ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মিষ্টির দোকানে প্রতারণা!

নিজস্ব প্রতিবেদক ::

চট্টগ্রাম মহানগরীর অখ্যাত বিখ্যাত প্রায় মিষ্টির দোকানে প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে সাধারণ ক্রেতারা।  বেশি মুনাফার আশায় ভারী মিষ্টির প্যাকেট ব্যবহার করে ওজনে ঠকাছে ক্রেতাদেরকে।  কিছু কিছু মিষ্টি দোকানের প্যাকেটের দাম পড়ে ২০ থেকে ৮০ টাকা। বর্তমান ডিজিটেল স্কেলের ব্যবহারে পরিমাপে প্রতারণা করার সম্ভব না হলেও প্রতারকদের প্রতারণার ধরণ বদলে গেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, মহানগরীতে বনফুল, ফুলকলি, মধুবন, মিষ্টিমুখ, ফ্লেভারস, সুইটম্যাক্স, স্বাদ সহ বিভিন্ন ব্র?্যান্ডের দোকান ছাড়াও বাহারি নামের অন্যান্য মিষ্টি দোকানগুলোতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যেসব মিষ্টি প্যাকেট রাখে তা কোন কোন দোকানে ১০০ গ্রাম থেকে শুরু করে ২০০ গ্রাম পর্যন্তও ওজন হয়ে থাকে। ভারী এ প্যাকেটে মিষ্টি ওজন করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী প্রতারণা করে আসছে সাধারণ ক্রেতাদের সাথে। আরো জানা যায়, অসাধু ব্যবসায়ীরা ২/৩ প্রকার ওজনের প্যাকেট রেখে ক্রেতা বুঝে ১০০ থেকে ৪০০ গ্রামের প্যাকেট ব্যবহার করে মিষ্টি ওজন করার সময়। প্যাকেট তৈরি প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে গোপন চুক্তির মাধ্যমে প্যাকেট গুলো বানিয়ে নেয় প্রতারক ব্যবসায়ীরা।

একজন ক্রেতা সাধারণত ১ কেজি মিষ্টি কিনে পাচ্ছেন ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম মিষ্টি। অন্য দিকে একজন ক্রেতা নিজের অজান্তেই ১৭০/১৮০ থেকে ২৫০/৩০০ টাকা কেনা মিষ্টির সাথে একই দামে কিনে নিচ্ছে কাগজের তৈরি মিষ্টির প্যাকেটও। ১ কেজি মিষ্টি ২০০ টাকা হলে ২০০ গ্রাম ওজনের ১টি মিষ্টি প্যাকেটের দাম পড়ে ৪০ টাকা। ২০০ টাকার মিষ্টির সাথে ১টি প্যাকেট ৪০ টাকায় কিনে প্রতিনিয়ত নিজের অজান্তেই প্রতারিত হচ্ছে ক্রেতারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মিষ্টি ব্যবসায়ী এ প্রতারণার কথা স্বীকার করে বলেন, সব ব্যবসায়ী এক রকম নয়। তবে একটু আর্ধটু সবাই করলেও সামান্য কিছু অতি লোভী মিষ্টি ব্যবসায়ীর কারণে সকল ব্যবসায়ী অভিযুক্ত হচ্ছে। আবার চট্টগ্রামের মফস্বল এলাকার অখ্যাত কিছু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অতি মুনাফার লোভে কম দামে নিম্নমানের মিষ্টি বিক্রির পাশাপাশি এমন প্রতারণা করে থাকে। বিশেষ করে বাস, ট্রেন ও রেলের যাত্রীদের কাছে মিষ্টি বিক্রয়ের সময় এরকম প্রতারণা বেশি করে। তারা দীর্ঘদিন প্রায় ৩০ বছর যাবত মিষ্টির ব্যবসা করে আসছেন এবং তাদের কোন ক্রেতা আজ পর্যন্ত এমন প্রতারণার স্বীকার হয়নি বলে তারা দাবি করেন। বাকলিয়া কে বি আমান আলী রোডের বাসিন্দা জনৈক আয়ুব আলী জানান, মিষ্টির দোকানগুলো থেকে সাধারণ মানের আকারে ছোট ১ কেজি মিষ্টি কিনলে ১৬থেকে ১৮টি মিষ্টি পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৪ শত টাকা দামের মিষ্টির সাথে ৪শত টাকা দামের মিষ্টির প্যাকেটও কিনলাম। আর না চাওয়া পর্যন্ত ভ্যাট স্লিপও দেয় না। তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন,আমাদের দেশে সাময়িক চিনির দাম বাড়লে মিষ্টির দাম বাড়ে,সাময়িক দুধের দাম বাড়লে মিষ্টির দাম বাড়ে। এ সবের কোনটার দাম কমলে কিন্তু মিষ্টির দাম কমে না। আমরাও মনে করি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন একটু ভূমিকা রাখলে মিষ্টির দোকানের প্রতারণা এবং প্রতারক ব্যবসায়ীদের প্রতারণা বন্ধ করা কঠিন ব্যাপার নয়।

পাঠকের মতামত: