ঢাকা,শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

উখিয়ায় কথিত এমপি পুত্রের যৌনলালসার শিকার এসএসসি পরীক্ষার্থী!

নিউজ ডেস্ক ::
উখিয়ায় কথিত এমপির বখাটে ছেলের বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার্থী অপহরণ ও ধর্ষণের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় চলছে। এ ব্যাপারে অপহৃত ও ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে উখিয়া থানায় মামলা দায়ের করেছে।
থানায় দায়েরকৃত মামলা ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত ৫ ফেব্রুয়ারী এসএসসসি পরীক্ষার্থী ছাত্রীটি ( নাম প্রকাশ করা হলোনা) ইংরেজী পরীক্ষা দিয়ে বাড়ী ফেরার পথে উখিয়ার উপকুলীয় জালিয়াপালং ইউনিয়নের নিদানিয়া এলাকায় এলজিইডি সড়কে উৎপেতে থাকা স্থানীয় প্রভাবশালী সোনারপাড়া কমিনিউটি সেন্টারের মালিক ফরিদ আহামদ প্রকাশ এমপি ফরিদের ছেলে ইমরান সহ কয়েকজন বখাটে ফিল্মি স্টাইলে মেয়েটিকে অপহরন করে নিয়ে যায়। অপহরনের ঘটনাটি স্থানীয় ইনানী পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করা হলে ইনানী পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা প্রযুত্তির মাধ্যমে ইমরান ও মেয়েটির অবস্থান সনাক্ত করে। পরে ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি আনিসুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ৮ ফেফ্রয়ারী ভোররাত ৪ টার দিকে অভিযান চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইমরান পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে অপহৃতার ভাই মোহাম্মদ আয়াচ বাদী হয়ে সোনারপাড়াস্থ ডেইলপাড়া গ্রামের ফরিদ আহমদ প্রকাশ এমপি ফরিদের ছেলে মোহাম্মদ ইমরান (২৩)কে আসামী করে উখিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। অপহৃতার ভাই মোহাম্মদ আয়াচ অভিযোগ করে জানান, সোনারপাড়া স্কুলে যাওয়া-আসার সময় প্রতিনিয়ত ইমরান তার বোনকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। কিন্ত আমার বোনের অন্যত্র বিয়ে হয়ে যাওয়ার সংবাদে ইমরান আমার বোনকে অপহরন করে তার সর্বনাশ করেছে। ইনানী পুলিশ ফাড়ির আইসি আনিসুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালী ফরিদ প্রকাশ এমপি ফরিদের ছেলে ইরমান মেয়েটিকে অপহরন করেছে বলে পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিক্তিতে মেয়েটিকে কক্সবাজার পাহাড়তলী এলাকা থেকে উদ্ধার করি। তিনি আরো জানান, ইমরানের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে পুলিশ ফাঁড়িতে। তবে প্রতিপক্ষ অপহরণ ও ধর্ষণ মামলার আসামী মোহাম্মদ ইমরানের পিতা ফরিদ আহমদ প্রকাশ এমপি সাংবাদিকদের জানান, ওই মেয়েটি তার ছেলেকে ফাঁসিয়ে বা প্রলোভনে ফেলে বিয়ে করার অপচেষ্টায় লিপ্ত হয়ে ইতিপুর্বেও বিভিন্ন উদ্দেশ্যমূলক ঘটনা ঘটিয়েছে। তাই মেয়েকে তড়িগড়ি করে রামুর আবু নাছের নামের এক যুবকের সাথে বিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে হামিদার পরিবার।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল খায়ের বলেন, অপহরণ ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। সুত্র: সিএন

পাঠকের মতামত: