ঢাকা,শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

টেকনাফে বাঙালির খাদ্যসংস্কৃতির শীতকালীন পিঠা উৎসব

বিশেষ প্রতিবেদক ::

টেকনাফের ঐতিহ্যবাহী বিদ্যানিকেতন কানজর পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় আয়োজন করে জমকালো পিঠা উৎসব। শীতের পিঠা-পুলি বাঙালির আদি খাদ্যসংস্কৃতির গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা পায়েস পুলি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা ছিল মুল উদ্দেশ্য।

উৎসবে অনেকে বলেন, কন কন শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা পুলির ঘ্রাণে মুখরিত। এই পিঠা-পুলি বাঙালির লোকজ খাদ্যসংস্কৃতিতে একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর বা সন্ধ্যায় গ্রামে বাসা বাড়ীতে বসে পিঠা তৈরিতে ধুম পড়ে যায়। গ্রামের পাশাপাশি শহরেও পাওয়া যায় শীতের পিঠার সুবাস। শতাধিক ধরনের পিঠার প্রচলন রয়েছে বাংলাদেশে। তবে একেক গ্রামে একেক রকম পিঠা। ভাপা পিঠা, নকশি পিঠা, চিতই পিঠা, রস পিঠা, ডিম চিতই পিঠা, দোল পিঠা, পাটিসাপটা পিঠা, পাকান, আন্দসা, কাটা পিঠা, ছিটা পিঠা, গোকুল পিঠা, চুটকি পিঠা, মুঠি পিঠা, জামদানি পিঠা, হাঁড়ি পিঠা, চাপড়ি পিঠা, পাতা পিঠা, বিবিখানা, চুটকি, চাঁদ পাকান, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পুলি, পানতোয়া, মালপোয়া, মেরা পিঠা, মালাই, কুশলি, ক্ষীরকুলি, গোলাপ ফুল, লবঙ্গ লতিকা, ঝালপোয়া, ঝুরি, ঝিনুক, সূর্যমুখী, নারকেলি, সিদ্ধপুলি, ভাজা পুলি, দুধরাজ ইত্যাদি

এদিকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ ঘটিকায় প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম উদ্বোধন করেন পিঠা উৎসব। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আব্দু রহমান, সহকারী শিক্ষক মুনির আহমেদ, মহি উদ্দীন, প্রবিণ শিক্ষক ছাবের আহমদ, আরেফা বেগম,শফিকুল ইসলাম, সাবেক শিক্ষক বিপন বড়ুয়া,মামুন এবং হোছাইন কুতুবী। উৎসব মুখর পরিবেশে ছাত্র ছাত্রীরা এতে অংশ গ্রহন করেন।

এ বিষয়ে সমন্বয়কারী হোছাইন কুতুবী এবং আরেফা বেগম বলেন ৮ম,৯ম এবং ১০ম শ্রেণির ছাত্র ছাত্রীরা হাতে তৈরি করেন প্রায় ৩০ রকমের পিঠা পুলি। এই পিঠা বানানোর কাজে সহায়তা করেন দশম শ্রেণির ছাত্রী সুরমা,রায়হানা,সানজানা,তসলিমা ও সাবেক ছাত্রী সুমেরা, মরজিনা, নাজমা, রোকেয়া, ।

এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক বলেন আগামীতে আরো ব্যাপক ভাবে করার ইচ্ছে রয়েছে। পরে তিনি উপস্থিত সকল ছাত্র ছাত্রী, অভিভাবক, অতিথিদের ধণ্যবাদ জানান।

পাঠকের মতামত: