ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসানো নলকূপে পানি নেই,অধিকাংশ অকেজো, কোটি কোটি টাকা দূর্নীতির তদন্তের দাবী

ফারুক আহমদ, উখিয়া ::

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সেবার নামে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার বসানো নলকূপে পানি আসছেনা বলে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দায়সারা ভাবে স্থাপিত অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় নলকূপ বসানোর নামে দেশী-বিদেশী এনজিও কর্তৃক ব্যাপক অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। সচেতন নাগরিক সমাজ মানবিক সেবার নামে অর্থ লুটপাটের বিষয়টি তদন্তের দাবী জানিয়েছেন।

এদিকে কাজের গুনগত মান ভাল ও সঠিক হয়েছে মর্মে একাধিক এনজিও সংস্থা প্রত্যায়ন পত্রের জন্য উখিয়া উপজেলা নির্বাহাী কর্মকর্তার নিকট র্ধনা দিচ্ছে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন এতে বেকে বসে। অর্থাৎ এনজিওদের এমন অপতৎপরতায় প্রশাসন সায় দিচ্ছেনা। কারন এ সমস্ত এনজিও সংস্থার কর্মসূচির অনিয়ম দূর্নীতি নিয়ে পত্র-পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। শুধু তাই নয় সদ্য বিদায়ী জেলা প্রশাসক মো: আলী হোসেন এনজিওদের ত্রান সামগ্রী বিতরনে ব্যাপক অনিয়ম হচ্ছে মর্মে মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ প্রেরন করে।

সরজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, উখিয়ার কুতুপালং, মধুরছড়া,লম্বা ঘোনা, বালুখালী, থাইংখালী, ময়নার ঘোনা, জামতলী, তাজুনীমার খোলা ও শফিউল্লাহ কাটা সহ টেকনাফের ১২টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেশী-বিদেশী এনজিও সংস্থা রোহিঙ্গাদের মানবিক সেবায় বিভিন্ন কার্যক্রম শুরু করে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, এনজিও সংস্থা ব্র্যাক, কোষ্ট ট্রাষ্ট, অক্সফাম, ওয়াটার এইড়,আইওএম, ইউনিসেফ, পালস বাংলাদেশ, ইউএনএইচসিআর, সেইভ দ্যা সিলড্রেন,এসিএফ, এনজিও ফোরাম,কোডেক, এমএসএফ ও ইসলামী রিলিফ সহ বিভিন্ন এনজিও সংস্থা শত শত গভীর ও অগভীর নল কূপ স্থাপন করেছে।

অভিযোগে প্রকাশ কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসানো নলকূপ থেকে পানি আসছেনা। অধিকাংশ নলকূপ অকেজো হয়ে পড়েছে। অথচ এসব নলকূপ বসানোর নামে বিপুল পরিমান তহবিল ও ফান্ড বিদেশ থেকে গ্রহন করেছে এনজিও সংস্থা।

এ প্রসংগে জানতে চাইলে ফালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মানবিক সেবার নামে মূলত এনজিও সংস্থা গুলো অর্থ লুটপাটে মহোৎসব করছে। নামি দামী হোটেলে অবস্থান করে কোটি টাকার গাড়ি ব্যবহার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যা করছে তা তদন্ত জরুরী।

উখিয়া উপজেলা জন স্বাস্থ্য প্রকৌশলী মো: ইকবাল হোসেন জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও সংস্থার বসানো নলকূপ অধিকাংশ অকেজো হয়ে পড়েছে। গ্রীস্ম কালে এ সব নলকূপ থেকে পানি আসছেনা।

পাঠকের মতামত: