লোহাগাড়া প্রতিনিধি ::

উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে টংকাবতী খাল। ওই এলাকায় জলিল নগর নামক এলাকাটি ঘন জনবসতিপূর্ণ।  খালের দক্ষিণ পার্শ্বে লোহাগাড়া উপজেলার সর্বশেষ উত্তর সীমানা এবং খালের উত্তর পার্শ্বে সাতকানিয়া উপজেলার সর্বশেষ দক্ষিণ সীমানা। খালের দক্ষিণ পার্শ্বে রয়েছে লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ ও জলিল নগর এবং খালের উত্তর পার্শ্বে রয়েছে সাতকানিয়া উপজেলার বারদোনা ও ধাইমার পাড়া।

বিশাল জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকার অসংখ্য জনগণ গ্রীষ্ম ও বর্ষায় ৭০ মিটার দীর্ঘ একটি খাল পারাপারে মারাত্মক দুর্ভোগের সম্মুখীন হচ্ছেন। এলাকাবাসী জানান, ৭০ মিটার দীর্ঘ টংকাবতী খাল পারাপারে পাকিস্তান আমল থেকেই কোন পাকা সেতু না থাকায় মালামাল পরিবহনে দুর্ভোগে আছে এলাকার ২০ হাজার মানুষ। সরকারের কাছে তারা দীর্ঘদিন যাবৎ উল্লেখিত স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কারণ, বর্ষার অথৈ বানের পানিতে খাল পারাপার তাদের পক্ষে সম্ভব হয় না। তখন জনজীবন একেবারে অচল হয়ে যায়।

অসংখ্য স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম ব্যাঘাত ঘটে এবং অনেক সময় গর্ভবতী মহিলা ও মুমূর্ষু রোগীদের স্বল্প সময়ে হাসপাতাল বা ক্লিনিকে নেয়াও দুঃসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়। গ্রীষ্মকালে পায়ে হেঁটে পারাপারের জন্য প্রতি বছর নিজেদের আর্থিক ব্যয়ে এলাকাবাসী কোনমতে নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে খাল পারাপার হন।

এ প্রসঙ্গে জলিল নগরের হাজী আবদুল জলিল কোম্পানির ছোট ছেলে মোহাম্মদ ইদ্রিছ জানান, তিনি বহু বছর যাবৎ উক্ত স্থানে একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। বর্তমান এমপি–পতœী রিজিয়া রেজার সহযোগিতায় তিনি ড. আবু রেজা নদভীর শরণাপন্নও হন। এমপি নদভী তখন এলজিআরডি লোহাগাড়া শাখার চিফ প্রকৌশলী প্রতিপদ দেওয়ানকে নির্দেশ দেন মাঠ পর্যায়ে জরিপ করার জন্য।  তিনি জরিপকাজ সম্পন্ন করে বছরখানেক আগে রিপোর্ট জমা দিলেও অদ্যাবধি সেখানে সেতু নির্মাণের কোন উদ্যোগ নেয়া না হওয়ায় তিনিসহ এলাকাবাসী হতাশ।  হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, একই খালের ওপর পৃথক দু’ স্থানে দুটি ব্রিজ নির্মাণের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। কিন্তু যে স্থান দিয়ে লোকজনের চলাচল বেশি, সেই স্থান দিয়ে সেতু নির্মাণে আজো কোন উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে তিনি নদভী এমপির কাছে দাবি জানিয়েছেন, দ্রুত সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ার জন্য।