ঢাকা,শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

পেকুয়ায় ১০টন খাদ্য শষ্যের অর্থ ইউপি সদস্যের পকেটে!

durnitiপেকুয়া প্রতিনিধি ::

পেকুয়ায় ১০টন খাদ্য খাদ্য শষ্যের সব টাকা ইউপি সদস্যের পকেটে। কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসুচী (কাবিখার) বিপরীত উত্তোলিত এসব অর্থ ইউপি সদস্য ও ছাত্রদল নেতা মো.মানিক কোন ধরনের কাজ বাস্তবায়ন না করে আতœসাত করার গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানাগেছে ২০১৪-১৫ অর্থ বছরের জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পেকুয়া সদর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড়ের সদস্য মো.মানিকের অনুকুলে ১০টন খাদ্য শষ্য বরাদ্ধ দেয়া হয়। ওই খাদ্য শষ্য থেকে ১০টি ধর্মীয় প্রতিষ্টান সৌর বিদ্যুত দ্বারা আলোকিত করার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার নির্দেশনা রয়েছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় ওই কাজ তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন। মো. মানিক সদর ইউনিয়নের পশ্চিম জোন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা ছাত্রদলের সদস্য।

অভিযোগ উঠেছে সদর ইউপির ওই সদস্য কোন ধরনের কাজ না করে ডিও উত্তোলন করেছেন। কাজের সময় সীমা অতিবাহিত হয়েছে গত ছয় মাস পুর্বে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে আতাত করে ওই ইউপি সদস্য মানিক সমুদয় টাকা আতœসাত করেছে। জানাগেছে সদরের টেকপাড়া জামে মসজিদ, ছিরাদিয়া জামে মসজিদ, মইয়াদিয়া জামে মসজিদসহ ১০টি ধর্মীয় প্রতিষ্টানের জন্য ১০টন খাদ্য শষ্য বরাদ্ধ দেয়া হয়। প্রতিটি প্রতিষ্টানের জন্য ১টন বরাদ্ধ রয়েছে।

গতকাল শুক্রবার প্রতিষ্টানগুলোতে সরেজমিনে পরিদর্শন করে দেখা গেছে বরাদ্ধের অনুকুলে একটিতেও সৌর বিদ্যুত সংযোজন করা হয়নি। গত কয়েক দিন পূর্বে মসজিদ-মাদ্রাসার বরাদ্ধ আত্মসাতের ঘটনাটি এলাকায় চাউর হলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। তুপের মুখে পড়েন ওই ইউপি সদস্য ছাত্রদল নেতা মো.মানিক।

জানা গেছে, গত ২০১৪-১৫ অর্থ বৎসরের প্রথম পর্যায়ে কাজের বিনিময় খাদ্য কর্মসূচী (কাবিখা) কর্মসূচীর আওতায় পেকুয়া উপজেলা পরিষদ পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বিভিন্ন মসজিদ-মাদ্রাসা ও এতিমখানা-হেফজখানায় সৌর বিদ্যুৎ স্থাপনের জন্য ১০টন খাদ্য শষ্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসব খাদ্য শষ্যের আনুমানিক মূল্য প্রায় ২লাখ টাকা। ইউপি সদস্য মো. মানিক প্রকল্প সভাপতি। গত বছর দুই কিস্তির ডিও পেকুয়া পিআইও অফিস গ্রহন করে। পরে ইউপি সদস্য চকরিয়া খাদ্য গুদাম থেকে এসব খাদ্য শষ্য উত্তোলন করে সরকারী বরাদ্ধের সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেন।

ইউপি সদস্য মো. মানিক বরাদ্ধের টাকা উত্তোলনের সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান গেল বন্যার কারনে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বরাদ্ধে সব টাকা তার কাছে জমা আছে। আত্মসাৎ করা হয়নি। পেকুয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৌভ্রাত দাশ খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

ইউপি চেয়ারম্যান এম.বাহাদুর শাহ জানিয়েছেন বিষয়টি তিনি শুনেছেন। ইউপি সদস্যকে আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছি।

পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মারুফুর রশিদ খান জানিয়েছেন আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি। সত্যতা পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

#################

পেকুয়ায় প্রধান সড়ক কেটে নালা!

নাজিম উদ্দিন :::

পেকুয়ায় বারবাকিয়া ইউনিয়নের দক্ষিন সবজীবন পাড়া এলাকায় গ্রামীন যাতায়াত প্রধান সড়ক কেটে তৈরি করা হচ্ছে নালা। দীর্ঘ ৬০বছরের ওই সড়কটি ফসলি জমির সাথে মিশিয়ে দেওয়ার মহোৎসব চলছে। জানাগেছে, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতির নেতৃত্বে একদল প্রভাবশালী লোকজন জমিতে পানি ও সেচ সরবারাহের জন্য ওই সড়ক সাবাড় করার কুমানসে তৈরি করা হচ্ছে নালা। নালা তৈরির জন্য দক্ষিন সবজীবনপাড়ার ওয়াপদা বেড়িবাঁধ থেকে বারবাকিয়া ইউনিয়নের মধ্যম সবজীবনপাড়া পযর্ন্ত দীর্ঘ দেড় কিলোমিটার সড়কের বিপুল অংশ ইতিমধ্যে কর্তন করা হয়েছে। অপরদিকে জনগনের চলাচলে প্রধান গ্রামীন ওই সড়কটি বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সবজীবনপাড়ার জনগন সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। সবজীবনপাড়া এলাকার নুরুল আবছারের ছেলে ও বিএনপির সহযোগী সংগঠন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও একই এলাকার মৃত. আছহাব মিয়ার ছেলে জামায়াত নেতা মো.দানেশকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ইউএনও বিষয়টি তদন্তের জন্য বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যানকে দায়িত্বভার অপর্ন করেন। জানাগেছে, বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য চেয়ারম্যান সড়ক পরিমাপ করে সমঝোতার চেষ্টা করেন। এদিকে সম্প্রতি বোরো মৌসুমে জমিতে পানি সেচ সরবরাহের জন্য সাইফুল ইসলাম ব্যক্তিগত উদ্যেগে সড়কের বিপুল অংশ ফের কেটে সাবাড় করেছেন। ফসলি জমির সাথে সড়ক একাকার হওয়ায় স্থানীয়দের যাতায়াত ব্যবস্থা থেমে গেছে। সবজীবন পাড়ায় ওই সড়কটি প্রাচীন সময় থেকে বিদ্যামান রয়েছে। এলাকার যাতায়াতের প্রধান গ্রামীন সড়ক সেটি। প্রতিদিন ওই সড়ক দিয়ে হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। বিশেষ করে পায়ে হেঁটে সোজা পেকুয়াবাজার, বারবাকিয়াবাজারসহ উপজেলার সাথে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ওই সড়কটি। বারাইয়াকাটা ফাযিল মাদ্রাসা, সবজীবনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফাশিয়াখলী আইডিয়েল স্কুল এন্ড কলেজ, পেকুয়া মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ও জিয়া কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্টানের হাজার শিক্ষার্থী ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে। অপরদিকে সড়কটি কর্তন হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের দানা বেধেঁছে। তারা জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয়েছেন।

এব্যাপারে বারবাকিয়া ইউপির চেয়ারম্যান এ.এইছ.এম বদিউল আলম জিহাদী বলেন, দু’পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। পানি সরবরাহের নিশ্চয়তাও সৃষ্টি করতে হবে। পাশাপাশি বিপুল জনগোষ্টির যাতায়াত দূর্ভোগও লাঘব করতে হবে। চেষ্টা করছি বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে।

 

পাঠকের মতামত: