ঢাকা,শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

চকরিয়ায় শ্যামলী-নোহা-মাইক্রোবাসে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :

চট্রগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার আজিজনগরে শ্যামলী বাস নোহা ও মাইক্রোবাস ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত ৪, আহত ১৫ জন। আজ ৩ মার্চ সকাল সাড়ে ৭টায় চকরিয়ার সিমান্তবর্তী আজিজনগর এলাকায় এ ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

ওভারটেক করতে গিয়ে যাত্রীবাহী শ্যামলী পরিবহনের একটি বাস ও দুইটি নোহা মাইক্রোবাসের ত্রিমুখী সংঘর্ষে কলেজ ছাত্রসহ ৪ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার হারবাং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের চকরিয়ার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কক্সবাজারের উখিয়া থেকে একটি নোহা যোগে ৮ জন পর্যটক বান্দরবানে যাচ্ছিল। তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর বিপরীতমুখী শ্যামলী বাসের সাথে ধাক্কা লাগলে ঘটনাস্থলে উখিয়া উপজেলার রাজা পালং ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাদশা মিয়ার পুত্র আলী আকবর (৩০) ও শামসুল আলমের পুত্র নোহা চালক জয়নাল আবদীন (২২), মীর আহমদের পুত্র সাহাব উদ্দিন (১৯), আব্দুল গফুরের পুত্র মোহাম্মদ মামুন (২১) মারা যায়। হাইওয়ে পুলিশ আহত ৫ জনকে প্রথমে চকরিয়া হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় ৫ যাত্রীকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। আহতরা হলেন- জামাল উদ্দিনের পুত্র সাহাব উদ্দিন (৩০), আলী আহমদের পুত্র নুরুল ইসলাম (১৮), অহিদুল আলমের পুত্র গফুর আলম (২৫), উলা মিয়ার পুত্র নুরুল হোসেন (১৮), জাকের হোসেন (২৭)। তারা সকলেই উখিয়া রাজা পালং ইউনিয়নের পূর্ব দরগারবিল হাতির মোড়া পাড়ার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

চকরিয়া ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার (এসও) জিএম মহিউদ্দিন জানান, যাত্রীবাহী একটি বাস কক্সবাজারের দিকে যাচ্ছিলো। পথিমধ্যে বাসটি হারবাংয়ের গয়ালমারা এলাকায় পৌঁছলে পেছন থেকে একটি নোহা মাইক্রোবাস ওভারটেক করতে গিয়ে চট্টগ্রামমুখী আরেকটি নোহা মাইক্রোবাস ও শ্যামলীবাসের সাথে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এসময় শ্যামলী বাসটি খাদে পড়ে যায়। ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই ৩ জন মারা যান। আরেকজন হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ‌তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে।

অপরদিকে সকাল ১০ টায় চকরিয়াস্থ মালুমঘাট এলাকায় মোটর সাইকেল ও টমটমের সংঘর্ষে মোটর সাইকেল আরোহী চকরিয়ার মাইজঘোনা গ্রামের শহর মুল্লুকের পুত্র রিপন (২২) মারাত্মকভাবে আহত হয়েছে। তাকে মালুমঘাট হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন, মালুমঘাট ও চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ। চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানিয়েছেন, সকাল বেলায় এ দূর্ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর হাইওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।

 

পাঠকের মতামত: