ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় মাইক্রো থামিয়ে সাড়ে ৭ লাখ টাকা লুট ছিনতাইয়ের শিকার চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চট্টগ্রাম মহানগরীর আছাদগঞ্জ এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কমান্ডো স্টাইলে সাড়ে ৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে কক্সবাজারের চকরিয়ায়। দিনভর আমদানির টাকা তুলে রাতে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে দুটি মোটর সাইকেল যোগে এসে ৬ জন সশস্ত্র যুবক যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসের গতিরোধ করে প্রথমে। এর পর ভেতরে থাকা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ওই ব্যবসায়ীকে ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা অপবাদ দেয় ব্যাগের মধ্যে অবৈধ জিনিস রয়েছে, আবার কেউ টাকা পাওয়ার কথা বলে দ্রুত ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে মোটর সাইকেলে পালিয়ে যায়। ৩০মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং স্টেশনের কাছে সাইফা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মোটর সাইকেলযোগে এসে যখন ওই ৬ জন যুবক চট্টগ্রামমুখি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটির গতিরোধ করে তখন আশপাশ থেকে অসংখ্য লোক সেখানে জড়ো হয়। কিন্তু কেউ এই ঘটনা সংঘটিত করার সময় মুখ খোলার সাহস করেনি। ঘটনার পর পরই থানার ওসির নির্দেশে ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং স্থানীয় প্রত্য দর্শীদের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবুল কালাম আজাদ। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদেরই কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে দৈনিক চকরিয়া নিউজকে জানান, মোটর সাইকেলযোগে এসে যে ৬ জন যুবক এই ছিনতাইয়ের ঘটনা সংঘটিত করেছে তন্মধ্যে স্থানীয় কয়েকজন রয়েছে।

ছিনতাইয়ের শিকার ব্যবসায়ীর নাম মো. আবু মুছা। তিনি চট্টগ্রাম মহানগরীর আছাদগঞ্জ এলাকার মেসার্স তানভীর এন্টারপ্রাইজের মালিক। ওই প্রতিষ্ঠানে তিনি ঢেউটিনের ব্যবসা করেন। তার প্রতিষ্ঠান থেকে চকরিয়ার বেশ কয়েকটি দোকানে পাইকারি দরে ঢেউটিন সরবরাহ করে থাকেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম জানান, চট্টগ্রামের ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা ছিনতাই হওয়ার পর পরই তিনি আমাকে পুরো ঘটনা অবহিত করেন। এর পর বিষয়টি থানার ওসি এবং হারবাং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জকে জানানো হলে তারা তৎপর হন।

ব্যবসায়ী মো. আবু মুছা গতরাতে চকরিয়া নিউজকে বলেন, আমি চকরিয়া পৌরশহর থেকে বিভিন্ন দোকান থেকে ঢেউটিন বিক্রির টাকা তুলে সন্ধ্যার দিকে যাই হারবাং স্টেশনের আনিস ট্রেডার্সে। সেখান থেকে নগদ ১ লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে চট্টগ্রামমুখি একটি যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে উঠি। এর পর মাইক্রোবাসটি হারবাং স্টেশন থেকে বুড়ির দোকান এলাকার সাইফা কমিউনিটি সেন্টারের কাছে যেতেই বিপরীত দিক থেকে দুটি মোটর সাইকেলযোগে ৬ জন সশস্ত্র যুবক এসে মাইক্রোবাসটির থামায়। এ সময় কিছু বুঝে উঠার আগেই সশস্ত্র এসব যুবক আমাকে অবৈধ ব্যবসায়ী এবং আমার কাছ থেকে টাকা পাচ্ছেন বলেও অপবাদ দেয়। একপর্যায়ে তারা আমার কাছ থেকে টাকা ভর্তি ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার ওসি মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, হারবাং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের কাছ থেকে এ ধরনের একটি ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে হারবাং ফাঁড়ির ইনচার্জকে পাঠানো হয়। তবে এখনো পর্যন্ত (গতরাত দশটা) এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ না পেলেও ঘটনায় জড়িতদের ধরতে পুলিশ মাঠে নেমেছে।

পাঠকের মতামত: