ঢাকা,বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় ছাত্রলীগের ৩৫জনের বিরুদ্ধে মামলা

পেকুয়া প্রতিনিধি ::

কক্সবাজারের পেকুয়ায় থানার পুলিশ কর্মকর্তার উপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন পুলিশ। শনিবার (১৬ই ডিসেম্বর) দুপুরে এ মামলা দায়ের করেছেন পেকুয়া থানার উপ পরিদর্শক এস আই শফিকুল ইসলাম। যার মামলা নং ০৭/১৭ইং। এজাহার সুত্রে জানা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তা এস আই বিপুল চন্দ্র রায় এর উপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকায় এইচ এম শওকতকে ১নং আসামীসহ সাত জনের নামোল্ল্যেখ করে ৩০-৩৫কে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে। এইচ এম শওকত বারবাকিয়া ইউনিয়নের জালিয়াকাটা এলাকার মরহুম নন্না মিয়ার ছেলে।

উল্ল্যেখ্য যে, ঘটনার দিন পেকুয়া প্রধান বানিজ্যক কেন্দ্র পেকুয়া বাজারে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ছাত্রলীগের একাংশের একটি বিজয়ী র‌্যালী বের করে। এসময় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষরে ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পেকুয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে। এসআই বিপুল চন্দ্র রায় পুলিশ নিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন। ওই সময় শওকত গ্রুপের হামলায় পেকুয়া থান উপ পরিদর্শক বিপুল গুরুত্বর আহত হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পেকুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ(ওসি) জহিরুল ইসলাম খাঁন জানান, ঘটনার সাথে জড়িত মূলহোতা ও শওকতকে থানায় আটক দেখিয়ে আদালতের মাধমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। এদিকে ওই মামলায় অপর আসমীদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

##############

পেকুয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদ্যাপিত

পেকুয়া প্রতিনিধি ॥

উপজেলা পেকুয়ায় নানা কর্মসুচির মধ্যদিয়ে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। এ দিবস উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ও প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিসহ সকল সরকারী, বেসরকারী স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্টান যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করেন। উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সকাল ৬টায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবসের এই দিনটি স্বরনে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে চকরিয়া-পেকুয়ার সংসদ সদস্য হাজ্বী মোঃ ইলিয়াছ এমপি’র পক্ষে পুষ্প মাল্য অর্পন করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব উল করিম । পরে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য প্রদান করেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফা হায়দার রণি, পেকুয়া থানা প্রশাসনে পক্ষে আফিসার ইন্চার্জ জহিরুল ইসলাম খাঁন, মুক্তিযুদ্ধা সংসদ পেকুয়া শাখার পক্ষে জেলা আওয়মীলীগের মুক্তিযুদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক এড্ এম.কামাল হোসেন, মুক্তিযুদ্ধা ছাবের আহামদ, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগের পক্ষে উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ নেওয়াজ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক আবুল কাশেম।¡ জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু শ্লোগান নিয়ে উপজেলার প্রধান বানিজ্যিক কেন্দ্র পেকুয়া বাজারস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে একটি বিশাল মিছিল প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন, জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী যুব লীগ সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এর নেতৃত্বে পুষ্পস্থপক অর্পন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ, সংসদীয় বিরোদী দল জাতীয় পার্টির পক্ষে জেলা জাতীয় পার্র্টির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এস এম মাহবুব ছিদ্দিকী, সহ সাধারণ সম্পাদক এম. দিদারুল করিম, সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় যুব সংহতি সভাপতি সাজ্জাদুল ইসলাম, বারবাকিয়া ইউনিয়ন জাপা নেতা আবু জাফর ও জাতীয় ছাত্র সমাজ পেকুয়া উপজেলা আহবায়ক আরমান বিন কাশেম। সভাপতি কপিল উদ্দিন বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক এহতেসামুল হকের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইবাল হোসাইন, যুবদলের সভাপতি কামরান জাদিদ মুকুট, ছাত্রদলের ভারঃ সভাপতি এড্ জাহেদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক জাহেদ হোসেন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মামুন ও শ্রমিক দলের সভাপতি মুজিবুল হক চৌধুরী নেতৃত্বে বিএনপি ও অংগ-সহযোগী সংগঠন। এই দিবসকে সামনে রেখে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জনিয়ে পুষ্পস্থপক অর্পন করেন পেকুয়া উপজেলা প্রেস ক্লাব, উপজেলা ছাত্রলীগ, উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ, সেচ্ছসেবক লীগ, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, শিলখালী ইউনিয়ন ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ, এটিএম জায়েদ মোর্শেদ ও ইসমালের নেতৃত্বে আওয়ামী তাঁতীলীগ, সৈনিকলীগ, মৎস্যজিবী লীগ, প্রজন্মলীগ, সিএনজি অটো রিক্্রা সমিতি ও পেকুয়া বাজার ব্যাবসায়ী সমিতি’র পক্ষে সভাপতি হাজ¦ী আকতার আহমদ ও মিনহাজ উদ্দিন। এদিকে উপজেলার সাত ইউনিয়নে পৃথক পৃথক ভাবে বিভিন্ন পেশাজিবী সংগঠন এ দিবস টি উপলক্ষে বিজয় দিবসের প্রথম প্রহরে পুষ্প মাল্য অর্পন করেছেন। বিজয় দিবসের রাতে নাশকতার এড়াতে ১৬ই ডিসেম্বর সকালে সুষ্টভাবে শহীদ মিনারে পূষ্পাঞ্জলী অর্পন করতে থানা প্রসাশনের কঠোর নজরদারীর মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পন ।

#############

পেকুয়ায় মানবঅধিকার কর্মীর ব্যাবসা প্রতিষ্টান ভাংচুর

পেকুয়া প্রতিনিধি:

পেকুয়ায় পুলিশের উপস্থিতিতে মানবঅধিকার কর্মীর ব্যাবসা প্রতিষ্টান ভাংচুর করা হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে । ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের সবুজ বাজার এলাকয়। তবে অভিযোগ উঠেছে পুলিশের উপস্থিতিতে প্রতিপক্ষের লোকজন দোকানটি ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়। গত ১৪ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার বিকাল ৫ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। রাজাখালী পুলিশ ফাঁড়ির এ এস আই মীর কাশেম ভাংচুরের বিষয়টি নাকচ করেছেন। এ ব্যাপারে তিনি জানান, জায়গা নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল। এক পক্ষ বিরোধপূর্ণ জায়গাটি দখল করতে এসে ছিল। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দু’পক্ষের মধ্যে মারপিটের সম্ভাবনা দেখা দেয়। পুলিশ উত্তেজনা প্রশমিত করতে সেখানে উপস্থিত হয়েছে। এদিকে বিরোধীয় জায়গা খতিয়ান নং ১১, বিএস দাগ ১০৪২০ আন্দওে ৩৭ শতাংশের পরিত্যাক্ত ১গন্ডা জায়গা নিয়ে রাজাখালী ইউনিয়নের আমিলা পাড়ার মোঃ হাসান শরিফের ছেলে বাংলাদেশ মানব অধিকার কাউন্সিল কক্সবাজার সদর শাখার সহ তথ্য ও গবেষনা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এম ইকবাল হাসান এর সাথে পালাকাটা আব্দুল মতলব ও মোঃ এমরান মধ্যে জায়গা দখল নিতে এলাকায় বিরোধ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, বিগত ৩০ বছর আগে থেকে ওই জায়গা পৈত্রিক সম্পত্তি মূলে প্রকৃত মালিক এম ইকবাল হাসান। জানা গেছে, ওই জায়গাটি ভোগ দখল ও আধিপত্য নিতে স্থানীয় আব্দুল মতলব ও মোঃ এমরান বিগত কয়েক মাস পূর্ব থেকে পায়তারা চালাচ্ছে। হাসান শরিফ গং এর এম ইকবাল হাসান ওই জাগার উপর একটি দোকান ঘর নির্মান ও দখল প্রতিষ্টা করেছে। পত্যক্ষদর্শীরা জানায়, হাসান শরিফ গং এ জায়গা তারা ৩০ বছর ধরে দখলে ছিলেন। তবে সবুজ বাজার এলাকায় তাদের বিশাল জায়গা রয়েছে।

ওই দিন দুপুরে আব্দুল মালেক ও এমরানের নেতৃত্বে ১০/১৫ জনের ভাড়াটিয়া লোক দোকান ঘওে হানা দেয়। তারা ওই জায়গা থেকে এম ইকবাল হাসানকে উচ্ছেদ করতে ভাড়াটে লোকজন জড়ো করে। এমনকি পুলিশ নিয়ে যায় ওই স্থানে। এ সময় তারা দোকানঘরে ভাংচুরসহ তান্ডব চালায়। এ ব্যাপারে এম ইকবাল হাসান জানায়, তারা সন্ত্রাসী নিয়ে আমাদের পৈত্রিক মুলে পাওয়া দোকান ঘরটি দখল নিতে হানা দেয়, পুলিশের উপস্থিতিতে ভাংচুর চালায়। দোকানের ক্যাশ টেবিলে থাকা মডেল নং ইটেক্স একোয়া লাইফ১১ একটি মোবাইল সেট, নগদ ৮৮১ টাকা লুঠ করে নিয়ে যায়। ভাড়াটে লোকজন কোড়াল, দা, কিরিচ নিয়ে আক্রমন করে। পুলিশ তাদের কথামত এসেছে। পুলিশের সামনে ভাংচুর করেছে তারা। আব্দুল মতলব জানায়, আমি এ জায়গা ৩০ বছর ধরে ভোগ করে আসছি। তারা সন্ত্রাসী নিয়ে জবর দখল করার পায়তারা করছে। পুলিশ শান্তি প্রতিষ্টা করতে গিয়েছিল। না হয় তারা আমাদের আক্রমন করত। এব্যারে রাজাখালী পুলিশ ফাঁড়ির আইসি রিদুয়ানুল হক জানান বিষয়টি আমি শুনেছি। খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পুলিশ পাটিয়েছি।

পাঠকের মতামত: