ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

শহীদ মিনারে মানুষের ঢল

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি ::

বন্দরনগরী চট্টগ্রামসহ নানা স্থানে বুধবার যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়েছে অমর একুশে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শুরু হয় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের একুশের কর্মসূচি। এ সময় প্রতিটি শহীদ মিনার হয়ে পড়ে লোকে লোকারণ্য। ঢল নামে মানুষের। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার হাতে হাতে ছিল ফুল। বিস্তারিত নিজস্ব প্রতিবেদক ও প্রতিনিধির পাঠানো খবরে :

চট্টগ্রাম : একুশের প্রথম প্রহরেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল বিভিন্ন বয়সের মানুষ। শহীদ মিনার ও এর আশপাশ এলাকা হয়ে ওঠে লোকে লোকারণ্য। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাজনীতিবিদ, সংস্কৃতিকর্মী, সাংবাদিক, প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী উপজাতি নেতা, বিদেশি নাগরিক সবাই। মঙ্গলবার রাত ১২টা ১ মিনিটে শুরু হয় ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর আনুষ্ঠানিকতা।

শুরুতেই নগর পুলিশের একটি দল সশস্ত্র অভিবাদনের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানায় ভাষা শহীদদের। এরপর একে একে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

রাঙামাটি থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও জনসংহতি সমিতির নেতা ঊষাতন তালুকদার ফুল নিয়ে এসেছিলেন শহীদ মিনারে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচ নাগরিক গোলাপ নিয়ে আসেন শহীদ মিনারে। ফুল দিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তাঁরা।

বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি এস এম মনিরুজ্জামান, নগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার, চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা, জেলা প্রশাসক জিল্লুর রহমান চৌধুরী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।

মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমান্ডের নেতারা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন। তাঁদের সঙ্গে ছিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড।

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে) এবং চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের নেতারা শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান আবু সুফিয়ান, বিএফইউজের সহসভাপতি শহীদ উল আলম, যুগ্ম মহাসচিব তপন চক্রবর্তী ও সদস্য আসিফ সিরাজ, সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দীন শ্যামল ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস এবং প্রেস ক্লাবের সভাপতি কলিম সরওয়ার ও শুকলাল দাশ।

ট্যুরিস্ট পুলিশ, শিল্প পুলিশ, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র, কাস্টমস, ফায়ার সার্ভিস, রেলওয়ে পুলিশ, আরআরএফ কমান্ড্যান্ট, আনসার ও ভিডিপি, বন বিভাগ, সিভিল সার্জন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার, বিআইডব্লিউটিসি, চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ড, ইউএসটিসির পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া হয়।

আহ্বায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চুর নেতৃত্বে নগর যুবলীগ, সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনির নেতৃত্বে নগর ছাত্রলীগ, নগর শ্রমিক লীগ, ওমরগণি এমইএস কলেজ ছাত্রলীগ, সড়ক পরিবহন শ্রমিক লীগ, হকার্স লীগের নেতারা শহীদ মিনারে ফুল দেন।

এরপর ভোর থেকে শুরু হয় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের উদ্দেশ্যে প্রভাতফেরি। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে মানুষের স্রোত। এক পর্যায়ে শহীদ মিনারের আশপাশের এলাকা সিনেমা প্যালেস, রাইফেল ক্লাব, নন্দনকানন, ডিসি হিল, নিউমার্কেট চত্বরসহ পুরো এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে।

শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী ও সাধারণ মানুষ। পরে একে একে ফুল দিয়ে জাতির মহান সন্তানদের স্মরণ করেন তাঁরা। পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় শহীদ মিনারে আসা মানুষের স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত হয়ে ওঠে। অনেকে একুশের গান গেয়ে শহীদদের স্মরণ করেন।

চট্টগ্রাম নগর বিএনপি, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দল, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (চট্টগ্রাম কেন্দ্র), উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ, সরকারি সিটি কলেজ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কেন্দ্র (চট্টগ্রাম), সার্দান ইউনিভার্সিটি, চিটাগাং ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভাির্সিটি কালচারাল ক্লাব, বাংলাদেশ বুড্ডিস্ট ফাউন্ডেশন, সমাজ সমীক্ষা সংঘ, টিঅ্যান্ডটি কর্মচারী ফেডারেল ইউনিট, চাঁদের হাট (চট্টগ্রাম জেলা), বিভাগীয় পাসপোর্ট ভিসা অফিস (চট্টগ্রাম), অগ্রণী ব্যাংক অফিসার্স ফোরাম (চট্টগ্রাম), পদার্পণ ক্লাব, কর আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ, চট্টগ্রাম সনাতনী কর পরিষদ, দৃষ্টি (চট্টগ্রাম), প্রভাতফেরি, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যাচ ৭১, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সম্মিলিত হকার্স ফেডারেশন, সম্মিলিত পোশাক শ্রমিক ফেডারেশনসহ শত শত সংগঠনের হাজার হাজার নারী-পুরুষ, শিশু শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

পুষ্পস্তবক অর্পণের পুরোটা সময় শহীদ মিনারে আসা বিভিন্ন সংগঠনের কর্মী, সাধারণ মানুষ স্লোগানে স্লোগানে পুরো এলাকা মুখরিত করে রাখেন। নগর পুলিশের পক্ষ থেকে শহীদ মিনার ঘিরে তিনস্তরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে নগরের বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, কবিতা পাঠের আসর, গানসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় : প্রভাতফেরি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সকাল সাড়ে নয়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চত্বরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন উপ-উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার।

উপাচার্য বলেন, ‘একুশকে ধারণ করতে হবে অস্তিত্বে এবং এ চেতনা বাস্তবায়নে হতে হবে আত্মপ্রত্যয়ী।’

উপ-উপাচার্য ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘তাঁদের আত্মত্যাগেই বিশ্বসভায় বাংলা আজ স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত।’ তিনি সর্বস্তরে বাংলা ভাষা প্রচলনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন প্রক্টর মোহাম্মদ আলী আজগর চৌধুরী। আরো বক্তব্য দেন কলা ও

মানববিদ্যা অনুষদের ডিন ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী, শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মিহির কুমার রায় ও সাধারণ সম্পাদক ড. মুহাম্মদ মুয়াজ্জম হোসেন, সিনেট সদস্য ড. ফরিদ উদ্দিন আহামেদ, সিন্ডিকেট সদস্য ড. সুলতান আহমেদ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মোহাম্মদ কামরুল হুদা, আলাওল হলের প্রভোস্ট ড. এস এম সালামত উল্যা ভূঁইয়া প্রমুখ।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের সভাপতি সুকান্ত ভট্টাচার্য কবি সৈয়দ শামসুল হক রচিত ‘আমার পরিচয়’ কবিতা আবৃত্তি করেন। সঞ্চালনা করেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য) মো. ফরহাদ হোসেন খান।

সংগীত বিভাগের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর পর ভাষা শহীদদের সম্মানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এদিকে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘স্মরণ’ চত্বর হতে কালো ব্যাজ ধারণ করে ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ গান পরিবেশনের মাধ্যমে উপাচার্যের নেতৃত্বে প্রভাতফেরি অনুষ্ঠিত হয়। এটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। এর পর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য। একে একে শ্রদ্ধা নিবেদন করে শিক্ষক সমিতি, অনুষদ ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভাগীয় সভাপতি ও ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক, অফিসার সমিতি, চবি মহিলা সংসদ, সমন্বয় কর্মকর্তা বিএনসিসি, কর্মচারী সমিতি, কর্মচারী ইউনিয়ন, চবি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, সাংবাদিক সমিতি, বঙ্গবন্ধু পরিষদ  ও আইভি রহমান স্মৃতি সংসদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।

ফেনী : একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফেনী ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। এরপর জেলা প্রশাসক মনোজ কুমার রায় ও পুলিশ সুপার এস এম জাহাঙ্গীর আলম সরকার শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে আরো শ্রদ্ধা জানান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ফেনী প্রেস ক্লাব, রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন ফেনী জেলা, ফেনী পৌরসভা, জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল, জাতীয় পার্টি, জাসাস, জাসদ, ন্যাপসহ দলীয় অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

নোয়াখালী : একুশের প্রথম প্রহরে নোয়াখালী কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবে আলম তালুকদার, পুলিশ সুপার মো. ইলিয়াছ শরীফ ও পৌর মেয়র সহিদ উল্লাহ খান সোহেল। এছাড়া নোয়াখালী প্রেস ক্লাব, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাসদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে। ভোর সাড়ে ৬টা থেকে প্রভাতফেরিতে অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা।

এদিকে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য ড. মো. আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

যুবসেনা ও ছাত্রসেনা : ইসলামী যুবসেনা ও ছাত্রসেনার ফ্রি ব্লাড গ্রুপ ক্যাম্পিং ও বিনা মূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচি চকবাজার মতি টাওয়ার পার্কিং স্পটে অনুষ্ঠিত হয়। এতে চিকিৎসাসেবা দেন ডা. মো. সায়েম, ডা. মোবিন, মাসুম বিল্লাহ সানি, আসাদুজ্জামান ফাহিম, মাসুদ আরেফিন, সায়মুম প্রমুখ। আরো উপস্থিত ছিলেন যুবসেনার কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ রুবেল, ছাত্রসেনা চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, মাওলানা নাছির উদ্দিন, চকবাজার যুবসেনার সভাপতি সৈয়দ মোফাচ্ছেল মোস্তফা টিপু, এফ এ ইকবাল, নাছির কাদেরী, শফিউল আলম, হারুনুর রশিদ, রাশেদুল ইসলাম, ইব্রাহিম খলিল, জাহাঙ্গীর, মানিক, ছাত্রসেনার সভাপতি শাহাদাত হোসেন, আবদুল কাদের, মামুন, সৈয়দ হোসাইন, হিরা, রুবেল, হানিফ মান্নান, সাব্বির, মুনির, রিদুয়ান, হাসনাত প্রমুখ।

পাঠকের মতামত: