ঢাকা,বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে কোচিং সেন্টারগুলোতে জরুরী আইনী ব্যবস্থা, বিপাকে কোচিং ব্যবসায়ীরা

চট্রগ্রাম প্রতিনিধি ::

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস এড়াতে পরীক্ষার সাতদিন আগে থেকে কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারি নির্দেশনার পর চট্টগ্রাম নগরীর কোচিং সেন্টারগুলোতে তালা ঝুঁলছে। কোচিং বন্ধ রাখার নির্দেশনায় বিপাকেও পড়েছেন কোচিং সেন্টারের মালিকরা।

তাদের দাবি, কোচিং সেন্টারগুলোতে শুধু এসএসসি পরীক্ষার্থী নয়, চতুর্থ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির প্রায় শিক্ষার্থীরা কোচিংয়ে পড়েন। তাদের কোচিংয়ের ক্লাসও বন্ধ রয়েছে।

গত সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে, জাতীয় মনিটরিং কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাচলাকালনি সময়ে কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়, পাশাপাশি আলোচনা সাপেক্ষে ফেইসবুক বন্ধ ও পরীক্ষার সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানো বন্ধে, ফেসবুকে প্রশ্ন সরবরাহকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে বলেও জানানো হয় শিক্ষা মন্ত্রনালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে। এছাড়া পরীক্ষার সময়ে ইন্টারনেটও বন্ধ রাখার বিষয়ে আলোচনা করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পেলে পরীক্ষার সময় ইন্টারনেট বন্ধ রাখার কথাও ভাবছে মন্ত্রণালয়।

এদিকে চট্টগ্রাম নগরীর কোচিংপাড়া খ্যাত নগরীর চকবাজার এলাকায় শুক্রবার সকাল ও বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, ইনডেকস, প্রবাহ, সেঙ্গুইন প্লাস, সাইন্স পয়েন্ট, আর্টস পয়েন্ট, কমার্স পয়েন্ট, প্রাইম, উন্মেষ, রেটিনা, ফোকাস, উদ্ভাসসহ প্রায় সকল কোচিং সেন্টারগুলোর গেইটে তালা বন্ধ রাখা হয়েছে।

‘পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত কোচিংয়ের ক্লাস বন্ধ থাকবে। পরবর্তী নির্দেশনা পাওয়ার পর মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ক্লাস ও পরীক্ষার তারিখ জানিয়ে দেওয়া হবে।’ এমন বিজ্ঞপ্তিও দেখা গেছে কয়েকটি কোচিং সেন্টারের গেইটে।

এম.এ রহিম উল্লাহ নামের এক অভিভাবক জানান, কোচিং সেন্টারের নামে মেয়ে বাসা থেকে বের হয়, কোথায় যায় কি করে ভয়ে থাকি, এখন কোচিং বন্ধ, আমরা চাই ক্লাসের পড়া যেন ক্লাসেই শেষ করে শিক্ষকরা। তাহলে কোচিং সেন্টারে আর সন্তানদের পাঠাতে হবে না।

পাঠকের মতামত: