ঢাকা,শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় ঘুষ ছাড়া মেলে না পল্লীবিদ্যুতের সংযোগ!

অনলাইন ডেস্ক ::

বিদ্যুৎ সংযোগ বা সরবরাহ লাইন পেতে দিতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকা ঘুষ। চলতি বছরের মধ্যে উখিয়ার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুতের আলো জ্বালানোর প্রতিশ্রুতি প্রধানন্ত্রীর। প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ বাস্তবায়নে উখিয়ার নিরহ লোকজনদের দিতে হচ্ছে কয়েক দফায় গণ হারে ঘুষ। উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম পালংখালী গ্রামে বিদ্যুতায়নের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে কিছুদিন থেকে। কিছু খুটি টিকাদারের লোকজন নিয়ে রেখেছে। খুটি পুঁতা, তার লাগানো, ট্রান্সফরমার স্থাপন, গ্রাহকদের ঘরবাড়ি ওয়ারিং, মিটার স্থাপন সহ অনেক কাজ বাকি। কিন্তু খুটি দেখিয়ে ঐ গ্রামের প্রায় সকলের কাজ থেকে প্রথম দফায় গণ ঘুষ আদায় শুরু হয়ে গেছে। দ্বিতীয় দফায় নাকি আরো দিতে হবে। উক্ত ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সরকারী বেতন ভুক্ত গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) হোছন আহমদ গতকাল মঙ্গলবার উখিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দালাল কর্তৃক বাধ্যতামূলক হারে গণ ঘুষ আদায়ের অভিযোগ করেছে। ঘুষ দিতে কেউ অপারগতা প্রকাশ করলে পল্লী বিদ্যুতের সংঘবদ্ব দালালচক্র তাদের উপর হামলাও চালিয়েছে।
অভিযোগে জানান, স্থানীয় একই গ্রামের মৃত কালা মিয়ার ছেলে নুর হোছাইন ও জাফর আলমের ছেলে মাহাবুব আলম এ গ্রামের ৮২ পরিবারের কাছ থেকে পরিবার মাথাপিচু তিন হাজার টাকা হারে জোর পূর্বক টাকা আদায় করছে। এ টাকা না দিলে টিকাদার ও পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ বর্ষার আগে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপনের কাজ করবে না বলে হুমকিও দিচ্ছে।
পল্লী বিদ্যুতের দালালদের টাকা কম দেয়ায় ঐ গ্রাম পুলিশের স্ত্রীকে ঘরে গিয়ে মারতেও উদ্যত হয় বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। লাইন নির্মানের পর মিটার, সংযোগ ও ট্রান্সফরমারের জন্য দ্বিতীয় দফায় আবারও দুই হাজার টাকা হারে দিতে হবে বলে দালালদের নির্দেশ রয়েছে। এব্যাপারে পল্লী বিদ্যুতের উখিয়া ডিজিএম সালাহ উদ্দিন মোঃ জোয়ারদার বলেন, সরকার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে মাষ্টার প্ল্যানের আওতায় চলতি বছরের মধ্যে উখিয়ার প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ পৌচে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ব। টিকাদারের লোকজন লাইন নির্মানের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাজ থেকে কোন ধরনের অর্থ আদায়ের সুযোগ নেই। এপরও অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

পাঠকের মতামত: