ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

পেকুয়ায় সংঘর্ষে মহিলাসহ আহত-১১

পেকুয়া প্রতিনিধি ::hamla__1

পেকুয়ায় জায়গার বিরোধ নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় একই পরিবারের মহিলাসহ ১১জন আহত হয়েছে। স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারী শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের মইয়াদিয়া এলাকায়। আহতরা হলেন ওই এলাকার মৃত. মোশারফ আলীর ছেলে কবির আহমদ (৯০), তার স্ত্রী মায়মনা খাতুন (৮০), জহিরুল আলমের স্ত্রী তাহেরা বেগম (৪০), মৃত.শাহ আলমের স্ত্রী আমেনা বেগম (৪৫), নুরুল আলমের স্ত্রী মাহমুদা বেগম (৩৫), তার ছেলে মো. সোহেল (২০), মৃত.ছাবের আহমদের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম (৫০), মো.আবছারের স্ত্রী রাশেদা বেগম (৩৫), ছৈয়দ আহমদের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৩৪), নুরুল ইসলামের স্ত্রী রেহেনা আকতার (৩০) ও তার শিশু পুত্র মো. মারুফ (১০)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন খরিদসুত্রে দীর্ঘদিনের ভোগ দখলীয় জমিতে ওই দিন কবির আহমদ গং সেচ দিচ্ছিলেন। এ সময় একই ইউনিয়নের বটতলীয়াপাড়া এলাকার মৃত.এলাহাদাদের ছেলে ফয়েজ আহমদ, তার ছেলে জয়নাল, হেলালসহ ৭-৮জন দুর্বৃত্ত সোহেলকে মারধর করে আহত করে। এ সময় তার আর্তচিৎকারে উপরোল্লিখিত নিকটতœায়ীরা উদ্ধার করতে ওই স্থানে এগিয়ে আসে। এ সময় ওই দুর্বৃত্তরা লাঠি ও লোহার রড দিয়ে তাদেরকে এলোপাতাড়ি হামলা চালিয়ে আহত করে। স্থানীয়রা জানায় কবির আহমদের ছেলে নুরুল ইসলাম প্রকাশ নুরু পেকুয়া সদর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড় আ’লীগের সাধারন সম্পাদক। আহত রেহেনা আকতার তার স্ত্রী ও সোহেল তার ছেলে। সে মইয়াদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীর ছাত্র। মইয়াদিয়া এলাকার লোকজন জানায় উক্ত জায়গা আ’লীগ নেতা নুরুল ইসলামের মা মায়মনা খাতুনের সম্পত্তি। তারা যুগ যুগ ধরে ওই জায়গা ভোগ করে আসছে। অপরদিকে হামলাকারী ফয়েজ আহমদ একজন বিএনপি সমর্থক। সে একজন দখলবাজ ও খারাপ প্রকৃতির লোক। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সম্প্রতি ওই জায়গা জবর-দখল করতে ফয়েজ আহমদ মরিয়া হয়েছে। পেকুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ আশরাফুজ্জামান জানান আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে ভর্তি করতে বলেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পাঠকের মতামত: