকে। পাশাপাশি রাজস্ব আদায় ও লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে থাকলেও এতদাঞ্চলের এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সম্প্রসারনের কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এদিকে মিয়ামনার সেনা বাহিনীর পৈশাবিক নির্যাতনে বাংলাদেশ পালিয়ে এসেছেন প্রায় ১১ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপে ১১ লাখ ৩ হাজার ২৯২ জন। নিবন্ধিত রোহিঙ্গা উখিয়া-টেকনাফের ১২ অস্থায়ী ক্যাম্পে বসবাস করছে। স্থানীয় ও রোহিঙ্গাসহ এই দুই উপজেলায় ১৬ লাখ মানুষের বসবাস। বর্তমানে বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে জন অধ্যুষিত এলাকা উখিয়া-টেকনাফ। নির্যাতিত এসব রোহিঙ্গাদের ভরন পোষ, খাদ্য সরবরাহ সার্বিক সাহায্যে নিয়োজিত এসব এনজিও সংস্থা ও দুই উপজেলার আইন শৃংখলা বাহিনী তদারকিতে ব্যবহার হচ্ছে ৫ হাজারের অধিক যানবাহন মালবাহন গাড়ী। সব মিলিয়ে বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফে প্রতিদিন চলাচল করছে ১০ হাজারের মত, এ নিয়ে উখিয়া টেকনাফের স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যাপক উদ্বেগ উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। তাদের ছেলে মেয়ে সঠিক সময়ে স্কুলে কলেজে যেতে নানান ভাবে বিপদের সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ হিসেবে বাড়ছে দুই উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনা।

সড়কের অবস্থা: কক্সবাজারের লিংক রোড থেকে টেকনাফ পর্যন্ত সড়কে গর্ত, খানা খন্দক, অত্যন্ত আকা বাকা উচুনিচু রাস্তা তাতে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সর্তক বোর্ডে সংকেত দেওয়া হয় নাও নেই। এছাড়াও রাস্তার দুই পাশে সড়কের উপর বিভিন্ন ভাসমান দোকান ঘর। সকাল ৭ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত কক্সবাজার থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১০টির অধিক স্থানে তীব্র যানজট লেগেই আছে। তৎমধ্যে মরিচ্যা, কোটবাজার, উখিয়া সদর, কুতুপালং, বালুখালী, থাইংখালী, পালংখালী, টেকনাফের হোয়াইক্যং, হ্নীলা সহ প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে।

বর্তমানে কক্সবাজার থেকে টেকনাফ সড়কটি ঝুকিপূর্ণ বটেই। তৎমধ্যে চলতি বর্ষা মৌসুমে যত ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করেছেন কক্সবাজার বিজ্ঞবিদরা। তবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রাস্তা প্রতিবন্ধকতা নিরসনে সেনা বাহিনীর বিভিন্ন উন্নত মানের ক্যারাইং মওজুদ রেখেছে। তবে এমন কোন দিন নেই উখিয়া টেকনাফ সড়কে ছোট বড় মালবাহী গাড়ী দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। সোমবার ৪ টার দিকে উখিয়া-টেকনাফ প্রধান সড়কে নিউ ফরেষ্ট অফিস এলাকায় একটি মালবাহী কার্গো ভ্যান রাস্তার উপর উল্টে যাওয়ার ফলে প্রায় ৩ ঘন্টা যান বাহন চলাচল বন্ধ ছিল। এসময় দু দিক থেকে আসা শতশত যানবাহন আটকা পড়ে।

এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নিকারুজ্জামান চৌধুরী জানান, সড়কের যানজট নিরসনে প্রশাসনের লোকজন সার্বক্ষণিক কাজ করছে। এছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে দেওয়া হয়েছে ট্রাফিক পুলিশ। আর কিছু কিছু জায়গায় সড়কের দু পাশ সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এবং সড়ক উন্নয়ন ও সংস্কার কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলে তিনি আশ^স্থ করেন।

পাঠকের মতামত: